Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জঙ্গিবাদের ব্যবহার সরকারের টিকে থাকার দুরভিসন্ধিমূলক কৌশল : মওদুদ আহম্মদ

| প্রকাশের সময় : ২৩ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : ক্ষমতায় টিকে থাকতে দুরভিসন্ধিমূলক কৌশল হিসেবে সরকার জঙ্গিবাদকে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেছেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। গতকাল বুধবার বিকেলে এক আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি, জঙ্গিবাদের ইস্যুটাকে নিয়ে অতিরঞ্জিত করা হচ্ছে। আরো দেখেছি আমরা অনেকে নিরীহ মানুষের ওপর অভিযানের নামে অহেতুক হয়রানি করা হচ্ছে। এটা নিশ্চয়ই সরকারের কোনো কৌশল। আমি বলব, তারা দুরভিসন্ধিমূলক একটা স্ট্যাটেজি বা কৌশল গ্রহণ করেছে। জঙ্গিবাদের উত্থানের মাধ্যমে বা জঙ্গিবাদের কর্মকাÐগুলো ফলাও করে ছাপিয়ে দিয়ে বাংলাদেশ গেøাবাল পলিটিক্সে আন্তর্জাতিক রাজনীতির প্রেক্ষাপটে সরকার জঙ্গিবাদের ইস্যুটাকে সামনে নিয়ে এনে নিজেদের ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার জন্যই চেষ্টা করছে। তাতে কোনো লাভ হবে না।
ব্যারিস্টার মওদুদের অভিযোগ, তারা (সরকার) যাতে ক্ষমতায় থাকতে পারেন, এই উদ্দেশ্য নিয়ে জঙ্গিবাদের ইস্যুটিকে নিয়ে তারা এসব কাজ করছে।
২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে শীর্ষ জঙ্গি নেতা শাইখ আব্দুুুুুর রহমান ও বাংলা ভাইয়ের বিচার বিএনপি করেছে দাবি করে সাবেক আইনমন্ত্রী বলেন, ওদের ফাঁসির আদেশ আমাদের সময়ে হয়েছে। আমরা এদেশ থেকে জঙ্গি নির্মূল করে দিয়েছিলাম। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর আবার জঙ্গিবাদের উত্থানের কথা তারা বলছেন। উপজেলা পর্যন্ত নাকি তারা অভিযান চালানো হবে। আমরা বলতে চাই, এটা ভুল হবে। এই অভিযানের নামে পুলিশ-র‌্যাব এরা সাধারণ মানুষকে হয়রানি করবে।
আমরা বলতে চাই, যারা সত্যিকারের জঙ্গিবাদ, উগ্রবাদ তাদের চিহ্নিত করে তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করুন। আমরা সহযোগিতা কবব। র‌্যাব-পুলিশ দিয়ে এই জঙ্গিবাদ দমন করা যাবে না, সরকারেরর একার পক্ষেও তা সম্ভব নয়। এরজন্য জাতীয় পর্যায়ে সকল মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।
জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে ‘মুক্তিযোদ্ধা শহীদ জিয়াউর রহমানের অবদান’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা হয়।
বিএনপির নিবন্ধন বাতিল সম্পর্কে সরকারের নেতাদের বক্তব্যের জবাবে মওদুদ আহমদ বলেন, এখন বলা হচ্ছে, জাতীয়তাবাদী দলের নিবন্ধন চলে যাবে যদি আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করি। এ ব্যাপারে আমি সুস্পষ্ট করে বলতে চাই, নিবন্ধন থাকুক আর না থাকুক, সেটা আমাদের জন্য কোনো ইস্যু নয়। আমাদের জন্য ইস্যু হলো জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনা, গণতন্ত্র আমাদের ফিরিয়ে আনতে হবে। এখানে আমাদের নাগরিকদের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনাই হচ্ছে আমাদের কাছে বড় ইস্যু।
নির্বাচন কমিশন তার গ্রহণযোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, সারাদেশে সরকারি দলের লোকেরা ভোট চেয়ে বেড়াচ্ছে। কালকে (মঙ্গলবার) প্রধানমন্ত্রী মাগুরায় ভোট চেয়েছেন। এতে আমাদের আপত্তি নেই, আপনি জনসভা করুন। কিন্তু নির্বাচনী প্রচারাভিযান আমাদেরকেও দিতে হবে। লেভেল প্ল্যান ফিল্ড বলতে যেটা বুঝায়, সকল রাজনৈতিক দল জনগণের কাছে যাবার সমান অধিকার পাবে। আমাদের বিরুদ্ধে অগণিত মিথ্যা মামলা, নির্যাতন, গুম, হত্যা- এগুলো চলছে।
মওদুদ আহম্মদ বলেন, আমরা জনসভা করতে চাইলে আমাদেরকে অনুমতি দেয়া হয় না। অথচ জাতীয় পার্টিও জনসভার করার সুযোগ পাচ্ছে। এ থেকে আমরা এখনই বুঝতে পারছি, আপনারা আগামীতে কেমন নির্বাচন করবেন? তার কিছুটা ইঙ্গিত আমরা পাচ্ছি। যদি মনে করেন এককভাবে নির্বাচন করবেন, আমাদেরকে দূরে রেখে, আমাদেরকে বন্দি রেখে, নানাভাবে মামলা-মোকাদ্দমা দিয়ে নির্বাচন করবেন, সে নির্বাচন সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। দেশের মানুষ এই নির্বাচন হতে দেবে না। ওই ধরনের ষড়যন্ত্র জনগণ সফল হতে দেবে না।
আগামীতে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা হবে বলেও মন্তব্য করেন সাবেক আইন মন্ত্রী।
সংগঠনের সভাপতি শফিকুল ইসলাম রাহীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার, কেন্দ্রীয় নেতা এ বি এম মোশাররফ হোসেনে প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।



 

Show all comments
  • Mohammed Shah Alam Khan ২৪ মার্চ, ২০১৭, ৭:৫২ এএম says : 0
    আমি একসময়ের বঙ্গবন্ধুর অন্ধ সমর্থক মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের পরিচিত মওদুদ সাহেব ১৯৭৫এর পট পরিবর্তেনর সুযোগে জিয়ার কেবিনেটে স্থান করে নেয়। এরপর আসে এরশাদ তার কেবিনেটিও স্থান পেয়ে যায় এরপর আবার পূর্বের দল ক্ষমতায় এলে তাদের সাথে চলে যান। জননেত্রীর বলা “র ও মার্কিন” এরা ক্ষমতার পালা বদল করেছিল ২০০১ সালের নির্বাচনে। কিন্তু আমি বলি এরা ১৯৭৫ সাল থেকে এযাবত বাংলাদেশর সরকার এরাই সমঝতা করে বানিয়েছে আর আমাদের বুদ্ধিজীবী দূর্দান্ত রাজনীতিবিদ মওদুদ সাহেব হচ্ছেন এদেরী এজেন্ট তাই এই দুই দল বদলে ওনার কোন দোষ নেই। জননেত্রী শেখ হাসিনা এখন বিশ্ব নন্দিত নেত্রী তাই তিনি নিজেকে বাচানোর জন্য এবং নিজের ক্ষমতা টিকেয়ে রাখার জন্য যেটা করা দরকার সেটাই করছেন। এখন আমি বলতে চাই মওদুদ সাহেব বলেছেন জাতীয় পার্টি জনসভা করার অনুমতি পায় কিন্তু বিএনপি পায়না। কথাটা অপ্রীতিকর সত্য কিন্তু কেন পান না এটা উনি বলেন না। সেটা হচ্ছে ওনাদের পেকাশ্য সভায় দাঙ্গা সামালদেয়া পুলিশের পক্ষে সম্ভব নয়। কথাটা অপ্রীতিকর সত্য কারন বিএনপি এখন মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি হিসাবে বিচারে প্রমানিত তাই বাংলার জনগন বাঙ্গালী বা বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী হউক না কেন এরা সবাই মুক্তিযুদ্ধের লোক তাই এরা কখনো দেশদ্রোহীদের পাঁশে দাঁড়াতে পারেনা পারবেও তাই। তাই এরা ২০১৪ সালে ভোট দিতে নাগেলেও এর বিরুধিতা করেনি এটা প্রমানিত এবং সামনের খালেদা জিয়ার নীরব ভোট হিসাবে এরা ভোট দিবেন এটাই তার আশা কিন্তু এতে গুরে বালি সেটাও প্রমানিত নারায়ণগঞ্জের আইভী নির্বাচনে। এরপর আবার মওদুদ বলছেন খালেদা জিয়ে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবে এটা কি ধরনের কথা ওনার মত একজন প্রখ্যাত রাজনীতিবিদের মুখে??? খালেদা জিয়া এরশাদের বিরুধী ছিলেন তাই তার ঘোষিত কোন নির্বাচনেই তিনি অংশ নেন নি আবার আওয়ামী লীগকেও শত্রু ভাবায় এদের নির্বাচনও বর্জন করেছে তাহলে তিনি কোন গণতন্ত্রে বিশ্বাসী যে গণতন্ত্রে নির্বাচন বর্জন করা যায়??? যে গণতন্ত্র আমরা জানিনা সেটা আগে জানান দিন...... অন্যদিকে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগকে যিনি তছনছ করে এবং জাতীর জনকের মৃত্যুর সু্যোগে ক্ষমতা দখল করেছিলেন সেই জিয়ার ঘোষিত নির্বাচনেও অংশ নিয়ে বিরুধী দল হিসাবে সংসদে যোগ দিইয়েছেন। আবার এরশাদের সময়ও নির্বাচন করে বিরুধী দল হিসাবে সংসদে ছিলেন। কিন্তু বিএনপি নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে বিরুধী দল হয়ে সংসদে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের সংসদে বিনা কারনে যোগ দিতেন না কারন তিনি আওয়ামী লীগকে মানেন না নির্বাচন বর্জন করেনি কারন তারই একতরফা ভাবে করা আইনে নিরপেক্ষ সরকার দেয়া নির্বাচন তাই। এটা কোন গণতন্ত্র আমি বুঝিনা তাই মওদুদ সাহেব এর ব্যাখা দিলে আমিও জানতাম বেগম জিয়ার গণতন্ত্রটা এবং কোন গণতন্ত্র তিনি আনবেন??? আবার ভারতের বিষয়ে বিএনপি জননেত্রী হাসিনাকে যে দোষ না করতেই দোষী রূপে দাঁড় করতে চাচ্ছে সেটা কখনো বিএনপি প্রমান করতে পারবেনা কারন জন দরদী দেশপ্রেমিক নেত্রী হাসিনা এটা জীবন গেলেও করবেননা এটাই আমার মহা বিশ্বাস এবং এটাই হবে আল্লাহ্‌র কৃপায় আমি নিশ্চিত। মাঝ খান দিয়ে “র এবং মার্কিন” দের খেলাও বন্ধ হয়ে যাবে। এতে করে দেশের অবস্থা হবে জয় জননেত্রী শেখ হাসিনার জয় এবং ইতিহাসের পাতায় জাতীর জনক বঙ্গবন্ধুর যোগ্য উত্তর সূরি হিসাবে শেখ হাসিনার নাম স্বর্নাক্ষরে আরো মজবুত হয়ে লিপিবদ্ধ হবে এটা আমার দোয়া। আমীন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ