পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইজারায় সিন্ডিকেটের কারসাজি
সীতাকুন্ড (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা : সীতাকুন্ডে পৌরসভার হাটবাজারের ইজারায় অদৃশ্য সিন্ডিকেটের খেলা চলছে। দৃশ্যত ওপেন টেন্ডারে দরপত্র দাখিল হলেও গোপনে সমঝোতার কারণে সিন্ডিকেটের সদস্যরা এক বা দুটি টেন্ডার দাখিল করেই বাগিয়ে নিচ্ছে কার্যাদেশ।
এমনকি কোটি টাকার গরু বাজারও মাত্র ৬১ লাখ টাকা দর দিয়েই ক্ষান্ত দরদাতারা। ফলে বিপুল অংকের রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। যা নিয়ে নানান প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। অবশ্য গোপন সমঝোতায় এমন কান্ড ঘটছে বলে আশঙ্কা করছেন খোদও পৌরমেয়রও। কিন্তু এরপরও কিছু করার নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।
জানা গেছে, সম্প্রতি পৌরসভাধীন হাটবাজারগুলো ইজারা দেয়ার লক্ষে টেন্ডার আহ্বান করে পৌর কর্তৃপক্ষ। গত বুধবার ছিলো এসব দরপত্র খোলার দিন। এদিন বিকাল ৩টায় পৌরসভা সম্মেলন কক্ষে টেন্ডার বাক্স খোলা হয়। এসব বাক্স খোলার পর দেখা যায়, পৌরসদরের গুরুত্বপূর্ণ ৩টি হাট বাজারের মধ্যে দুটিতে নাম মাত্র টেন্ডার জমা পড়েছে। কেবলমাত্র একটি বাজারের জন্য ৪টি দরপত্র জমা পড়ে। অন্যগুলোতে কোন প্রতিযোগিতাই ছিলো না। পৌর কর্তৃপক্ষ জানায়, পৌরসদরের সর্ব বৃহৎ গরু বাজার ফকিরহাট বাজারের জন্য টেন্ডার জমা পড়েছে মাত্র দুটি। একটি দিয়েছেন জনৈক এস্কান্দার ও অন্যটি দিয়েছেন আবদুল মান্নান। এস্কান্দার এই বাজারের জন্য ৬১ লাখ টাকা দর দেন, অন্যদিকে আবদুল মান্নান দর দিয়েছেন ৫৫ লাখ টাকা। অথচ গতবছরের টেন্ডারে এই বাজারের দর উঠেছিলো ৮১ লাখ টাকা। বাজারটিতে ব্যবসা ভালো হওয়ায় এটি পেতে প্রতিযোগিতা লেগেই থাকে। সে হিসেবে এবার বাজারটির দর ১ কোটি টাকা হওয়াও সম্ভব ছিলো বলে মনে করেন খোদ পৌরমেয়র। অথচ এবার মাত্র ২টি দরপত্র জমা পড়েছে। আর অনেকে দরপত্র জমা দিতে চেয়েও সিন্ডিকেটের পেশি শক্তির কারণে তা পেরে উঠেননি বলে জানা যায়। যার অর্থ সিন্ডিকেটের কারসাজির কারণে প্রায় ৪০ লাখ টাকা রাজস্ব বঞ্চিত হবে সরকার। এদিকে ফকিরহাট গরু বাজারের চেয়েও খারাপ অবস্থা পৌরসদর উত্তর বাজারের। মোঃ ইউসুফ নামক ঐ ব্যক্তি পৌরসদরের সবচেয়ে বড় সবজি বাজার মোহন্তেরহাটের জন্য দর দিয়েছেন ৩৭ লাখ টাকা। ফলে এ হাটের আর কোন টেন্ডারদাতাই নেই! প্রকৃতপক্ষে এই হাটটিও পেতে দৌড়ঝাঁপ করেন অনেক ব্যবসায়ী। অন্যদিকে ফকিরহাট গরু বাজার ও মোহন্তেরহাট সবজি বাজারের অবস্থা বেহাল হলেও পৌরসদর মাছ বাজারের জন্য ৪ জন দরপত্র জমা দেন। এই বাজার পেতে জনৈক মোঃ দিদারুল আলম দর দেন ২৭ লাখ টাকা, কামরুল হাসান দিয়েছেন ২৮ লাখ টাকা, মোশারফ হোসেন দিয়েছেন ২৪ লাখ টাকা এবং মফিজুর রহমান দিয়েছেন ২৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা। অবশ্য এসব তথ্য যে মোটেও অমূলক নয় তা স্বীকার করেন সীতাকুন্ড পৌরমেয়র আলহাজ বদিউল আলম। তিনি প্রতিবেদককে বলেন, টেন্ডার বাক্স খুলে দেখা গেছে মাছ বাজারের জন্য ৪টি, মোহন্তের হাট সবজি বাজারের জন্য একটি এবং ফকিরহাট গরু বাজারের জন্য মাত্র দুটি দরপত্র জমা পড়েছে। ফকিরহাট বাজারের জন্য মাত্র ৬১ লাখ টাকা সর্বোচ্চ দর উঠেছে। তিনি বলেন, আমার মনে হচ্ছে টেন্ডারদাতারা নিজেদের মধ্যে বাইরে কোন সমঝোতা করে এই দর দিয়েছে। নইলে এই বাজার গতবার ৮১ লাখ টাকা দর উঠেছিলো। এবার কোটি টাকা দর উঠতে পারত। কিন্তু তা উঠেনি। একইভাবে অন্য বাজারগুলোর দরও যথাযথ কিনা তা আমাদের কমিটি তদারকি করে দেখবে। যদি সন্তোষজনক না হওয়া তাহলে কমিটি উক্ত টেন্ডার বাতিল করে দ্বিতীয়বার বা তৃতীয় বারও দরপত্র আহ্বান করার ক্ষমতা রাখে। তবে টেন্ডারদাতা নিজেরা যদি বাইরে সমঝোতা করেই এভাবে টেন্ডার দেয় সেক্ষেত্রে তার কিছুই করার থাকে না বলে মন্তব্য করেন মেয়র।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।