Inqilab Logo

সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, ০১ মুহাররম ১৪৪৬ হিজরী

এরশাদের আপিলের রায় হয়নি : নথি যাবে প্রধান বিচারপতির কাছে

| প্রকাশের সময় : ২৪ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : সাজা বাড়াতে সরকারের করা আরও দু’টি আপিল বিচারাধীন থাকায় দুর্নীতির মামলায় এরশাদের আপিলের রায় ঘোষণা করেননি হাইকোর্ট। রায়ের নির্ধারিত দিনে গতকাল বৃহস্পতিবার মামলার সকল নথি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠোনোর আদেশ দেন বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুসের একক বেঞ্চ।  তিনি নতুন বেঞ্চ ঠিক করে দিলে সেখানেই দুই পক্ষের আপিল নিষ্পত্তি হবে।
আদালতে এরশাদের পক্ষে ছিলেন শেখ সিরাজুল ইসলাম। দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান। পরে খুরশীদ আলম খান বলেন, আজ  রায়ের জন্য নির্ধারিত ছিল। কিন্তু রায়ের পূর্বমুহূর্তে আদালত আপিলকারীর আইনজীবীকে উদ্দেশে করে বলেন, এ মামলায় ১৯৯২ সালের ৫ ও ৬ নম্বর আপিল রয়েছে মর্মে দেখা যাচ্ছে। যেটা সরকার করেছে। এটা আপনি উল্লেখ করেননি। এখন একটা আপিলের ওপর রায় দেয়া সমীচীন হবে না। তাই রায় না দিয়ে প্রয়োজনীয় আদেশের জন্য মামলার তিনটি আপিল প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানোর আদেশ দেয়া হলো।
১৯৮৩ সালের ১১ ডিসেম্বর থেকে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট থাকাকালে বিভিন্ন উপহার রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা না  দেয়ার অভিযোগ ওঠে এরশাদের বিরুদ্ধে। এ অভিযোগে ১৯৯১ সালের ৮ জানুয়ারি তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরোর উপ-পরিচালক সেনানিবাস থানায় এরশাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় এক কোটি ৯০ লাখ ৮১ হাজার ৫৬৫ টাকা আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ আনা হয়।
১৯৯২ সালের ৩ ফেব্রæয়ারি ঢাকা বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালত এরশাদকে তিন বছরের কারাদন্ড দেন। একইসঙ্গে ওই অর্থ ও একটি টয়োটা ল্যান্ডক্রুজার গাড়ি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেয়া হয়। এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন এরশাদ। ২০১২ সালের ২৬ জুন সাজার রায়ের বিরুদ্ধে এরশাদের আপিলে পক্ষভুক্ত হয় মামলার বাদী দুদক। ওইদিন আপিলে পক্ষভুক্ত হতে দুদকের আবেদন মঞ্জুর করেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ।
গত বছরের ২২ আগস্ট এ মামলায় আপিল শুনানির দিন ধার্যের আবেদন জানায় দুদক। আবেদনটি কয়েক দফা কার্যতালিকায় এলেও মামলার নথি না আসায় শুনানি শুরু হয়নি। পরে গত বছরের ১ নভেম্বর শুনানির দিন ১৫ নভেম্বর নির্ধারণ করেছিলেন আদালত। ওইদিন এরশাদের আইনজীবীর আবেদনের প্রেক্ষিতে আরও দুই সপ্তাহ সময় দিয়ে ৩০ নভেম্বর শুনানির দিন ধার্য করেন। এ মামলার আপিল শুনানি।  গত ৯ মার্চ উভয়পক্ষের আপিল শুনানি শেষে ২৩ মার্চ রায়ের দিন ধার্য করেছিল হাইকোর্ট।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ