পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : ভারতের অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ভাঙা মামলার শুনানিতে গতকাল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট দুই পক্ষকে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করার আহŸান জানিয়েছে। শীর্ষ আদালত মনে করে, ধর্ম আর বিশ্বাসের সঙ্গে এই সমস্যা জড়িত। তাই এরকম একটি সংবেদনশীল বিষয়ের সমাধান একমাত্র আলাপ আলোচনার মাধ্যমেই হতে পারে। বাবরি মসজিদ ভাঙা নিয়ে একটি মামলার শুনানির সময়ে ভারতের প্রধান বিচারপতি জে এস খেহর বলেন, ‘দুই পক্ষ নিজেদের মধ্যে আলোচনা করুন’।
৩১ মার্চের মধ্যে দুই পক্ষকে আলোচনায় বসতে হবে, এটাও জানিয়েছে আদালত।
ভারতীয় জনতা পার্টির নেতা সুব্রামানিয়াম স্বামী সুপ্রিম কোর্টে একটি আবেদন জানিয়েছিলেন যাতে অযোধ্যা মামলার দ্রæত শুনানি হয়। সুব্রামানিয়াম স্বামী স¤প্রতি বিবিসি-র একটি ফেসবুক লাইভ অনুষ্ঠানে মন্তব্য করেছিলেন যে, দু’বছরের মধ্যে রাম মন্দির তৈরি হবে।
‘অন্য কোনও জায়গায় রাম মন্দির তৈরি সম্ভব না আমাদের পক্ষে, কারণ এটা ধর্ম বিশ্বাসের ব্যাপার,’-মন্তব্য করেছিলেন সুব্রামানিয়াম স্বামী। ১৯৯২ সালে অযোধ্যার বাবরি মসজিদ ভেঙে ফেলা হয়েছিল।
২০১০ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্ট তাদের রায়ে বলেছিল, যে জায়গায় রামচন্দ্রের মূর্তি স্থাপিত হয়েছে, সেখানে মূর্তিই থাকবে। গোটা জমিটার তিনভাগ হবে। একটা অংশ সুন্নী ওয়াকফ বোর্ডকে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সেই নির্দেশের ওপরেই স্থগিতাদেশ দিয়ে রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট।
আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে আদালত গতকাল কোনও নির্দেশ দেয়নি, তবে এটা তাদের একটা উপদেশ। বিজেপি আদালতের এই উপদেশকে স্বাগত জানালেও বাবরি মসজিদ অ্যাকশন কমিটি বলছে, আদালতের বাইরে মীমাংসার চেষ্টা আগেও হয়েছে। তবে তা ফলপ্রসূ হয়নি। তাই এর মীমাংসা আদালতকেই করে দিতে হবে। -সূত্র : বিবিসি বাংলা
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।