পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : সাউথ এশিয়া স্যাটেলাইটে ভারতের সাথে অংশ নিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে বাংলাদেশ। গতকাল (বৃহস্পতিবার) টেলিযোগাযাগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থার (বিটিআরসি) কার্যালয়ে সংস্থার চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ ও ভারত সরকারের পক্ষে বাংলাদেশে দেশটির হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। বিটিআরসি চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ বলেন, ‘সাউথ এশিয়া স্যাটেলাইট’ এর ১২টি ট্রান্সপন্ডারের মধ্যে একটি বিনামূল্যে পাচ্ছে বাংলাদেশ এবং তা যেভাবে ইচ্ছা ব্যবহার করা যাবে। কৃত্রিম উপগ্রহটি উৎক্ষেপণের সমস্ত ব্যয়ভার বহন করছে ভারত সরকার। এই বছরই তা উৎক্ষেপণ হচ্ছে। হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেন, এটি উৎক্ষেপণে ৪০ কোটি ডলার খরচ হবে। এ স্যাটেলাইট প্রায় প্রস্তুত রয়েছে, খুব শিগগিরই উৎক্ষেপণ সম্ভব হবে। সার্কভুক্ত যে দেশগুলো ‘সাউথ এশিয়া স্যাটেলাইট’ এর সাথে যুক্ত হবে, তাদের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করা সম্ভব হবে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, এ যুগান্তকারী চুক্তির ফলে সার্ক অঞ্চল স্যাটেলাইটের মতো হাইটেক সহযোগিতায় যুক্ত হলাম। শুধু বাংলাদেশ নয়, এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশও যুক্ত হয়েছে। এ পাশাপাশি অন্যান্য অঞ্চলে বার্তা যাবে যে আমরা কোনো অংশে পিছিয়ে নেই। এই চুক্তির শিরোনাম হল ‘এগ্রিমেন্ট বিটুইন দ্য গভর্নমেন্টস অব রিপাবলিক অব ইন্ডিয়া অ্যান্ড দ্য গভর্নমেন্ট অব দ্য পিপলস রিপাবলিক অব বাংলাদেশ কনসার্নিং টু অরবিট ফ্রিকোয়েন্সি কো-অর্ডিনেশন অব সাউথ এশিয়া স্যাটেলাইট প্রোপোজড অ্যাট ফোর্টি এইট ডিগ্রি ইস্ট’। ভারতের উদ্যোগে এই প্রকল্পে অংশগ্রহণের জন্য নেপাল, ভুটান, ইন্দোনেশিয়াসহ কয়েকটি দেশ ইতোমধ্যে সম্মতি দিয়েছে। ভারতের উদ্যোগে ‘সাউথ এশিয়া স্যাটেলাইট’ এর উৎক্ষেপণে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে গত সোমবার একটি প্রস্তাব অনুমোদন করে মন্ত্রিসভা। তবে শর্ত দেয়া হয়েছে, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের কার্যক্রমে এই স্যাটেলাইট বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ‘১১৯ ডিগ্রি ইস্টে, আর এটি ৪৮ ডিগ্রি ইস্টে’ বলে জানানো হয়েছে। ফ্রান্সের থালিস এলিনিয়া স্পেস ফ্যাসিলিটিতে বাংলাদেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট’ নির্মাণের অর্ধেকের বেশি কাজ শেষ হয়েছে। এ স্যাটেলাইটে ৪০টি ট্রান্সপন্ডার থাকবে, যার ২০টি বাংলাদেশের ব্যবহারের জন্য রাখা হবে এবং বাকিগুলো ভাড়া দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব হবে। সব ঠিক থাকলে চলতি বছর ডিসেম্বরে উৎক্ষেপণের পর ২০১৮ সালের এপ্রিল নাগাদ এ স্যাটেলাইট বাণিজ্যিক অপারেশন শুরু করতে পারবে। তখন বিদেশি স্যাটেলাইটের ভাড়া বাবদ বাংলাদেশের বছরে ১৪ মিলিয়ন ডলার সাশ্রয় হবে বলে সরকার আশা করছে।
এসময় চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব শ্যাম সুন্দর শিকদার, বিটিআরসি ভাইস চেয়ারম্যান আহসান হাবিব খানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।