Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ফিদেল : মুক্তির স্বপ্নের অপরাজেয় নায়ক

| প্রকাশের সময় : ২২ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

আফতাব চৌধুরী : ফিদেল আলেজান্দ্রো কাস্ত্রো রুজের জন্ম ১৯৩৬-র ১৩ আগস্ট, কিউবার প্রাক্তন ওরিয়েন্তে (এখনকার হলগুইন) প্রদেশে। শৈশবেই ফিদেলকে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছিল সান্তিয়াগো দে কিউবায়, সেখানেই স্কুলে পড়াশোনা করেন তিনি। ১৯৪৫ সালে হাভানা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন ও সমাজবিজ্ঞান নিয়ে ভর্তি হন। ফিদেলের রাজনৈতিক চেতনা গড়ে উঠতে থাকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে লাতিন আমেরিকার দেশে দেশে প্রবল আলোড়নের ঘটনায়। কিউবা, আর্জেন্টিনা, কলম্বিয়ায় গণতান্ত্রিক শক্তির উত্থান এবং তাকে ষড়যন্ত্রে দমন করার পেছনে সাম্রাজ্যবাদী হস্তক্ষেপ থেকে জন্ম নিচ্ছিল ক্ষোভ, প্রতিবাদের স্ফুলিঙ্গ। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়ে ছাত্র আন্দোলনে যুক্ত হয়ে ফিদেলের চেতনা বিস্তৃত হতে শুরু করে। পরবর্তী সময়ের দ্বিধাহীন আন্তর্জাতিকতাবাদী ফিদেল ডমিনিকান সাধারণতন্ত্রে  ট্রুজিলোর স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অংশ নিতে কিউবায় সংগঠন গড়ে তোলেন। রাজনৈতিকভাবে অর্থোডক্স পার্টির সঙ্গে যোগাযোগ রাখলেও ফিদেল হয়ে উঠতে থাকেন বামপস্থী। কোন পথে লাতিন আমেরিকার মুক্তি? যে যন্ত্রণার জীবন তিনি চারপাশে দেখছেন, কোন পথে তা থেকে মুক্তি? ফিদেলের নিজের ভাষ্যে, চোখ বাঁধা অবস্থায় অরণ্যের মধ্যে উত্তর-দক্ষিণ না চিনে দিশাহীন ঘুরে বেড়ানো একজনকে দিশা দেখিয়েছিল মার্কসবাদ। সমাজের, ইতিহাসের বিজ্ঞান শিখিয়েছিল মার্কসবাদী রচনা। কিউবার তদানীন্তন কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে প্রত্যক্ষ সম্পর্ক না-রেখেও পার্টির অনেক নেতাদের সঙ্গেই যোগাযোগ রাখতেন তরুণ ফিদেল।
১৯৫২ সালে কিউবায় জেনারেল বাতিস্তা সামরিক অভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় বসেন। বাতিস্তারাজের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের প্রস্তুতি দিয়েই শুরু হয়ে যায় ফিদেলের বিপ্লবী জীবন। বাতিস্তার বিরোধীদের নিয়ে একটি বাহিনী তৈরির কাজে নেতৃত্ব দেন ফিদেল। প্রায় ১২০০ যুবককে সমবেত করেছিলেন। আইনি পথে স্বৈরশাসকের অপসারণ প্রায় অসম্ভব মনে করেই সশস্ত্র লড়াইয়ের দিকে যায় এই বাহিনী। ১৯৫৩ সালের ২৬ জুলাই ফিদেলের নেতৃত্বে ১৬৫ জনের বাহিনী মনকাডা সামরিক ঘাঁটি আক্রমণ করে। প্রবল লড়াই হয় কিন্তু এই আক্রমণ সামরিকভাবে সফল হয়নি। ফিদেল ও তার সঙ্গীরা পালিয়ে পাহাড়ে চলে যেতে সক্ষম হলেও কয়েক জন সেনাবাহিনীর হাতে পড়ে যান। মনকাডা বিদ্রোহ বাতিস্তা সরকারের ভিত্তি নাড়িয়ে দিয়েছিল।
১৯৫৩-র ১৬ অক্টোবর শুরু মনকাডা বিদ্রোহীদের বিচার। নিজেই সওয়াল করেছিলেন ফিদেল। বাতিস্তা  সরকারের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে সশস্ত্র বিদ্রোহের ন্যায্যতা প্রমাণে ফিদেলের সেই ঐতিহাসিক সওয়াল ‘ইতিহাস আমাকে মুক্ত করবেই’ নামে বিখ্যাত হয়ে আছে। ফিদেল সেই সওয়ালে বলেছিলেন, ‘আমার কণ্ঠ রুদ্ধ করার যত চেষ্টাই করা হোক না-কেন, আমার ঘোর একাকিত্বের সময়েও তা সোচ্চার হয়েই থাকবে, ভীরুদের প্রত্যাখ্যান সত্তে¡ও হৃদয়মথিত অগ্নিস্পর্শে তা জ্বলে উঠবে। বস্তুত ফিদেল কাস্ত্রোর বাকি জীবন এই প্রত্যয়কে সত্য প্রমাণ করেছে। ১৫ বছরের কারাদন্ড হয় ফিদেলের।
১৯৫৫ সালে ফিদেল, ভাই রাউলসহ বিপ্লবীরা ছাড়া পান। এতদিন গোপনে কাজ করা ২৬ জুলাই মুভমেন্ট সংগঠিত চেহারা পায়, ফিদেলই হন মুখ্য নেতা। কিন্তু কিউবায় বসে বিদ্রোহ সংগঠিত করা কঠিন বুঝে ফিদেল চলে যান মেক্সিকোয়। সেখানে বসেই শুরু হয় কিউবায় বিপ্লবের নতুন প্রস্তুতি। মেক্সিকো তখন ছিল লাতিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক কারণে নির্বাসিতদের আশ্রয়স্থল। গুয়াতেমালায় আরবানেজ সরকারকে হটিয়ে সিআইএ-র মদতে অভ্যুত্থানের তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে চে গুয়েভারাও তখন মেক্সিকোতেই। ১৯৫৫-র জুলাইয়ে প্রথম দেখা হয় বিংশ শতাব্দীর দুই বিপ্লবপথিকের। ফিদেলের ভাষ্যে, চে তখনই মার্কসবাদী। এক প্রবাসী কিউবানের বাড়ির প্রথম সাক্ষাতেই দুজন পরস্পরের প্রতি আকৃষ্ট হন এবং সঙ্গে সঙ্গেই ফিদেলের বাহিনীর সঙ্গী হয়ে যান চে।
মেক্সিকোয় অস্ত্র প্রশিক্ষণও নেয় এই বাহিনী। ১৯৫৬-র ২৫ নভেম্বর ফিদেল, চে, রাউলসহ ৮১ জন নৌকো ‘গ্রানমায়’ চেপে রওনা দেয় মেক্সিকোর টুক্সপান থেকে। কিউবার পূর্ব উপক‚লে এসে নৌকা পৌঁছোয় ৩ ডিসেম্বর। সশস্ত্র বিপ্লবীরা কিউবায় ঢুকে পড়েন। কিন্তু সেনাবাহিনীর ঘাঁটি আক্রমণে বিপ্লবীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যেতে বাধ্য হন। সিয়েরা মায়েস্ত্রার পাহাড়ে-জঙ্গলে ঘাঁটি গেড়ে চলতে থাকে গেরিলা যুদ্ধ। দুবছরের বেশি সময় ধরে এই লড়াইয়ে কৃষক সমাজকে পাশে টেনে নেয় বিপ্লবীরা, লড়াই ছড়িয়ে পড়তে থাকে দেশের নানা প্রান্তে। বাতিস্তার সেনাবাহিনীকে একের পর এক সংঘর্ষে পরাস্ত করতে থাকে গেরিলারা। ১৯৫৮-র নভেম্বরে ফিদেলের নেতৃত্বে চূড়ান্ত অভিযানের লক্ষ্যে বাহিনী যায় সান্তিয়াগো দে কিউবায়। বাতিস্তা দেশ ছেড়ে পালান। ১৯৫৯-র ১ জানুয়ারি বিপ্লবীরা ক্ষমতা দখল করে। ফিদেল হাভানায় ঢোকেন ১৯৫৯-র ৮ জানুয়ারি। তৈরি হয় বিপ্লবী সরকার। শুরুতে ফিদেল ছিলেন সেই সরকারের বিপ্লবী সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান, পরে, ফেব্রুয়ারিতে বিপ্লবী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হন ফিদেল। শুরু হয় বিপ্লবের নতুন পর্ব কিউবাকে নতুন করে গড়ে তোলা।
এদিকে শুরু হয়ে যায় কিউবাকে, বিপ্লবের মুখ্য নেতাকে খতম করার মার্কিনি পরিকল্পনাও। ১৯৫৯-র ডিসেম্বরেই মার্কিন রাষ্ট্রপতি আইজেনহাওয়ার সিআইএ-র একটি পরিকল্পনা অনুমোদন করেন যেখানে বলা হয়েছিল, এক বছরের মধ্যে ফিদেল কাস্ত্রোকে হটাতে হবে। চেষ্টার ত্রুটি রাখেনি দুনিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী সাম্রাজ্যবাদী শক্তি আমেরিকা। শতাধিকবার খুনের চেষ্টা হয়েছে ফিদেলকে। কখনো হোটেলের খাবারে বিষ মিশিয়ে, কখনো সমুদ্র উপক‚লে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে। পাঠানো হয়েছে মার্কিন প্রশিক্ষিত প্রতিবিপ্লবীদের, আক্রমণ হয়েছে উপকূলে, অবরোধ তৈরি করা হয়েছে কিউবাকে অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু করে ফেলতে। ফিদেল ও কিউবা রুখে দিয়েছে সব কিছুকেই। এর মধ্যে ১১জন মার্কিন রাষ্ট্রপতি বদলে গেছেন কিন্তু ফিদেল এবং কিউবাকে পরাস্ত করা যায়নি।
প্রতিস্পর্ধী ফিদেল ১৯৬০ সালে মার্কিনি মালিকানার তেল, চিনি, টেলিযোগাযোগ, বিদ্যুৎ কোম্পানি রাষ্ট্রায়ত্ত করে নেন। পরে কিউবার ধনীদের বড় সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করা হতে থাকে। জমি বণ্টনের আইন চালু হয়। শুরু হয় সাক্ষরতার অভিযান-যে অভিযানে এক সময় কিউবা ছাড়িয়ে যায় উন্নত ধনতান্ত্রিক দেশগুলোকেও। ১৯৬১র এপ্রিলে ফিদেল ঘোষণা করেন, এই বিপ্লব সমাজতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক। মার্কিন আগ্রাসনের অন্যতম ছিল ১৯৬২-র বে অফ পিগসে মার্কিন মদতের হামলা। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সেই আগ্রাসন রুখে কিউবা দুনিয়াকে দেখিয়ে দেয় সাম্রাজ্যবাদের থেকে শক্তিশালী হলেন ঐক্যবদ্ধ জনগণ। অলিভ রঙের সামরিক পোশাকে কাঁধে রাইফেল নিয়ে সেই অভিযানেও ছিলেন ফিদেল।
ফিদেল প্রথম থেকেই ছিলেন আন্তর্জাতিকতাবাদী। ১৯৬৩-র অক্টোবর আলজেরিয়ার রাষ্ট্রপতি আহমদ বেন বেল্লার অনুরোধে কিউবার সেনারা আগ্রাসনের হাত থেকে সে দেশকে বাঁচাতে যায়। আফ্রিকায় কিউবার আন্তর্জাতিকতাবাদী অংশগ্রহণের সে ছিল প্রথম, কঙ্গোর লড়াইয়ে সরাসরি অংশ নিয়েছে কিউবার বাহিনী, অংশ নিয়েছিলেন স্বয়ং চে। নামিবিয়াকে বর্ণবিদ্বেষী শাসন থেকে মুক্ত করতে পালন করেছেন ভূমিকা। ফিদেল নিজে তীব্র মার্কিনি আক্রমণের মুখে চিলি, বলিভিয়া, ভেনেজুয়েলার লড়াইয়ের পাশে দাঁড়িয়েছেন। লাতিন আমেরিকায় একবিংশ শতাব্দীর গোড়ায় একের পর এক দেশে বামপন্থীদের অগ্রগতির পেছনে মূল প্রেরণা হিসাবে কাজ করেছিলেন ফিদেল। উগো সাভেজ থেকে ডানিয়েল ওর্তেগা ‘কমান্দান্তে’ হিসাবে দেখেছেন কাস্ত্রোকেই। শুধু রাজনীতিই নয়, কিউবার স্বাস্থ্যকর্মীরা লাতিন আমেরিকা, আফ্রিকা, এশিয়া দেশে দেশে অসাধারণ কাজ করে শ্রদ্ধা অর্জন করেছেন।
১৯৬৫-র অক্টোবর কিউবার কমিউনিস্ট পার্টি পুনর্গঠিত হয়। কেন্দ্রীয় কমিটির ফার্স্ট সেক্রেটারি হন ফিদেল। বিশেষ পর্বের লড়াই- কিউবার বিপ্লবের কঠিন সংকট আসে সোভিয়েত ইউনিয়নসহ সমাজতান্ত্রিক দেশগুলোর বিপর্যয়ের সময়ে। মিখাইল গরবাচভের ‘পেরেস্ত্রোইকা’-র কড়া সমালোচনা করে ফিদেল বলেছিলেন, সমাজতন্ত্রের নীতিরই তা বিরোধী। ১৯৯০-এ কিউবায় বিশেষ পর্ব শুরু হয়। জ্বালানি, বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ থেকে উৎপাদন ও বণ্টনে নানা ধরনের শৃঙ্খলা আরোপ করতে বাধ্য হয় কিউবার সরকার। ১৯৯১-র সেপ্টেম্বর গরবাচভ কিউবা থেকে সোভিয়েত সেনা ও প্রযুক্তিবিদদের প্রত্যাহার করে নেন। কিউবা বিপ্লবের আসন্ন বিপর্যয় সম্পর্কে ভবিষ্যৎবাণী শোনা যায় বিশ্বজুড়ে। সেই সুযোগেই ১৯৯২-তে কিউবার বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা কঠোরতর করে মার্কিন কংগ্রেসে পাস হয় টোরিসেল্লি আইন। কিউবাকে ধ্বংস করা যাচ্ছে না দেখে ১৯৯৬-এ পাস হয় হেমস বার্টন আইন।
নয়া উদারনীতির পথে না-হেঁটে কিউবা বাঁচে মাথা উঁচু করে। বরং কিউবার অর্থনীতি ধীরে ধীরে আরো উন্নত হয়ে ওঠে। এই সমগ্র পর্বে ফিদেল দৃঢ়তার সঙ্গে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ২০০৬ সালে ফিদেল নিজে থেকেই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান পদ থেকে অব্যাহতি নেন। কিউবার রাষ্ট্রপতি হন তার সহযোদ্ধা ও ভাই রাউল। কিন্তু এল কমান্দান্তে ছিলেন দেশের প্রধান মতবাদিক উপদেষ্টা। শুধু কিউবার নয়, ফিদেল সমগ্র লাতিন আমেরিকায় বিপ্লবী আন্দোলনের প্রেরণা হিসাবে বিবেচিত হয়েছেন। যে ফিদেলকে বিচ্ছিন্ন করতে চেয়েছিল ওয়াশিংটন, সেই তিনিই হয়ে ওঠেন লাতিন আমেরিকার অভিভাবক।   
ছয় দশক ধরেই ফিদেল একদিকে হয়ে থেকেছেন বিদ্রোহের ‘আইকন’, অন্যদিকে আকর্ষণ করেছেন চিন্তাবিদ থেকে ক্রীড়াবিদদের। কিউবা বিপ্লবের পরপরই সে-দেশে ছুটে গিয়েছিলেন কবি নাজিম হিকমত, দার্শনিক-সাহিত্যিক জাঁ পল সাত্রে। সাহিত্যিক গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ ছিলেন ফিদেলের প্রাণের বন্ধু। আবার, ফুটবলার দিয়েগো মারাদোনাকে মাদকের আসক্তি থেকে মুক্ত করতে কিউবায় রেখে পরম যত্মে চিকিৎসা করিয়েছেন ফিদেল।
দীর্ঘ বক্তৃতা দিতেন তিনি। কথিত আছে, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ১৯৬০ সালে ফিদেল ভাষণ শুরু করেছিলেন এই বলে যে খুব সংক্ষেপেই বলবেন তিনি, তারপর বলেছিলেন সাড়ে চার ঘণ্টা। কিন্তু সেই বক্তৃতাতেই ফিদেল দেখিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক লগ্নি পুঁজির লালসা ও যুদ্ধের মধ্যে সম্পর্ক কী। সাম্রাজ্যবাদ রূপ বদলেছে, ফিদেলের তীর ঠিক খুঁজে নিয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনে বিপন্ন গ্রহ-ফিদেল বারংবার দেখিয়েছেন সাম্রাজ্যবাদই সেই বিপদের উৎস।
লেখক : সাংবাদিক-কলামিস্ট।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন