পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সাখাওয়াত হোসেন বাদশা : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর ঘিরে অনেক প্রত্যাশা দিল্লির। তবে বাংলাদেশ চায় তিস্তার পানি। ভারতের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ওপরই নির্ভর করছে এই নদীর পানি ভাগাভাগি চুক্তির ভবিষ্যৎ। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, তিস্তার পানি চুক্তির সাথে এবারও কয়েকটি শর্ত জুড়ে দিতে যাচ্ছে ভারত। যার মধ্যে থাকছে-ফেনী নদীর পানি ভাগাভাগি, বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে খাল কেটে যমুনা-ব্রহ্মপুত্রের পানি গঙ্গায় নিয়ে যাওয়া এবং বরাক নদীর উজানে টিপাইমুখ ড্যাম নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশের সম্মতি আদায় করা। তিস্তা সংক্রান্ত এসব সমস্যার বাইরেও প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে অন্তত ২২টি সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অবশ্য এসব সমঝোতা স্মারক সইয়ের চেয়েও আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা আগামী ২০১৯ সালের জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে তিস্তা নদীর পানি চুক্তিকেই দেশ ও দলের জন্য অপরিহার্য মনে করছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১০ সালেও যখন ভারত সফর করেছিলেন, তখনও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি দিল্লিতে আমন্ত্রিত হয়েছিলেন। দীর্ঘ সাত বছর পর আবারও প্রধানমন্ত্রী দিল্লি যাচ্ছেন। এই সফরেও ভারতের প্রধানমন্ত্রী মমতাকে দিল্লিতে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। উদ্দেশ্য একটাই- তিস্তা নিয়ে একটি রাজনৈতিক সমাধান। তবে ক‚টনৈতিক সূত্রের খবর হচ্ছে, শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মেঘালয়, অসম, ত্রিপুরাও মিজোরাম-এর মুখ্যমন্ত্রীরাও থাকবেন এবং তাদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন প্রস্তাবনা তুলে ধরা হবে। যার মধ্যে ফেনী নদীর পানি ভাগাভাগি এবং টিপাইমুখ ড্যাম অন্যতম। এছাড়াও রয়েছে- গঙ্গার পানি প্রবাহ বাড়ানোর নামে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে খাল কেটে যমুনা-ব্রহ্মপুত্র পানি গঙ্গায় নিয়ে যাওয়া।
আগামী ৭ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চারদিনের সফরে ভারত যাবেন। আর ১০ এপ্রিল তিনি দেশে ফিরবেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসবেন আগামী ৮ এপ্রিল।
এদিকে তিস্তা চুক্তি নিয়ে ভারতের এমন প্রস্তাবনার ব্যাপারে জানতে চাইলে গতকাল (সোমবার) পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়ন সচিব ড: জাফর আহমেদ ইনকিলাবকে বলেন, তিস্তার পানি ভাগাভাগি নিয়ে উভয় দেশ একটি খসড়া তৈরি করেছে। এখন এ সংক্রান্ত চুক্তি সইয়ের বিষয়টি ভারতের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে। তিস্তা চুক্তি সইয়ের সাথে ভারত অনেক শর্ত জুড়ে দিতে চাচ্ছে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ওদের (ভারত) অনেক প্রত্যাশা থাকতে পারে। তারা কী চাইবে সেটা তাদের ব্যাপার, এ নিয়ে আলোচনা হতে পারে। কিন্ত আমাদের লক্ষ্য তিস্তা চুক্তি।
প্রসঙ্গত তিস্তার পানি ভাগাভাগি নিয়ে ভারতের সাথে ১৫ বছর মেয়াদি একটি অন্তর্বর্তীকালীন চুক্তি হওয়ার দ্বারপ্রান্তে এসেও হয়নি। ওই চুক্তির খসড়ায় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রস্তাব রয়েছে অন্তবর্তীকালীন সময়ে তিস্তা নদীর ৪০ ভাগ পানি ভারত পাবে এবং ৪০ ভাগ পানি পাবে বাংলাদেশ। আর তিস্তার নাব্য রক্ষার জন্য থাকবে বাকি ২০ ভাগ পানি। বাংলাদেশের এই প্রস্তাব নিয়ে মমতা ব্যানার্জির তীব্র আপত্তি থাকায় ঝুলে যায় বাংলাদেশ-ভারত অন্তর্বর্তীকালীন তিস্তা চুক্তি। সর্বশেষ পশ্চিমবঙ্গের পক্ষ থেকে গত ১৬ বছরে শুষ্ক মৌসুমে তিস্তায় বাংলাদেশ অংশে কি পরিমাণ পানি ছিল তার তথ্য-উপাত্ত চায় পশ্চিমবঙ্গ।
এ পরিপ্রেক্ষিতে যৌথ নদী কমিশন থেকেও পশ্চিমবঙ্গের কাছে জানতে চাওয়া হয়, জলপাইগুড়ির গজলডোবা বাঁধের সামনে গত ১৬ বছরে কী পরিমাণ পানি ছিল? একই সাথে গজলডোবা বাঁধের ২৫ কিলোমিটার উজানে ডাইভার্সন পয়েন্ট থেকে পানি ভাগাভাগি হবে নাকি ডাইভার্সন পয়েন্টের ভাটিতে জমা পানি ভাগাভাগি হবে, সর্বনিম্ন কি পরিমাণ পানি এখানে জমা থাকতে হবে, গজলডোবা পয়েন্টে পানি প্রবাহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে কি ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হবে, ভারত থেকে তিস্তা বাংলাদেশের যে প্রান্ত দিয়ে প্রবেশ করেছে সেই নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার কালিগঞ্জ গ্রাম থেকে ব্রহ্মপুত্র পর্যন্ত তিস্তার গতিপথ বাঁচিয়ে রাখতে কি পরিমাণ পানি ছাড়া হবে- এটাও নির্দিষ্ট করতে বলা হয় পশ্চিমবঙ্গকে।
অপরদিকে, তিস্তা নদীর পানি প্রাপ্তির ওপর বাংলাদেশের বৃহৎ একটি অংশের জীবন-জীবিকা নির্ভর করছে। ভারত শুষ্ক মৌসুমে গজলডোবা বাঁধের মাধ্যমে এই নদীর পানি প্রত্যাহার করে নেয়। ফলে আশঙ্কাজনক হারে কমে যায় তিস্তা সেচ প্রকল্পে আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ। জানা গেছে, তিস্তা সেচ প্রকল্পে আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ যেখানে ৬০ হাজার হেক্টর; সেখানে এই সেচযোগ্য জমির পরিমাণ কমিয়ে ১০ হাজার হেক্টরে আনা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে- পানির অভাবে এই পরিমাণ জমিতেও ঠিকমত সেচ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।
আর বর্ষায় গজলডোবা বাঁধের সবকটি গেট উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। এতে করে তিস্তা অববাহিকার মানুষ ভাসে বানের পানিতে। নদী ভাঙনের কবলে পড়ে শত শত পরিবার হয় গৃহহীন। এরকম পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন ভারত সফরকে ঘিরে তিস্তা চুক্তি নিয়ে আগ্রহ বাড়ছে দু’দেশের মানুষের মধ্যে। কিন্তু ভারতের রাজনৈতিক নেতৃত্ব এই চুক্তির ব্যাপারে কতটুকু আন্তরিক তা নিয়ে খোদ সরকারের মধ্যেই বিরাজ করছে সন্দেহ-সংশয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করে বলতে পারছে না প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে আদৌ তিস্তা চুক্তি হবে কীনা? আগামী এপ্রিলে শেখ হাসিনার ভারত সফরের দিনক্ষণ চূড়ান্ত করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন ভারত সফরে তিস্তা নিয়ে কী হবে, সে বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি জানিয়ে পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেছেন, ‘পানি নিয়ে ভারতে এখন রাজনীতি হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংহ ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দু’জনেই তিস্তার (পানিবণ্টনচুক্তি) বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পানি বন্টনের বিষয়টি নিয়ে দু’দেশের মধ্যে কাজও চলছে। তিস্তার পানির স্বাভাবিক প্রবাহ ঠিক রেখে বাকিটুকু দুই দেশ ভাগ করে নেবে। তবে দুই দেশকে কত শতাংশ পানি নেবে তা এখনও ঠিক হয়নি। তিস্তা চুক্তির ব্যাপারে তিনি সংশয়ও প্রকাশ করে বলেন, ‘শেষ পর্যন্ত আসলে কী ঘটতে যাচ্ছে, তা বলা যাচ্ছে না।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে তিস্তার পানি বন্টন নিয়ে চুক্তি সই হওয়ার বিষয়টি বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রীংলাও এড়িয়ে গেছেন। শেখ হাসিনার ভারত সফরের আগেই তিস্তা বিষয়ে ভারতের অভ্যন্তরীণ ঐকমত্য হবে বলে কি বাংলাদেশ আশা করতে পারে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সব কিছুতেই কাজ এগিয়ে চলছে। আমাদের দেখতে হবে কোনটি সম্ভব আর কোনটি সম্ভব নয়।’
ভারতের হাইকমিশনারের এমন বক্তব্যে হতাশার সুরেই সাবেক রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিক আব্দুল মোমেন চৌধুরী বলেন, পরপর দু’জন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। এ কারণেই প্রটোকলের দিক থেকে দেখলে শেখ হাসিনার ভারত সফরটি ‘ডিউ’ হয়ে আছে। এ সফরে বাংলাদেশের সকলেই চেয়ে আছে তিস্তার পানি ভাগাভাগি নিয়ে কী হয় সেদিকে। আশির দশক থেকেই ভারত গজলডোবা বাঁধের মাধ্যমে তিস্তার পানি শুষ্ক মৌসুমে প্রত্যাহার করে নিচ্ছে, অথচ এখন পর্যন্ত এর কোনো সমাধান পায়নি বাংলাদেশ। তিনি বলেন, তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা পাওয়াটা বাংলাদেশের অধিকার। ভারতের উচিত এ নিয়ে কালক্ষেপণ না করে একটি চুক্তিতে উপনীত হওয়া।
আর পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক মহাপরিচালক হাবিবুর রহমান বলেন, তিস্তার পানি ভাগাভাগি নিয়ে একটি খসড়া চুক্তি দাঁড় করানো হলেও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির দোহাই দিয়ে ভারত এই চুক্তি সই করা থেকে সরে আসে। চুক্তি না হওয়ায় ভারত কৌশলগত কারণে যৌথ নদী কমিশনের বৈঠকটিও ঝুলিয়ে দিয়েছে। গত ৬ বছর ধরে এই বৈঠক হচ্ছে না। এতে করে আটকে রয়েছে ভারতের সাথে অভিন্ন ৫৪টি নদীর পানি ভাগাভাগি, নদী সীমান্ত সমস্যার সমাধান, নদী ভাঙনে ওপারে জেগে ওঠা বাংলাদেশের ভূমি ফিরিয়ে আনা ও সীমান্ত নদী ভাঙন প্রতিরোধ কার্যক্রমসহ অনেক অমিমাংসিত ইস্যু।
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরকে ঘিরে তিস্তা চুক্তি সই নিয়ে বাংলাদেশ যখন স্বপ্ন দেখে; তখন ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের পানিসম্পদমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তা চুক্তি নিয়ে তার রাজ্যের অবস্থান স্থিতিশীল। গত বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, তিস্তা চুক্তি নিয়ে এখনো পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের পক্ষে পজিটিভ কিংবা নেগেটিভ কোনো ভাবনাই ভাবা হয়নি। তিস্তা চুক্তি হলে পশ্চিমবঙ্গ লাভবান না ক্ষতিগ্রস্ত হবে, এ নিয়েও কোনো মন্তব্য করেননি তিনি। এ অবস্থায় তিস্তা চুক্তি সইয়ের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ সরকার কতটুকু আন্তরিক তা এখনো স্পষ্ট নয়।
এদিকে, চলতি শুষ্ক মৌসুমে তিস্তায় প্রাপ্ত পানির পরিমাণ কমে যাচ্ছে। এভাবে কমতে থাকলে চলতি মাসের শেষদিকে গিয়ে তিস্তায় পানির পরিমাণ ৪শ’ কিউসেকের নিচে গিয়ে ঠেকবে। তিস্তায় গত কয়েক বছরের পানি সঙ্কটকে কেন্দ্র করে সেখানে সেচযোগ্য জমির পরিমাণ কমিয়ে দেয়া হয়েছে।
তিস্তা সেচ প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, ভারত গজলডোবা বাঁধের মাধ্যমে শুষ্ক মৌসুমে তিস্তার পানি প্রত্যাহার করে নেয়ায় এই নদীর পানি আশঙ্কাজনকভাবে হ্রাস পায়। নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা নদীর অববাহিকায় গত ১৫ দিনের ব্যবধানে ৫ হাজার কিউসেক থেকে কমে পানি নেমে এসেছে ৭শ’ কিউসেকে। এই পানি আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কা করছে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা। জেআরসি সূত্রে জানা যায়, সেচ প্রকল্পের পানিসহ তিস্তাকে বাঁচিয়ে রাখতে ন্যূনতম ৫ হাজার কিউসেক পানি প্রয়োজন।
এদিকে, ফেনী নদী থেকে ভারত ইতোপূর্বে ৬০ কিউসেক পানি নেয়ার প্রস্তাব রাখে এবং বাংলাদেশকেও একই হারে পানি নিতে বলে। ভারতের এই প্রস্তাব এখনও কার্যকর আছে কীনা এ ব্যাপারে মুখ খুলেনি যৌথ নদী কমিশন। তবে সাবেক পানি সম্পদমন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন ইনকিলাবকে জানিয়েছেন, ত্রিপুরাবাসীর সুপেয় পানি ও ক্ষুদ্র আকৃতির সেচ প্রকল্পের জন্য ১ দশমিক ৮২ কিউসেক পানি দিতে আমরা সম্মত হয়েছিলাম। কিন্তু তিস্তা নদীর পানি ভাগাভাগি নিয়ে কোনো চুক্তি না হওয়ায় ফেনী নদীর পানি নিয়েও আমরা কোনো চুক্তিতে উপনীত হইনি।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংয়ের সফরের সময় তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরের কথা থাকলেও তা থেকে পিছিয়ে যায় ভারত। অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক ঐক্যের মাধ্যমে ভারত এ চুক্তি করবে বলে বাংলাদেশকে আশ্বাস দেয়া হয়। কিন্তু এই ঐক্য কবে হবে; কিম্বা আদৌ হবে কীনা- এ নিয়ে নিশ্চিত করে ভারতের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কিছুই জানানো হচ্ছে না বাংলাদেশকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।