Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

থাইল্যান্ডের সরাসরি বিনিয়োগ চাইলেন বাণিজ্যমন্ত্রী

| প্রকাশের সময় : ২৩ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, থাইল্যান্ড বাংলাদেশের ঘনিষ্ট বন্ধু রাষ্ট্র। দু’দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। থাইল্যান্ডের অনেক পণ্যের চাহিদা রয়েছে বাংলাদেশে, থাইল্যান্ডেও বাংলাদেশের তৈরী অনেক পণ্যের চাহিদা রয়েছে। থাইল্যান্ডের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে তা লাভজনক হবে। সরাসরি ফরেন ইনভেষ্টমেন্ট (ডিএফআই) বাংলাদেশ সরকার উৎসাহিত করছে, এক্ষেত্রে অনেক সুযোগ-সুবিধা দেয়া হচ্ছে। সরকার আইন করে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষা করেছে। উদার বিনিয়োগনীতিতে বিনিয়োগকারীগণ শতভাগ বিনিয়োগ করতে পারবেন এবং প্রয়োজনে সম্পূর্ণ বিনিয়োগের অর্থ ফিরিয়ে নিতে পারবেন। মন্ত্রী বলেন, বিনিয়োগের ক্ষেত্রে উভয় দেশের ব্যবসায়ীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। বাংলাদেশে চমৎকার বিনিয়োগের পরিবেশ রয়েছে, বিশ্বের অনেক দেশ বাংলাদেশে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। থাইল্যান্ডের বিনিয়োগকারীরা চাইলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন থেকে থাইল্যান্ডকে এক বা একাধিক জোন বরাদ্দ দেওয়া হবে।
গতকাল রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ঢাকাস্থ রয়েল থাই দূতাবাস এবং থাইল্যান্ড সরকারের ডিপার্টমেন্ট অফ ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড প্রমোশন যৌথভাবে আয়োজিত থাই পণ্যের ১৫তম প্রদর্শনী ‘থাইল্যান্ড উইক-২০১৭’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ এখন বিশে^র মধ্যে উন্নয়নের রোল মডেল। বিশ^বাণিজ্য ক্ষেত্রে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলছে। বাংলাদেশ গত বছর রফতানি করেছে ৩৪ দশমিক ২৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য, এ বছর রফতানি হবে ৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২০২১ সালে এ রফতানির পরিমাণ দাঁড়াবে ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। এরমধ্যে তৈরী পোশাক রফতানি হবে আসবে ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। দেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে আগামী ২০২১ সালে বাংলাদেশ হবে ডিজিটাল এবং মধ্য আয়ের দেশ। গতবছর জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল ৭ দশমিক ১১ ভাগ এবছর হবে ৭ দশমিক ২ ভাগ। গিত প্রায় ১০ বছর দেশের এ প্রবৃদ্ধি গড়ে ৬ ভাগের বেশি হয়েছে। বাংলাদেশ এখন টেকসই উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশে এখন অনেক মেগা প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, মেলার মাধ্যমে উভয় দেশের মানুষ বিভিন্ন পণ্যের সাথে পরিচিত হবার সুযোগ পান। গত বছর বাংলাদেশ থাইল্যান্ডে সিঙ্গেল কান্ট্রি ফেয়ার করেছে। থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারী এবং সে দেশের মানুষ বাংলাদেশের পণ্যের সাথে পরিচিত হয়েছে। থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের অনেক পণ্যের চাহিদা রয়েছে। উভয় দেশের পর্যটক বিনিময়ের সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশের অনেক মানুষ থাইল্যান্ডে স্বাস্থ্য সেবা নিয়ে থাকে। উভয় দেশের বাণিজ্য বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। গত ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরে বাংলাদেশ থাইল্যান্ডে ৩৫.১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রফতানি করেছে, একই সময়ে আমদানি করেছে ৬৬৮ দশমিক শূন্য ৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। থাইল্যান্ডে পণ্য রফতানি বৃদ্ধি করে এ বাণিজ্য ব্যবধান কমানো সম্ভব। থাইল্যান্ড ইতোমধ্যে বাংলাদেশের পণ্য রফতানি ক্ষেত্রে বেশ কিছু পণ্যের উপর শুল্ক কমিয়েছে। বাণিজ্য সহযোগিতা আরো বৃদ্ধি করা হলে বাংলাদেশেল রফতানি বাড়বে।
চারদিনের এ মেলায় ২২ ও ২৩ মার্চ ব্যবসায়ীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে এবং ২৪ ও ২৫ মার্চ প্রদর্শনী সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। মেলায় থাই পণ্যের উৎপাদক ও রফতানিকারকগণ সরাসরি অংশ নিয়েছে। মেলায় চিকিৎসা সেবা, কসমেটিকস, সৌন্দর্যবর্ধক, তৈরী পোশাক, ফ্যাশন সামগ্রী, ইলেক্ট্রনিক পণ্য, স্পা, জুয়েলারি, কনফেকশনারি, গৃহস্থলি পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রয় করা হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- ঢাকায় নিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত পানপিমোন সোয়ান্নাপং, মিনিস্টার কনস্যুলর (কমার্শিয়াল) সিবস্যাক ডেনবুনরিয়াং। মন্ত্রী মেলার উদ্বোধনের পর বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ