Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কারা জঙ্গিবাদে অস্ত্র, অর্থ ও মদদ দিচ্ছে তা খতিয়ে দেখার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

| প্রকাশের সময় : ২৩ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা : কারা জঙ্গিবাদে অস্ত্র, অর্থ ও উৎসাহ দিচ্ছে- তা খতিয়ে দেখার তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জঙ্গিবাদের থাবা থেকে শিক্ষার্থীদের মুক্ত রাখতে শিক্ষক ও অভিভাবকদের আরও উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। গতকাল বুধবার প্রধানমন্ত্রী তার কার্যালয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতী শিক্ষার্থীদের ‘প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক ২০১৩ ও ২০১৪’ প্রদান অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান।
সা¤প্রতিক সময়ে ইসলামের নামে জঙ্গিবাদের প্রসারের বিষয়টি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেবল বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে, বিশেষ করে মুসলিমপ্রধান দেশগুলোতে এই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এখানে কথা হচ্ছে, কারা এদের হাতে অস্ত্র দিচ্ছে? কারা এদের টাকা দিচ্ছে? কারা এদের উৎসাহিত করছে? শেখ হাসিনা বলেন, অনেক উন্নত দেশ, সেখানে পড়াশোনা করতে গিয়ে উল্টো এ ধরনের জঙ্গিবাদের পথে চলে যাচ্ছে। আমাদের দেশেও কিছু কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও শিক্ষকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ছেলেমেয়েরা কি করছে, কোথায় যাচ্ছে, ক্লাসে অনুপস্থিত থাকছে কিনা- সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে, যাতে তারা বিপথে যেতে না পারে। তিনি বলেন, সত্যিই আমি অবাক হয়ে যাই, মেধাবী, শিক্ষিত, উচ্চবিত্ত (পরিবারের) ছেলেমেয়েরা কীভাবে ধর্মান্ধ হয়ে যায়, আর কীভাবে জঙ্গিবাদের পথে যায়। এটা আমার কাছে বোধগম্য নয়। ইসলামকে ‘শান্তির ধর্ম’ হিসেবে বর্ণনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখানে কখনোই বলা হয়নি যে, নিরীহ মানুষ হত্যা কর। আর নিরীহ মানুষ হত্যা করলে বেহেস্তে চলে যাবে- এটা কি করে হয়? জঙ্গিদের আত্মঘাতী হামলার সমালোচনা করে তিনি বলেন, আমাদের ইসলাম ধর্মে আত্মহত্যা মহাপাপ। সেই মহাপাপের পথে কি করে যায় ধর্মের নামে?
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা বাংলাদেশের মানুষ। আমরা ধর্মে বিশ্বাস করি, ধর্ম পালন করি, আমরা ধর্মভীরু, কিন্তু ধর্মান্ধ নই। আর আমাদের বাংলাদেশে, এই ভূখন্ডে সকলে যার যার ধর্ম পালন করবে স্বাধীনভাবে। সেই অসাম্প্রদায়িক একটা চেতনা নিয়েই বাংলাদেশ গড়ে উঠেছে। এই অঞ্চলে আমরা সবসময় একটা স¤প্রীতি নিয়ে চলি। কিন্তু সেই জায়গায় উগ্রবাদ যে ধ্বংস এনে দেয়, বা আমাদের পবিত্র ধর্ম ইসলামের যে বদনাম করে দিচ্ছে- সেটা তারা (জঙ্গি) বোঝে কিনা তা জানি না।
আইনের যথাযথ প্রয়োগ ঘটিয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বলেন, তার সরকার দেশের উচ্চশিক্ষার প্রসারে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে আমরা ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০’ করে দিয়েছি, এই আইন যাতে যথাযথ প্রয়োগ হয়, সেদিকে সকলের নজর দিতে হবে। সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার মান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে যথাযথ মনিটরিং করতে ‘বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন আইন-১৯৭৩’ সংশোধন করার কাজ চলছে। আইন সংশোধন না করলে পরে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কি পড়াশোনা হচ্ছে, কি চলছে এগুলো ভালভাবে নজরদারি করা যাবে না। আমরা এই আইনটা সংশোধন করে দেব।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। ইউজিসি’র সদস্য অধ্যাপক দিল আফরোজা বেগম অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক প্রাপ্তদের পক্ষ থেকে জেনিফার হাকিম লুপিন এবং স্বজন রহমান তাদের নিজস্ব অনুভূতি ব্যক্ত করেন।অনুষ্ঠানে দেশের সকল প্রাইভেট ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের শীর্ষস্থান অধিকার করা কৃতি ২৩৩ জন শিক্ষার্থীর মাঝে ইউজিসি পদত্ত প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক ও সনদপত্র বিতরণ করা হয়। প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে ৫৬ জনের হাতে পদক তুলে দেন।
দেশের বিভিন্ন জেলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বল্পতার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রতিটি জেলাতেই অন্তত একটি বিশ্ববিদ্যালয় যেন হয় সে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। এসব বিশ্ববিদ্যালয় হয় সরকারি, না হয় বেসরকারি হবে। তবে, অবশ্যই এটা মানসম্পন্ন হতে হবে। আমরা সেভাবেই পদক্ষেপ নিচ্ছি। বেসরকারিভাবে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য যারা অনুমতি চাইতে আসেন, তখন আমি নিজেই এক একটি জেলা নির্দিষ্ট করে দিচ্ছি কোথায় বিশ্ববিদ্যালয় করতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের ছেলে-মেয়েরা যেন ঘরে খেয়ে বাবা-মার সঙ্গে থেকে উচ্চশিক্ষা লাভ করতে পারে তার ব্যবস্থাও আমরা করে দিচ্ছি। প্রতিটি উপজেলায় একটি করে কলেজ স্থাপন বা পুরনো যে কলেজগুলো আছে সেগুলি সরকারিকরণ করে দিচ্ছি। এভাবে এ পর্যন্ত ৩৬৫টি কলেজ আমরা সরকারিকরণ করেছি।
শিক্ষা খাতের উন্নয়নে সরকারের পদক্ষেপের তথ্য তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেবল গতকালই আমরা শিক্ষা খাতের উন্নয়নে এক লাখ কোটি টাকার ওপরে ব্যয় সম্পন্ন প্রকল্প গ্রহণ করেছি। এ টাকায় প্রি-প্রাইমারী থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায় পর্যন্ত প্রকল্প গ্রহণ করা হয় এবং গতকালের (মঙ্গলবার) অধিকাংশ প্রকল্পই অনুমোদিত হয়েছে শিক্ষা বিষয়ক। যেহেতু শিক্ষাবিষয়ক প্রকল্প- এ জন্য যত টাকাই লাগুক আমরা অনুমোদন করে দিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় শিক্ষা খাতে ব্যয় বরাদ্দ বৃদ্ধিকে তার একটা বিনিয়োগ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, এই প্রকল্পগুলো শেষ হতে প্রায় ২০২১ সাল পর্যন্ত সময় লাগবে। এর ফলে প্রি-প্রাইমারি থেকে উচ্চশিক্ষা খাতে বিভিন্ন বিশ্ববিদালয় এবং ইনস্টিটিউটগুলো সবই মানোন্নয়ন হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আল্লাহর রহমতে বাংলাদেশ এখন অর্থনৈতিকভাবে যথেষ্ট সাবলম্বী, কাজেই সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমাদের যে অর্থসম্পদ তার বেশিরভাগই আমরা শিক্ষা খাতে ব্যয় করছি। এটাকে আসলে আমি ব্যয় মনে করি না এটা হচ্ছে একটা বিনিয়োগ, সবচেয়ে বড়ো বিনিয়োগ। যা জাতিকে গড়ে তুলবে। মেধার বিকাশ হবে এবং আজকে আমাদের মেধাবী ছেলে-মেয়েরা আরো চিন্তা করবেন কিভাবে দেশকে আরো এগিয়ে নেয়া যায়। উন্নত বিশ্বের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে কীভাবে আমরা টিকতে পারবো।
তিনি বলেন, দেশের প্রয়োজনে আমাদের মেধা আমরাই সৃষ্টি করছি। দেশের উন্নয়নে যে দক্ষ ও উদ্ভাবনী জনশক্তি দরকার তা দেশেই সৃষ্টি করতে সব ধরনের প্রচেষ্টা সরকার অব্যাহত রেখেছে। আমরা নিজেদের স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করতে যাচ্ছি, বিশাল সমুদ্র সম্পদ সুরক্ষা আমাদেরই করতে হবে, আমরা পদ্মাসেতু নির্মাণ করছি, আমরা গড়ে তুলছি নিজেদের বিদ্যুৎ প্রকল্প আর এসব ক্ষেত্রেই আমাদের প্রয়োজন মেধাবী, দক্ষ, প্রশিক্ষিত জনশক্তি। যা নিজেদেরই উৎপাদন করতে হবে।
প্রযুক্তি ব্যবহারে তার সরকার অধিক গুরুত্ব দিচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্টারনেট সংযোগ প্রদান এবং বাংলাদেশকে দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের সঙ্গে যুক্ত করায় তার সরকারের পদক্ষেপের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শিক্ষার প্রতি যে গুরুত্বারোপ করে গেছেন সে অনুয়ায়ী আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে ছেলে-মেয়েদের শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে-আমাদের জীবন মানও উন্নত হতে হবে। একই সাথে এই শিক্ষাটাকে দেশের মানুষের কল্যাণে কিভাবে লাগানো যায় সেটাও চিন্তা করতে হবে। নিজের অর্থ চিন্তা করলে হবে না।
কারিগরি ক্ষেত্রে এখনো দক্ষ লোক ভাড়ায় আনতে হয় মর্মে আক্ষেপ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেন আমাদের হায়ার করতে হবে। আমাদের ছেলে-মেয়েরা অত্যন্ত মেধাবী। তাদের সেই মেধা বিকাশের সুযোগটা আমাদের দেশের মধ্যেই করে দিতে হবে। আর সেইদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছি।  ঢাকায় সমরাস্ত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে সমরাস্ত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল বুধবার বিকালে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সম্মিলিত এ আয়োজন উদ্বোধন করেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়েরও দায়িত্বে থাকা শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে পৌঁছালে জাতীয় সংগীত বাজানো হয়। বিমান বাহিনীর তিনটি মিগ-২৯ এবং চারটি মিগ-২১ যুদ্ধবিমান লাল-সবুজ ধোঁয়া ছেড়ে উড়ে যায় আকাশে। এরপর বেলুন উড়িয়ে প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শুরুতেই ‘মুক্তিযুদ্ধ স্টলে’ যান। সেখানে শিল্পীরা স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের ‘পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে’ গানটি গেয়ে শোনান। পরে বিশেষায়িত স্কুল প্রবাসের শিক্ষার্থীরা ‘একটি বাংলাদেশ তুমি জাগ্রত জনতা’ গানটির সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করেন। প্রধানমন্ত্রী প্রদর্শনী ঘুরে দেখার সময় ছত্রীসেনারা প্যারাস্যুট নিয়ে আকাশ থেকে নেমে আসেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক, নৌ-বাহিনী প্রধান ভাইস অ্যাডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার মার্শাল আবু এসরার এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপ্যাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মাহফুজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এক সপ্তাহের এই প্রদর্শনী ২৩, ২৬, ২৭ ও ২৯ মার্চ সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকাল সাড়ে ৫টা এবং ২৪ মার্চ বেলা ১২টা পর্যন্ত সাধারণ মানুষের জন্য খোলা থাকবে। ২৮ মার্চ সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত সশস্ত্র বাহিনীর পরিবারের সদস্য ও সেনানিবাসের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থী এবং ২৯ মার্চ বেলা ১২টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের জন্য খোলা থাকবে এই প্রদর্শনী।



 

Show all comments
  • রাশেদ ২৩ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ পিএম says : 0
    দ্রুত এদেরকে খুঁজে বের করুন।
    Total Reply(0) Reply
  • জাহিদ ২৩ মার্চ, ২০১৭, ১২:০১ পিএম says : 0
    দেশকে জঙ্গি নামক এই আতঙ্ক থেকে বাঁচান।
    Total Reply(0) Reply
  • পলাশ ২৩ মার্চ, ২০১৭, ১২:০২ পিএম says : 0
    যে বা যারা এর সাথে জড়িত, তাদের প্রত্যেকের কঠোর শাস্তি চাই।
    Total Reply(0) Reply
  • Nur- Muhammad ২৩ মার্চ, ২০১৭, ৫:২৭ পিএম says : 0
    জঙ্গিদের কঠুর হস্তে দমন করুন। সামাজিক সহ সব ক্ষেত্রে তাদের বয়কট করুন। এই কাপুরুষেরা দেশ জাতীয় ধর্ম ও মানবতার শত্রু। তাদের প্রতিরোধ করার জন্য '৭১ এর মত সবায় এক হউন। তা হলে সাফল্য আমাদের আসবেই নিশ্চয়। আগে আমরা বলছি--- " বীর বাঙ্গালী অস্র ধর, বাংলাদেশ স্বাধীন করো"। এখন বলবো, " বীর বাঙ্গালী প্রতিরোধ কর, জঙ্গিবাদ নিপাত কর"।
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammed Shah Alam Khan ২৪ মার্চ, ২০১৭, ৬:২১ এএম says : 0
    বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জননেত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধকে যেভাবে বিভিন্ন স্তরের লোকজনদেরকে আলোকিত করছেন এটা যদি ১৯৭৫ সালে বন্ধ না হত তাহলে দেশের উন্নয় ২১ বছর স্তব্ধ হয়ে থাকত না। আজ দেশ অনেক এগিয়ে গিয়েছে বিশ্ব দরবারে তলা বিহীন ঝুড়ি থেকে মজবুত ঝুড়ি হিসাবে নেত্রী হাসিনাই পরিচিত করিয়েছেন ’৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে। আবার ’০৯ সালে থেকে অদ্যাবদি উন্নয়নের মাধ্যমে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ হিসাবে চিহ্নিত করে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে তথা আমরা যারা বিদেশে থাকি আমাদেরকে গৌরবান্বিত করেছেন। আমরা শেখ হাসিনার এই ঋণ কখনো পরিশোধ করতে পারবনা। আমি বিশ্বাস করি একমাত্র জননেত্রী শেখ হাসিনাই বাংলাদেশ থেকে জঙ্গী তৎপরতার শিকড় উপড়ে ফেলতে সক্ষম হবেন। জঙ্গি উৎখাতের যে তৎপরতা জননেত্রী নিয়েছে তার সেই পদ্ধতী ১০০% সঠিক। তিনি প্রথমে দেশের জনগণকে জঙ্গীবাদ সম্পর্কে বিস্তারিত ধর্মিয় এবং সামাজিক ভাবে অবগত করিয়ে এবার তিনি সরকারকে খতিয়ে দেখতে বলেছেন এটা ঠিক সময়মতই তিনি বলেছেন। এখন যদি জননেত্রী ওনার কর্ম পদ্ধতী ঠিক রেখে স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র দপ্তরের আমলা ও কামলাদেরকে সরাসরি নিজ ক্ষমতায় কঠিন ভাবে নিয়ন্ত্রণে নেন আমি নিশ্চিত জঙ্গি তৎপরতা বাংলাদেশ থেকে চিরতরে বিদায় নেবে এতে কোন সন্দেহ নেই। আল্লাহ্ শেখ হাসিনার সকল ভাল কাজে সহায়তা দিন এটাই আমার দোয়া। আমীন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ