পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে জনবলের অভাব, চরম দুর্ভোগ
বেনাপোল অফিস : দেশের বৃহত্তম আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট বেনাপোল ইমিগ্রেশনে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে ভারত-বাংলাদেশ গমনাগমনকারী পাসপোর্ট যাত্রীরা। প্রতিদিন কাকডাকা ভোরে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা পাসপোর্ট যাত্রীরা ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস এর আনুষ্ঠানিকতা শেষে করতে মহাসড়কে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকছে। একজন যাত্রীকে অভিবাসন প্রক্রিয়ার সমস্ত কাজ শেষ করে ভারত ভূখন্ডে পৌঁছাতে প্রায় তিনঘণ্টা সময় দিতে হচ্ছে।
অভিবাসন প্রক্রিয়ার কাজে প্রথমে সোনালী ব্যাংকের বুথে ভ্রমণকর জমা দেয়ার বিশাল লাইন পার হয়ে পাসপোর্ট যাত্রীকে আসতে হচ্ছে কাস্টম এবং ইমিগ্রেশন কাউন্টারের লাইনে। কাস্টমস-ইমিগ্রেশন ভবনের দুই পাশে রয়েছে ৪টি বহির্গমন ও ৪টি আগমনী কাউন্টার। তার মধ্যে রয়েছে ১টি করে বিদেশী কাউন্টার। মহিলা এবং রোগীদের জন্য কোনো কাউন্টার না থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়ছে রোগীসহ তাদের আত্মীয়-স্বজনরা। এদিকে বয়স্ক ব্যক্তিরা কিছু সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে মহাসড়কের উপরেই বসে পড়তে বাধ্য হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে বেনাপোল চেকপোস্টে যেয়ে দেখা যায় এসব দৃশ্য। বিদেশী যাত্রীরাও ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে বিব্রত বোধ করছে। ঢাকার বাংলা মটর এলাকার তৌহিদুল ইসলাম জানান, রোগীসহ তার স্বজনরা সারারাত জেগে গ্রীন লাইন পরিবহনে এসে রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে। চৈত্র মাসের রৌদ্রে দাঁড়িয়ে থেকে কিছু সময় আগে একজন মহিলা যাত্রী অজ্ঞান হয়ে পড়েছে।
এক থেকে দেড় কিলোমিটার লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীদের দুর্ভোগের বিষয়ে বেনাপোল ইমিগ্রেশনের সেকেন্ড অফিসার ফজলুল হক জানান, ভারত সরকার বাংলাদেশীদের পাসপোর্টে এক বছর মেয়াদের টুরিস্ট মাল্টিপল ভিসা ইস্যু করায় হঠাৎ করেই যাত্রী সংখ্যা দ্বিগুণের বেশি হয়েছে। আগে প্রতিদিন এই চেকপোস্ট দিয়ে ২ থেকে ৩ হাজার যাত্রী যাতায়াত করতো। বর্তমানে তা ৫ থেকে ৬ হাজারে দাঁড়িয়েছে। জনবল বৃদ্ধির জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। কিন্তু তা সত্তে¡ও বেনাপোল ইমিগ্রেশনে জনবল বাড়ানো হয়নি। ৪টি বর্হিগমন কাউন্টারের মধ্যে ১টি রয়েছে বিদেশীদের জন্য। অন্য ৩টি কাউন্টারসহ সবক’টি কাউন্টারে কর্মরত অফিসাররা প্রতিদিন সকাল ৬টা ৩০ মিনিট থেকে সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তারপরও এই অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে।
তিনি আরো জানান, প্রতিটি পাসপোর্টের জন্য যদি ১ মিনিট সময় ব্যয় হলেও অনেক সময় লাগবে। বেনাপোল ইমিগ্রেশনে জনবল বৃদ্ধি করা না হলে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। সরকার শুধুমাত্র বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারত গমনাগমনকারী পাসপোর্ট যাত্রীদের কাছ গত একমাসে ৪ কোটি ৪০ লাখ টাকার রাজস্ব য়ায় করেছে বিদেশ ভ্রমণ কর বাবদ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।