পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : গত বুধবার ওয়াশিংটনে ট্রাম্প প্রশাসনের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই বৈঠকের মূল বিষয় ছিল আইএস দমনের প্রক্রিয়া ও ধরন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্যের জিহাদিদের নির্মূল করার জন্য বেশ শক্ত ভূমিকার রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আর এই সিদ্ধান্তকে বেশি প্রভাবিত করেছেন সউদি যুবরাজের সফর। যুবরাজ আশা পোষণ করেন যে, যুক্তরাষ্ট্র মুসলমানদের বন্ধু। আর সেই সূত্রে ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্যের ৬৮ দেশীয় আঁতাতকেই আইএস বিরোধী অভিযানে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজে লাগাবেন।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গত জানুয়ারি মাসে এক আদেশে স্বাক্ষর করেন, তার প্রতিপাদ্য বিষয় ছিলো, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ৩০ দিনের মধ্যে আইএস উৎখাত করবেন। এ ছাড়া পেন্টাগনের উপর বর্তে ছিল আইএস দমনের পরিকল্পনা তৈরি করার। পেন্টাগন গত মাসে দেরি করে হলেও একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরি করে কিন্তু সাধারণ মানুষের জানার ও বোঝার বাইরে রয়ে গেছে সেই কর্মপরিকল্পনা। তবে মাত্র ২ দিন আগে ইরাকি প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল আবাদি আইএস দমনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক শক্তি সহযোগিতা লাভ করেছেন। আর তারাই এখন প্রতিশ্রæতিবন্ধ সমগ্র ইরাক থেকে আইএস নির্মূল করবার জন্য। বিষয়টি সুন্নি মুসলমানেরা কোনো ভাবেই ভালো ভাবে নিতে পারে না। কারণ ইরাকে সুন্নিদের বসতি ও কর্মকাÐ উল্লেখযোগ্য হারে রয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইএস দমনের পরিকল্পনার নেতৃত্বে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টেলারসন। টেলারসন অতি সম্প্রতি দুই দিনের সফরে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় সফর সেরে এসেছেন, এছাড়া তিনি মনে রেখেছেন উত্তর কোরিয়ার বিরূপ ধারণার বিষয়টিও। এখন তিনিই নির্ধারণ করবেন কী ভাবে এবং কোন পর্যায়ে আইএস দমনের বিষয়টি সামনে আনা যায় এবং তা সার্থক হতে পারে। বিশ্লেষকেরা বলেছেন, ইসলামফোবিয়ার কারণে সন্ত্রাসবাদ নির্মূল হচ্ছে না বরং ইসলামি জঙ্গিবাদ বেড়েই চলেছে। নিউজ উইক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।