Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মাদারীপুর সদর থানার ওসি-এসআইকে হাইকোর্টে তলব

দুধের শিশু থেকে মাকে বিচ্ছিন্ন

| প্রকাশের সময় : ২২ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম


স্টাফ রিপোর্টার : দুধের শিশু থেকে বিচ্ছিন্ন করে দুই মাকে ১৩ ঘণ্টা থানায় আটকে রাখার ঘটনায় মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও উপ-পরিদর্শককে (এসআই) তলব করেছেন হাইকোর্ট।
ওসি জিয়াউল মোরশেদ ও এসআই মো. মাহতাবকে আগামী ২৯ মার্চ স্বশরীরে আদালতে উপস্থিত থেকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে, এই ঘটনার তদন্ত করে আগামী ৯ মে’র মধ্যে পুলিশ মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) প্রতিবেদনও দিতে বলেছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর বেঞ্চ এ আদেশ দিয়েছেন। এ ছাড়াও অমানবিকভাবে দুই মাকে আটকে রাখার ঘটনাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে রুলও জারি করেছেন। চার সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব, আইজিপি, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি, মাদারীপুর পুলিশ সুপার, সদর থানার ওসিসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে রানা কাওসার হাইকোর্টে গত ২০ মার্চ জনস্বার্থে রিট আবেদন করেন। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ফাওয়াজিয়া করিম ফিরোজ। রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস।
আদেশের পর রিটকারী আইনজীবী রানা কাওসার সাংবাদিকদের বলেছেন, গত ১২ মার্চ, বিরোধপূর্ণ একটি জমির তদন্ত কাজে যান মাদারীপুর সদর থানার এসআই মাহাতাব হোসেন। এ সময় তিনি ল²ীগঞ্জ এলাকার বিরোধপূর্ণ জমির পাশের বাড়ির খালেক বেপারীর ছেলে পনির হোসেনের কাছে মামলা সংক্রান্ত বিষয় জানতে চান। পনির মামলার বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানান। এতে এসআই মাহাতাব ক্ষিপ্ত হয়ে পনিরকে থাপ্পড় দেন। এক পর্যায়ে পনির পুলিশের সাথে বাক-বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এতে আরও বেশি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন মাহাতাব। পরে ফোন করে সদর থানা থেকে তিন গাড়ি পুলিশ নিয়ে পনিরের বাড়িতে ব্যাপক তান্ডব চালান তিনি। এ সময় পনির ও তার বড় ভাই-বোনের ঘরে মূল্যবান আসবাবপত্র ও রান্নার চুলাও ভেঙে  ফেলা হয়।  এক পর্যায়ে পনিরের স্ত্রী ঝুনু বেগম ও তার বড় ভাইয়ের স্ত্রী আকলিমা বেগমকে টেনে-হিঁচড়ে পুলিশের গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। ঝুনু বেগমের তিন মাসের শিশু ও আকলিমা বেগমের ১৮ মাসের শিশুকে কোল থেকে  রেখে যেতে বাধ্য করে পুলিশ। এরপর রাত ১২টার দিকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে সাদা কাগজে মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।



 

Show all comments
  • Mohammed Shah Alam Khan ২২ মার্চ, ২০১৭, ১০:১৫ পিএম says : 0
    যে দেশের পুলিশ মারপিট করে ক্ষমতা দেখানোর জন্য প্রকাশ্যে বলে বেড়ায় “মাছের রাজা ইলিশ ।। দেশের রাজা পুলিশ” সেই দেশে এমন অমানবিক, অনৈতিক, বেআইনি কাজ পুলিশই করবে নাত আর কে করবে??? ভুল হয়েছে আরো করবে পুলিশ রাজার পুত্র “রাজপুত্রেরা”। কিভাবে এসব পুলিশ যাখুশি তাই করে আবার বেচেও যায়। এজন্যই দেশের বারটা বাজছে কিন্তু দেশ শাসকদের সে দিকে খেয়াল নেই। জনপ্রতিনিধিরা বানিজ্যের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা ব্যায় করে নির্বাচিত হন; তাই তাদেরকে বানিজ্যের মাধ্যমেই কোটি কোটি টাকা এই পথে সেই পথে আয় করে ঘরে তুলতে হয়! এসব কাজে আবার পুলিশ রাজারা সাংসদকে সহযোগিতা করে থাকেন পত্রিকায় আসে। আবার আমলা কামলারা বানিজ্য করে বিভিন্ন পন্থায় পকেট ভরেন সেদিকেও পুলিশ রাজারা সামাল দেন কাজেই প্রশাসন পুলিশ রাজার দখল! রিরোধী দলের লোকজনদেরও হামলা মামলা এবং চাঁদা আদায় ক্ষেত্রে পুলিশ রাজার দরকার তাহলে বিরুধী দল পুলিশ রাজার দখলে! সাংবাদিক ভাইদের প্রয়োজন সেখানেও পুলেশ রাজার হাত এমনকি আইনের রাজা উকিল তাদেরও দরকার পুলিশ রাজার!!!! তাহলে বলুন পুলিশ দেশের রাজা নয়ত কে দেশের রাজা??? আমি ইনকিলাবের সম্পাদক বাহাউদ্দিন সাহেবকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এধরনের সংবাদ নিয়মিত ভাবে আমাদেরকে জানানোর জন্য। আমি ওনার ভিতর যে দেশ প্রেম দেখেছি তাই বলছি। আপনি নিজেকে যেভাবে শক্তিশালী করছেন সেই ভাবে এগিয়ে যান। আপনার পত্রিকা যেভাবে দেশের সকল মতাবলম্বীদের নিয়ে লিখছেন এটাকে আরো মজবুত করুন তাহলে আপনি খুব শিগ্রই দেশের শ্রেষ্ট পত্রিকা হিসাবে ইনকিলাবকে দাঁড় করাতে পারবেন। আমীন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ