পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চুক্তির প্রথম ধাপ সমঝোতা স্মারক
স্টাফ রিপোর্টার : দিল্লীকে খুশি করতে বিনাভোটের সরকার প্রতিরক্ষা চুক্তি করছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। এখন মনোরঞ্জনমূলক কথা বলছেন সেটা হচ্ছে সমঝোতা স্মারক। সমঝোতা স্মারক হচ্ছে প্রতিরক্ষা চুক্তির প্রথম ধাপ। উনারা (ভারত) প্রতিরক্ষা চুক্তির দিকেই নিয়ে যাবেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে এক আলোচনা সভায় দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, এদেশের মানুষের সেন্টিমেন্টকে পদদলিত করে দিল্লীকে শুধু খুশি করার জন্য তিনি (শেখ হাসিনা) আজকে প্রতিরক্ষা চুক্তিতে স্বাক্ষর করার জন্য এগিয়ে যাচ্ছেন। ৭ এপ্রিলের তার যে ভারতে সফর- সেখানে একটাই উদ্দেশ্য, প্রতিরক্ষা চুক্তির মতো একটি চুক্তি করা। আমাদেরকে পর্যুদস্ত করার জন্য, পদানত করার জন্য, আমাদের স্বাধীনতাকে বিপন্ন করার জন্যই দিল্লী তাদের পরীক্ষিত বন্ধু শেখ হাসিনাকে দিয়ে এই চুক্তি করছে।
রিজভী অভিযোগ করে বলেন, তিনি (প্রধানমন্ত্রী) এক বালতি পানি আনতে পারবে না তিস্তা চুক্তি করে, তিনি এক বালতি পানি আনতে পারবেন না পদ্মা ও গঙ্গা থেকে। আমরা পানি পাচ্ছি না। শেখ হাসিনার ক্ষমতায় টিকে থাকার গ্যারান্টি দিল্লীর ময়ূরের সিংহাসনে যারা বসে আছেন, তারা। এজন্য তার দেশ যাক, মাটি যাক, আবহাওয়া যাক, মাছ যাক, সুন্দরবন ধ্বংস হয়ে যাক। ‘তোরা যে যা বলিস ভাই, আমাদের সোনার হরিণ চাই, আমার দিল্লী চাই, আমার অন্য কিছুর দরকার নেই-’ এই নীতি নিয়ে শেখ হাসিনা এগিয়ে যাচ্ছেন।
কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা-জাসাস ঢাকা মহানগরের উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
দেশের সাথে নানা অমীমাংসিত সমস্যার সমাধান না করে প্রতিরক্ষা চুক্তির উদ্যোগের সমালোচনা করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, আমাদের বহু ধরনের সংঘাত, বহু সমস্যা রয়েছে ভারতের সাথে। এর কোনো সমাধান নেই। আজো আমাদের সীমান্ত রক্তাক্ত। প্রতিদিন আমাদের লোকদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে, তাদের দেশের ভেতরে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে হত্যা করছে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং কি প্রধানমন্ত্রী তিনিও কোনো কথা বলেন না।
দেশের অর্থনীতি ভারতীয় পণ্যের বাজারে সয়লাব উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভারত ৭ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করে আর বিনিময়ে আমরা তিনশ’ মিলিয়ন ডলারও রপ্তানি করতে পারি না। কি অবস্থায় আমি পড়ে আছি?
১/১১-এর তৎকালীন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল মঈন ইউ আহমেদকে ভারত ৭টি ঘোড়া উপহার দেয়ার বিষয়টি তুলে ধরে রিজভী বলেন, সেদিনই বুঝতে পেরেছিলাম, দিল্লীর বশ্যতা স্বীকার করেছে বলে তারা ঘোড়া উপহার দিয়েছিলো। সেদিনই আমরা অনুধাবন করেছি, আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের পতাকা স্বাধীনভাবে পত পত করে উড়বে না। আমাদেরকে চারদিক থেকে গ্রাস করার ভয়ংকর জ্বালে বন্দি করে রাখতে চাচ্ছে ভারত।
দেশের অবস্থা তুলে ধরে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, একটা স্বৈরাচার, ফ্যাসিস্ট যা ইচ্ছা তা-ই করে যাচ্ছে, যা মনে হচ্ছে তাই করে যাচ্ছেন, তার কোনো জবাবদিহিতা নাই। গণতন্ত্রকে তারা গোরস্তানে পাঠিয়েছে, কথা বলার অধিকারকে মাটি চাপা দিয়েছে, খবরের কাগজ-সংবাদপত্র স্বাধীনতাকে আটকিয়ে রেখেছে। এই ধরনের দানবীয় শক্তি আগে এতো বড়ভাবে আসেনি। প্রতিরক্ষা চুক্তির আগে হঠাৎ করে ঢাকার আশকোনা, খিলগাঁও ও চট্টগ্রামে সন্ত্রাসী-উগ্রবাদী তৎপরতা, বোমা হামলা, যারাই ধরা পড়ছে, নতুন নতুন গল্প বানিয়ে, কাহিনী বানিয়ে তাদের তদন্ত ছাড়া হত্যা করা হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন আসবে না, দিল্লীতে প্রতিরক্ষা চুক্তির প্রাক্কালে এই যে বোমা হামলা, আত্মঘাতী হামলা হচ্ছে- এর ব্যাপারটা কি? ঘটনাটা কী? এটা অত্যন্ত রহস্যজনক ব্যাপার, এগুলো গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ কিনা হাটে-ঘাটে-বাজারে সর্বত্র আলোচনা হচ্ছে।
সংগঠনের আহŸায়ক মীর সানাউল হকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য গাজী মাজহারুল আনোয়ার, আতাউর রহমান ঢালী, জাসাস সভাপতি অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক চিত্র নায়ক হেলাল খান, সহ-সভাপতি বাবুল আহমেদ, জাহাঙ্গীর আলম রিপন, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক জাকির হোসেন রোকন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে য্বুদল দক্ষিণের সভাপতি রফিকুল আলম মজনু, উত্তরের সভাপতি এসএম জাহাঙ্গীর, মহানগর নেতা কাজী আবুল বাশার, ই্উনুস মৃধা, মৎস্যজীবী দলের মিলন মেহেদিও বক্তব্য রাখেন। আলোচনা সভার পর জাসাস শিল্পীরা মনোজ্ঞ গীতিনাট্য পরিবেশন করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।