পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : সরকার দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে অন্যের স্বার্থ রক্ষার চেষ্টা করছেন এমন অভিযোগ করেছে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘আমরা দাবি আদায়ে প্রচেষ্টা চালাতে পারছি না এই জন্য যে, বাংলাদেশে যারা ক্ষমতায় আছেন, রাষ্ট্র চালাচ্ছেন তারা আগেই দুর্বল ও নতজানু হয়ে আছেন। কারণ তারা বাংলাদেশের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে অন্যের স্বার্থকে রক্ষা করার চেষ্টা করছেন।
আজ বুধবার দুপুরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। জিয়া পরিষদ নামক একটি সংগঠনের ৩০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে তিস্তার পানি চুক্তির কোনো সম্ভাবনা নেই বলে পানি সম্পদ মন্ত্রীর দেয়া বক্তব্যের কঠোর সমালোচনায় মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের তিস্তা চুক্তি না হলে অন্য যে কোনো চুক্তি হবে অর্থহীন। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিসর্জন দিয়ে করা কোনো চুক্তি দেশের মানুষ মেনে নেবে না।’
বিএনপি ২০০১ সালে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ এবং যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতায় ক্ষমতায় এসেছিল বলে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্যের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রায়ই এধরনের ভিত্তিহীন অসত্য কথা বলে থাকেন। এটা স্বভাবে পরিণত হয়েছে। দুর্ভাগ্যজনক তিনি যেভাবে একেবারেই ভিত্তিহীন, অসত্য, মিথ্যা ও বানোয়াট কথা বলে কি বুঝাতে চাচ্ছেন? তাহলে কী বাংলাদেশের নির্বাচন ‘র’ এবং যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতায় হয়? জনমনে প্রশ্ন আছে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে যেখানে কোনো ভোটার ভোট কেন্দ্রে যায়নি।১৫৪জন সংসদ সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত। তারা যে সরকারে বসে আছেন সেটাও কি ‘র’ এবং যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতায় নিয়ে? কাজেই আমরা প্রধানমন্ত্রীর এ ধরণের কথার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে অবশ্যই এধরণের কথা বলার আগে ভাবা উচিত ছিল। কারণ এতে দেশের ইমেজ নষ্ট হবে, দেশের ক্ষতি হয় এবং রাজনীতির ক্ষতির হয়।
প্রধানমন্ত্রীর নৌকার পক্ষে ভোট চাওয়া প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব বলেন, নৌকার পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর ভোট চাওয়াই প্রমাণিত হচ্ছে দেশে গণতন্ত্র বলে কিছু নেই।একটি দল ও তার সভাপতি রাষ্ট্রের অর্থায়নে হেলিকপ্টার ব্যবহার করে ভোট চাচ্ছেন, ক্যাম্পেইন করছেন। অন্য দিকে সকল বিরোধীদলকে ঘরে আটেকে রেখেছেন।বিএনপিকে কোথাও একটি জনসভা করার অনুমতি দিচ্ছেন না। মূলত তিনি (প্রধানমন্ত্রী) একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করতে এগিয়ে চলেছেন।
বাংলাদেশ থেকে ব্যাপকহারে জঙ্গি ভারতে প্রবেশ করছেন বলে ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জঙ্গিবাদের রহস্য নিয়ে ব্যাখ্যা দেয়া সম্ভব না। কিন্তু আমরা আগেই বলেছি এই সরকার জঙ্গিবাদকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ব্যবহার করছে। এমনকি সরকারের প্রচারণার কারণেই আজকে বিভিন্নভাবে বাংলাদেশকে একটি জঙ্গি রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিতি দেয়ার জন্য গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। তাই বাংলাদেশের সকল মানুষকে এই জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো উচিত বলে আমরা মনে করি।
জঙ্গিবাদের কারণে আগামী নির্বাচন পিছিয়ে যেতে পারে বলে কোনো আশঙ্কা করছেন কিনা প্রশ্নে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আশঙ্কা করি না এই জন্য যে নির্বাচনের বিষয়টাই এখনো নিশ্চিত নয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।