পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : আন্তর্জাতিক মানবপাচারকারী চক্রের ৯ সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। এসময় ৯জন ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার পাচারচক্রের ৯ সদস্যকে রাজধানীর বিমানবন্দর, উত্তরা, বাড্ডার সাঁতারকুল ও পল্টন থেকে গ্রেফতার করা হয়। এরা হলোÑ মো. বাদশা শেখ (৩৮), মো. মামুন (২৪), মো. রিপন হোসেন, মো. নাসির উদ্দিন (৩৭), মো, মনিরুজ্জামান (৩৬), সজল কুমার বাইন (৩৫), মো. নাসির উদ্দিন (৫৩), মো. আহসানুজ্জামান ওরফে সোহাগ (২৮) ও মো. রাজিব (৩২)। তাদের কাছ থেকে ১০০টি পাসপোর্ট, ৩২টি জাল ভিসা, ৮টি মনিটর, ৬টি সিপিইউ, ৫টি ইউপিএস, ৪টি প্রিন্টার, ৯টি কি-বোর্ড, একটি স্ক্যানার, ২৫টি মোবাইল ফোন, ৬টি সিল মোহর, একটি ফটোকপি মেশিন, ২৮ হাজার ইন্দোনেশিয়ান রিঙ্গিত, ৪২ মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত এবং নগদ ৯৪ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
গতকাল বুধবার রাজধানীর কারওয়ানবাজরে র্যাবের মিডিয়া সেন্টার এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা মানবপাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকার করেছে। চক্রের মূল হোতা আব্দুল হালিম ওরফে হালিম মামা মালয়েশিয়া থেকে তার সেকেন্ড ইন কমান্ড গ্রেফতার মো. বাদশা শেখ, মো. রিপন ও মামুন হোসেন ওরফে ভাগ্নে মামুনের মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলের অসহায় ও স্বল্প আয়ের মানুষদের প্রলোভন দেখিয়ে আন্তর্জাতিক মানবপাচার চক্রের মাধ্যমে বিদেশে পাঠানোর নামে মানবপাচার করছে। বিভিন্ন সময় পাচার চক্রের সদস্যদের গ্রেফতারের বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, অনেক সময় মামলার ফাঁক দিয়ে তারা বেরিয়ে যাচ্ছে। আব্দুল হালিম ওরফে হালিম মামা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে পূর্বেও মামলা দিয়েছিলাম। কিন্তু তারা আবার জামিনে গিয়ে একই কাজ করছে।
র্যাবের এ কর্মকর্তা জানান, গ্রামের অল্পশিক্ষিত লোকজন সহজে প্রলুব্ধ হয়। কম খরচে বিদেশে যাওয়া যাবে বলে তারা প্রাথমিকভাবে বৈধ-অবৈধের বিষয়টি চিন্তা করে না। একবার যখন তারা টাকা দিয়ে ফেলে এরপর থেকেই তারা ওই ফাঁদে পড়ে যায়। এরপর থেকে প্রতারণার পর্যায়গুলো শুরু হতে থাকে। এই ক্ষেত্রে সচেতনার প্রয়োজন, সচেতনতার অভাবেই এমনটা হয়ে থাকে বলে মনে করেন তিনি।
র্যাবের অভিযানে প্রতারক চক্রের সঙ্গে জড়িত দুইটি ট্রাভেল এজেন্সি সন্ধান পাওয়া গেছে জানিয়ে তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ বলেনÑ এগুলো হচ্ছে গো ইজি এবং সান ওয়ে ট্রাভেলস। গো ইজির অফিস গুলশান ও আর পল্টনে সানওয়ে। এগুলোর কোনো বৈধ রিক্রটিং লাইসেন্স বা এই জাতীয় কোনো কাগজপত্র নেই। গ্রেফতার হওয়াদের মধ্যে এ দু’টি এজন্সির মালিকরাও রয়েছেন।
গ্রেফতারকৃত পাচারকারীর চক্রের সদস্যরা মালয়েশিয়া ও সাইপ্রাস পাচারকালে বিমানবন্দর এলাকা থেকে ৯ জন ভুক্তভোগীকে উদ্ধারের কথা জানিয়েছেন র্যাব-৩ এর অধিনায়ক মাসুদ। উদ্ধারকৃতরা হলেনÑ মো. জজ মিয়া (২৩), মো. সুমন (২৪), মো. শফিকুল ইসলাম (২৬), মো. মাহবুব মিয়া (২৩), মো. ফরহাদ মিয়া (২৬), গোলাম রব্বানী (১৮), সুজন দাস (২৪), আলমগীর হোসেন (৩৫) ও মো. হাবিবুর (২৩)। তাদের বাড়ি ময়মনসিংহ, নারায়ণগঞ্জ, যশোর, বগুড়া ও সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায়। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।