Inqilab Logo

শুক্রবার, ৩১ মে ২০২৪, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

চিঠিপত্র : শারীরিক শিক্ষা, খেলাধুলা ও স্বাস্থ্যবিজ্ঞান বাদ দেয়া হবে কেন?

| প্রকাশের সময় : ২৩ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম


পত্রিকান্তরে জানতে পারলাম, ২০১৮ সালের এসএসসি পরীক্ষা থেকে চারটি বিষয় বাদ দেয়া হচ্ছে এবং এই চারটি বিষয় সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মূল্যায়র করবে। প্রসঙ্গত, কৃষিশিক্ষা ও গার্হস্থ্য বিজ্ঞান পৃথক বিষয়। ছাত্রছাত্রীরা আলাদা আলাদাভাবে শিক্ষা গ্রহণ করে। অথচ শারীরিক শিক্ষা, খেলাধুলা ও স্বাস্থ্যবিজ্ঞান একটি সমন্বিত বিষয় এবং একসঙ্গে শিক্ষা গ্রহণ করা যায়। তাহলে শারীরিক শিক্ষা, খেলাধুলা ও স্বাস্থ্যবিজ্ঞান বিষয়কে কেন বাদ দেয়া হবে?
শারীরিক শিক্ষা ছাড়া শিক্ষার পূর্ণতা আসে না। যেসব গুণ থাকলে দেশের প্রতিটি নাগরিক সুস্থ, সবল, দেশপ্রেমিক ও দায়িত্বজ্ঞান সম্পন্ন হয়ে গড়ে ওঠে এবং নিজের আবেগকে নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয়-শারীরিক শিক্ষা সেইসব গুণ অর্জনে প্রত্যক্ষ অবদান রাখে। নেতৃত্ব ও ব্যক্তিত্ব গঠনেও শারীরিক শিক্ষার অবদান অসামান্য। জানা মতে, পৃথিবীর প্রায় সকল দেশেই শারীরিক শিক্ষা, খেলাধুলা ও স্বাস্থ্য বিজ্ঞান ভিন্ন ভিন্ন নামে প্রাথমিক স্তর থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত বাধ্যতামূলক। শারীরিক শিক্ষা, খেলাধুলা ও স্বাস্থ্য বিজ্ঞানে শিক্ষার্থীর নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধ থেকে শুরু করে ইতিহাস ও ঐতিহ্য চেতনা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতিবোধ, দেশপ্রেমবোধ, প্রকৃতি-চেতনা এবং ধর্ম-বর্ণ-গোত্র ও নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবার প্রতি সমমর্যাদাবোধ জাগায়।
এ অবস্থায়, সার্বিক কল্যাণের স্বার্থে এসএসসি (পাবলিক পরীক্ষায়) পর্যন্ত চালু রেখে পরবর্তী পর্যায়ে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত বাধ্যতামূলক করে এইচএসসি পরীক্ষায় অন্তর্ভুক্ত করতে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধŸতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
সুধীর বরণ মাঝি
হাইমচর, চাঁদপুর

চিকিৎসাসেবা আইন সংশোধন করুন
গত ৩ জানুয়ারি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ওয়েব সাইটে ‘চিকিৎসাসেবা আইন ২০১৬’-এর খসড়া প্রকাশ করা হয়। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, এখানে স্বাস্থ্যসেবার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পদ মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাস্টি পদ দুটির কথা কোথাও উল্লেখ করা হয়নি। আইনটির ২ নম্বর ধারায় স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী ব্যক্তির সংজ্ঞায় সংবিধিবদ্ধ সংস্থার অধীনে নিবন্ধিত চিকিৎসক, মেডিকেল অ্যাস্টিস্টান্ট, নার্স, মিডওয়াইফ, প্রশিক্ষণরত মেডিকেল বা নার্স ছাত্রছাত্রী এমনকি চিকিৎসা সহায়তাকারীদের কথা উল্লেখ করলেও মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের কথা কোথাও উল্লেখ নেই। এটা একটা পেশার প্রতি চরম অবহেলার বহিঃপ্রকাশ। মাত্র ৬ মাস আগে পাস করা প্রথম ব্যাচের মিডওয়াইফের সংজ্ঞা আছে, অথচ ৫০ বছরেরও বেশি পুরনো পদ মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের সংজ্ঞা নেই।
এটা অনিচ্ছাকৃত ভুল নাকি অবহেলা? মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের বিষয়টি অস্পষ্ট রেখে এই আইনটি পাস করা হলে এ পেশাটি ব্যাপকভাবে পিছিয়ে পড়বে এবং সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিকের ল্যাবরেটরি এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোতে সকল মেডিকেল টেকনোলজিস্ট-ফার্মাসিস্ট ও সেবাগ্রহীতা জনসাধারণ দুপক্ষই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। দেশের স্বাস্থ্য বিভাগের সার্বিক উন্নয়নে ২ নম্বর ধারার ১৩, ২০, ২১ নম্বর উপধারার স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী ব্যক্তির সংজ্ঞানুযায়ী স্বাস্থ্যসেবার গুরুত্বপূর্ণ পদ মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্ট পদ দুটির সংজ্ঞা সংযোজন করার জন্য অনুরোধ করছি। উল্লেখ্য যে, সর্বশেষ বাংলাদেশ গেজেটে প্রকাশিত ‘চিকিৎসাসেবা আইন-২০০৮’ খসড়াতেও মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের সংজ্ঞা উল্লেখ করা ছিল।
এএস শ্রাবণ
বিএমটিপি, চট্টগ্রাম



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন