পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : দুধের শিশু থেকে বিচ্ছিন্ন করে দুই মাকে ১৩ ঘণ্টা থানায় আটকে রাখার ঘটনায় মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও উপ-পরিদর্শককে (এসআই) তলব করেছেন হাইকোর্ট।
ওসি জিয়াউল মোরশেদ ও এসআই মো. মাহতাবকে আগামী ২৯ মার্চ স্বশরীরে আদালতে উপস্থিত থেকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে, এই ঘটনার তদন্ত করে আগামী ৯ মে’র মধ্যে পুলিশ মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) প্রতিবেদনও দিতে বলেছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর বেঞ্চ এ আদেশ দিয়েছেন। এ ছাড়াও অমানবিকভাবে দুই মাকে আটকে রাখার ঘটনাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে রুলও জারি করেছেন। চার সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব, আইজিপি, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি, মাদারীপুর পুলিশ সুপার, সদর থানার ওসিসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে রানা কাওসার হাইকোর্টে গত ২০ মার্চ জনস্বার্থে রিট আবেদন করেন। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ফাওয়াজিয়া করিম ফিরোজ। রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস।
আদেশের পর রিটকারী আইনজীবী রানা কাওসার সাংবাদিকদের বলেছেন, গত ১২ মার্চ, বিরোধপূর্ণ একটি জমির তদন্ত কাজে যান মাদারীপুর সদর থানার এসআই মাহাতাব হোসেন। এ সময় তিনি ল²ীগঞ্জ এলাকার বিরোধপূর্ণ জমির পাশের বাড়ির খালেক বেপারীর ছেলে পনির হোসেনের কাছে মামলা সংক্রান্ত বিষয় জানতে চান। পনির মামলার বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানান। এতে এসআই মাহাতাব ক্ষিপ্ত হয়ে পনিরকে থাপ্পড় দেন। এক পর্যায়ে পনির পুলিশের সাথে বাক-বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এতে আরও বেশি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন মাহাতাব। পরে ফোন করে সদর থানা থেকে তিন গাড়ি পুলিশ নিয়ে পনিরের বাড়িতে ব্যাপক তান্ডব চালান তিনি। এ সময় পনির ও তার বড় ভাই-বোনের ঘরে মূল্যবান আসবাবপত্র ও রান্নার চুলাও ভেঙে ফেলা হয়। এক পর্যায়ে পনিরের স্ত্রী ঝুনু বেগম ও তার বড় ভাইয়ের স্ত্রী আকলিমা বেগমকে টেনে-হিঁচড়ে পুলিশের গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। ঝুনু বেগমের তিন মাসের শিশু ও আকলিমা বেগমের ১৮ মাসের শিশুকে কোল থেকে রেখে যেতে বাধ্য করে পুলিশ। এরপর রাত ১২টার দিকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে সাদা কাগজে মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।