Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে সরকার অন্যেরটা রক্ষার চেষ্টা করছেন- মির্জা ফখরুল

তিস্তা ছাড়া অন্য যে কোনো চুক্তি অর্থহীন হবে

| প্রকাশের সময় : ২৩ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে অন্যের স্বার্থ রক্ষার চেষ্টা করছেন। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের তিস্তা চুক্তি না হলে অন্য যে কোনো চুক্তি হবে অর্থহীন। তিনি বলেন, সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিসর্জন দিয়ে করা কোনো চুক্তি দেশের মানুষ মেনে নেবে না।  
জিয়া পরিষদের ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল বুধবার দুপুরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারের ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আমরা দাবি আদায়ে প্রচেষ্টা চালাতে পারছি না এই জন্য যে, বাংলাদেশে যারা ক্ষমতায় আছেন, রাষ্ট্র চালাচ্ছেন তারা আগেই দুর্বল ও নতজানু হয়ে আছেন। কারণ তারা বাংলাদেশের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে অন্যের স্বার্থকে রক্ষা করার চেষ্টা করছেন। বিএনপি ২০০১ সালে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ এবং যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতায় ক্ষমতায় এসেছিল বলে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্যের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রায়ই এধরনের ভিত্তিহীন অসত্য কথা বলে থাকেন। এটা স্বভাবে পরিণত হয়েছে। দুর্ভাগ্যজনক, তিনি যেভাবে একেবারেই ভিত্তিহীন, অসত্য, মিথ্যা ও বানোয়াট কথা বলে কি বুঝাতে চাচ্ছেন? তাহলে কী বাংলাদেশের নির্বাচন ‘র’ এবং যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতায় হয়? জনমনে প্রশ্ন আছে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে যেখানে কোনো ভোটার ভোট কেন্দ্রে যায়নি। ১৫৪জন সংসদ সদস্য বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় নির্বাচিত। তারা যে সরকারে বসে আছেন সেটাও কি ‘র’ এবং যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা নিয়ে? কাজেই আমরা প্রধানমন্ত্রীর এ ধরনের কথার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে অবশ্যই এধরনের কথা বলার আগে ভাবা উচিত ছিল। কারণ এতে দেশের ইমেজ নষ্ট হবে, দেশের ক্ষতি হয় এবং রাজনীতির ক্ষতির হয়।
প্রধানমন্ত্রীর নৌকার পক্ষে ভোট চাওয়া প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব বলেন, নৌকার পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর ভোট চাওয়াই প্রমাণিত হচ্ছে দেশে গণতন্ত্র বলে কিছু নেই। একটি দল ও তার সভাপতি রাষ্ট্রের অর্থায়নে হেলিকপ্টার ব্যবহার করে ভোট চাচ্ছেন, ক্যামপেইন করছেন। অন্য দিকে সকল বিরোধীদলকে ঘরে আটেকে রেখেছেন। বিএনপিকে কোথাও একটি জনসভা করার অনুমতি দিচ্ছেন না। মূলত তিনি (প্রধানমন্ত্রী) একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করতে এগিয়ে চলেছেন।
বাংলাদেশ থেকে ব্যাপকহারে জঙ্গি ভারতে প্রবেশ করছেন বলে ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জঙ্গিবাদের রহস্য নিয়ে ব্যাখ্যা দেয়া সম্ভব না। কিন্তু আমরা আগেই বলেছি এই সরকার জঙ্গিবাদকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছে। এমনকি সরকারের প্রচারণার কারণেই আজকে বিভিন্নভাবে বাংলাদেশকে একটি জঙ্গি রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিতি দেয়ার জন্য গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। তাই বাংলাদেশের সকল মানুষকে এই জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো উচিত বলে আমরা মনে করি।
জঙ্গিবাদের কারণে আগামী নির্বাচন পিছিয়ে যেতে পারে বলে কোনো আশঙ্কা করছেন কিনা প্রশ্নে জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আশঙ্কা করি না এই জন্য যে নির্বাচনের বিষয়টাই এখনো নিশ্চিত নয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ