পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : জরিমানা ছাড়াই গাড়ির কর পরিশোধের সুযোগ দিয়েছে বিআরটিএ। আগামী ৩১ মে পর্যন্ত এই সুযোগ নিতে পারবেন গাড়ির মালিকরা। দীর্ঘদিন গড়িমসির পর এ সিদ্ধান্তের কারণে সরকার তিনশ’ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করবে বলে বিআরটিএ কর্মকর্তারা আশা করছেন। একজন কর্মকর্তা বলেন, পহেলা মার্চ থেকে জরিমানা ছাড়াই গাড়ির কর পরিশোধের সুযোগ দেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে ব্যাপক সাড়া পেয়েছি আমরা। দিন দিন ভিড় বাড়ছে। শেষের দিকে আরও বাড়বে। ওই কর্মকর্তা বলেন, আশা করছি এবারের রাজস্ব তিনশ’ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে এমন সুযোগ দেয়ায় ২৭৫ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছিল।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, চলতি বছর জানুয়ারি মাসে গাড়ি মালিকদের মধ্যে যারা কর খেলাপি, তারা জরিমানা ছাড়াই যাতে পরিশোধের সুযোগ পান সে বিষয়ে একটি প্রস্তাব পাঠায় অর্থ মন্ত্রণালয়ে। কিন্তু অর্থ মন্ত্রণালয় প্রথমে সেই প্রস্তাব নাকচ করে দেয়।
এরপর সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের অর্থমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাত করে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করলে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত তাতে মৌখিক সম্মতি জানান। এরপর প্রস্তাবটি লিখিত আকারে পাঠানোর পর অর্থমন্ত্রণালয়ে তা আটকে থাকে। বেশ কিছুদিন আটকে থাকার পর মতামতের জন্য প্রস্তাবটি এনবিআরএ পাঠানো হয়। সেখানেও আটকে থাকে প্রস্তাবটি। বেশ কিছুদিন পর সেটি আলোচনায় তুললে এনবিআর-এর কর্মকর্তারা এ ধরনের সুযোগ না দেয়ার পক্ষে মত দেন। তবে এনবিআর চেয়ারম্যান রাজস্ব আদায়ের সম্ভাবনা দেখে এর পক্ষে মত দেন। অর্থমন্ত্রণালয় থেকে এনবিআর হয়ে প্রস্তাবটি সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে আসতে দুই মাস পেরিয়ে যায়। সূত্র জানায়, শুরুতে পরিকল্পনা ছিল জানুয়ারি থেকে এই সুযোগ দেয়া হবে, চলবে এপ্রিলের মাঝামাঝি পর্যন্ত। এতে করে পরবর্তী বছরের জন্য গাড়ির মালিকরা আবার সামনের জুনে কর পরিশোধ করার জন্য কিছু সময় পাবেন। কিন্তু সে সুযোগ আর পাচ্ছেন না মালিকরা। পহেলা মার্চ থেকে এ সুযোগ দেয়া হয়েছে, চলবে ৩১ মে পর্যন্ত।
বিআরটিএ’র একজন কর্মকর্তা জানান, গাড়ির মালিকরা সময় মতো কর পরিশোধ না করায় যে হারে জরিমানা নির্ধারণ করা হয়েছে তা সহনীয় পর্যায়ে নয়। এতে করে মালিকরা কর খেলাপী হচ্ছেন। সময়মতো সরকার রাজস্বও পাচ্ছে না। জরিমানার পরিমাণ কমালে এতোটা করখেলাপির সংখ্যা এতো বাড়তো না। ওই কর্মকর্তা বলেন, কর খেলাপির সংখ্যা এতোটাই বেড়েছে যে কিছুদিন যাবত রাজস্ব আদায় একেবারে কমে আসছিল। তবে জরিমানা ছাড়াই কর আদায়ের সুযোগ দেয়ায় রাজস্ব আদায় আবারও বাড়ছে। প্রতিদিনই বিআরটিএ-তে মালিকদের ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সামনের মাসে এই ভিড় আরও বাড়বে। বিশেষ করে নির্ধারিত তারিখের আগের কয়েকদিন আশাতীত ভিড় হবে বলে ধারণা করা যায়।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালেও গাড়ির মালিকদের এ ধরনের সুযোগ দেয়া হয়েছিল। তখন ২৭৫ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে। সেই সফলতা থেকেই ফের একই ধরনের সুযোগ দেওয়ার চিন্তা করা হয় বলে জানান ওই কর্মকর্তা। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, এবার রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ ৩শ’ কোটি ছাড়িয়ে যাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।