Inqilab Logo

বুধবার ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বেনাপোল ইমিগ্রেশন দালালমুক্ত

| প্রকাশের সময় : ২২ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বেনাপোল অফিস : বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট দিয়ে ভারত গমনাগমনকারী পাসপোর্ট যাত্রী হয়রানি বন্ধে অবশেষে ইমিগ্রেশনকে দালালমুক্ত করেছে কর্তৃপক্ষ। ফলে গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে লম্বা লাইনে সিরিয়াল অনুযায়ী পাসপোর্টের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে হচ্ছে যাত্রীদের।
বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারত গমনাগমনকারী পাসপোর্ট যাত্রী সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ হযেছে। বর্তমানে প্রতিদিন বেনাপোল দিয়ে ৫ হাজার বাংলাদেশী পাসপোর্ট যাত্রী ভারতে যাতায়াত করছে। ফলে ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে রীতিমত হিমশিম খেতে হয় যাত্রীদের সুশৃঙ্খলভাবে ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস-এর পাসপোর্টের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে বেনাপোল চেকপোস্টে এক শ্রেণির লোক দূর-দূরান্ত থেকে আসা পাসপোর্ট যাত্রীদের নানাভাবে হয়রানি করে আসছিল। তাদের পাসপোর্ট সিরিয়াল ছাড়া দ্রুত ইমিগ্রেশন করে দেয়ার নাম করে টাকা-পয়সা নিত। যাত্রীদের পক্ষ থেকে এ ধরনের বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করে। যাত্রী সেবার মান উন্নত করতে চেকপোস্ট এলাকা থেকে বহিরাগত দালাল উৎখাতে প্রধান সড়কে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। যাতে ২০০ গজের ভেতর কোনো বহিরাগত লোক ঢুকতে না পারে।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ওসি ইকবাল হোসেন জানান, পূর্বের তুলনায় এ পথে দ্বিগুণ যাত্রী যাতায়াত করায় সরকারের রাজস্বও বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিন বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে প্রায় ৫ হাজার লোক যাতায়াত করে ভারতে। আগের তুলনায় প্রায় ৩ থেকে সাড়ে তিন হাজার যাত্রী বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে প্রতি মাসে সাড়ে ৪ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হচ্ছে।
বেনাপোল চেকপোস্টে কোনো প্রকার পাসপোর্টযাত্রী হয়রানি যাতে না হয় সে জন্য দালালমুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে। ঝামেলামুক্তভাবে যাত্রীরা যাতে ভারত যাতায়াত করতে পারে সে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বর্তমানে প্রতিটি যাত্রীকে সিরিয়ালে দাঁড় করিয়ে তাদের পাসপোর্টের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হচ্ছে। দালাল ও বহিরাগতরা যাতে ইমিগ্রেশনে ঢুকতে না পারে সেজন্য প্রবেশ মুখেই পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আনিসুর রহমান নামে ভারতগামী একজন পাসপোর্ট যাত্রী জানান, বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ পাসপোর্টে দ্রæত সিল মেরে ভারতে যাওয়ার অনুমতি দিলেও ভারতে গিয়ে ৬/৭ ঘণ্টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। ভারতের ইমগ্রেশনে প্রয়োজনের তুলনায় কাউন্টার ও অফিসার সংকট থাকায় বাংলাদেশী পাসপোর্ট যাত্রীদের নানাভাবে হয়রানির শিকার হতে হয়। রোদ-বৃষ্টিতে ভিজে পুড়ে ৬/৭ ঘণ্টা অপেক্ষা করায় অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ে।



 

Show all comments
  • Mohammed Shah Alam Khan ২৩ মার্চ, ২০১৭, ৩:৩৩ এএম says : 0
    সংবাদ পড়ে খুবই খুশী হয়েছি। আমি আশা করব ইনকিলাব এধরনের সংবাদ প্রকাশিত করবে এবং তার প্রতিকার হবে সেই সংবাদও আমাদেরকে দিবে আমরা শান্তি পাব। সাথে সাথে জনগণ যারা অনিয়মের কারনে নানা রকম অশান্তি ভোগ করছিল সেখান থেকে রেহাই পাবে। আল্লাহ্ দিন দিন ইনকিলাব পত্রিকার সাংবাদিকদেরকে সত্য খবর লিখে জনগণের কল্যাণ করার শক্তি দিন। আমীন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ