Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরকালে তিস্তা চুক্তি হচ্ছে না -পানিসম্পদ মন্ত্রী

| প্রকাশের সময় : ২২ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে বহুল আলোচিত তিস্তা পানিবণ্টন চুক্তি হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন পানিসম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। তবে ভারত এই চুক্তির ব্যাপারে আন্তরিক। এবার না হলেও পরবর্তী সময়ে এই চুক্তি সম্পাদিত হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি।
গতকাল (মঙ্গলবার) ঢাকায় এক গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন। বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষে এই  গোলটেবিলের আয়োজন করা হয়। আজ (বুধবার) বিশ্ব পানি দিবস পালিত হবে।
পানিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, তিস্তা চুক্তির বিষয়ে ভারতের আগের দুই প্রধানমন্ত্রী যেমন আন্তরিক ছিলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রীও তেমন আন্তরিক। তবে তাদের কিছু অভ্যন্তরীণ সমস্যা রয়েছে। আমরা আশা করতে পারি, সেসব সমস্যা সমাধানের পর চুক্তিটি করতে পারব। আগামী ৭ এপ্রিল চার দিনের সফরে ভারত যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৮ এপ্রিল তিনি সে দেশের সরকারপ্রধান নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করবেন।
এর আগে গত বুধবার নোয়াখালীতে এক অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন ভারত সফরেই তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি হবে। এই চুক্তি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অমীমাংসিত যেসব সমস্যা নিয়ে গত কয়েক বছর ধরে সবচেয়ে বেশি সমালোচনা হচ্ছে, তার একটি তিস্তার পানিবণ্টন। ভারত এই নদী থেকে পানি প্রত্যাহার করায় উত্তরাঞ্চলের নীলফামারী, লালমনিরহাট, রংপুর, কুড়িগ্রামে পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
নদীতে পানি না থাকায় দেশের সবচেয়ে বড় সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজও প্রায় অকার্যকর হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে শুকনো মৌসুমে উত্তরাঞ্চলের বিরাট এলাকায় চাষাবাদে বিঘœ ঘটছে।
২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরে তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি হওয়ার সব প্রক্রিয়া চূড়ান্ত ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের আপত্তিতে আটকে যায় সে চুক্তি।
মমতার দাবি, বাংলাদেশকে কেন্দ্রীয় সরকার যত পানি দেয়ার কথা বলছে, তত পরিমাণ পানি তিস্তায় আসে না। পশ্চিমবঙ্গের উজানে গজলডোবায় বাঁধ দিয়ে পানি প্রত্যাহার করে নেয়ায় পশ্চিমবঙ্গও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।



 

Show all comments
  • বোরহান ২২ মার্চ, ২০১৭, ১:৪০ এএম says : 1
    তাহলে এই সফরের কী দরকার ?
    Total Reply(0) Reply
  • Nur-Muhammad ২২ মার্চ, ২০১৭, ১১:৪৫ এএম says : 0
    তা হলে কি চুক্তি হবে জনগণকে জানান।
    Total Reply(0) Reply
  • ২২ মার্চ, ২০১৭, ১:০৩ পিএম says : 0
    avaby Bangladasar Barota Bajaba India Tobuo Amra Tar Tusamod Korbo. Ki Besetro?
    Total Reply(0) Reply
  • Arif Pathan ২২ মার্চ, ২০১৭, ১:১৫ পিএম says : 0
    সেটা আমরা আগেই মালুম করেছি।
    Total Reply(0) Reply
  • Nurul Haque ২২ মার্চ, ২০১৭, ১:১৫ পিএম says : 0
    Ta hole Ki chukti korta Chan apnera
    Total Reply(0) Reply
  • Shamim Hawlader ২২ মার্চ, ২০১৭, ১:১৬ পিএম says : 0
    very sad
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ