পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ইসলামী ঐতিহ্য সংরক্ষণ কমিটির নেতৃবৃন্দ বলেছেন, নাস্তিক-মুরতাদ চক্র ৯২ ভাগ মুসলমানের দেশে ইসলামের নামগন্ধ পর্যন্ত সহ্য করতে পারছে না। কতিপয় নাস্তিক্যবাদী ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে সুকৌশলে বিদ্বেষ ছড়ানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত, তারা মুসলমানের সবকিছুর ভেতর সাম্প্রদায়িকতা খুঁজে পায় আর অন্য ধর্মের উপাসনা ও সংস্কৃতিকে মুসলমানের উপর চাপিয়ে দিতে লজ্জাবোধ করে না। দেশ থেকে আলেম-ওলামা, পীর-মাশায়েখ ও বিশিষ্ট মুসলিম নাগরিকদের নাম-নিশানা মুছে দিতে তারা কোমরে গামছা বেঁধে নেমেছে। এ ক্ষেত্রে তারা আদালতকেও ব্যবহার করার চেষ্টা করছে।
পাকবাহিনীর মুরগি সাপ্লাইয়ের ঠিকাদাররা এখন মুক্তিযুদ্ধের সোল এজেন্ট সেজেছে। বাংলার অবিসংবাদিত ধর্মীয় নেতা হযরত হাফেজ্জী হুজুর (রহ)-এর নাম স্বাধীনতাবিরোধীদের তালিকায় এরা কোন যুক্তিতে লিখল, তা জাতি জানতে চায়। সরকার ও আদালতকে এ অভিযোগের তদন্ত করে অভিযোগকারীদের কাছ থেকে প্রমাণ চাইতে হবে। অন্যথায় এসব নাস্তিক্যবাদীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থাসহ হাফেজ্জী হুজুর (রহ)-এর মানহানির ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। হাফেজ্জী হুজুর সম্পর্কে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব, জেনারেল ওসমানী, মেজর জলিল, আবদুল কাদের সিদ্দিকী, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, মোস্তফা মহসিন মন্টু ও খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামের মন্তব্য ও সাক্ষ্যই যথেষ্ট। চিহ্নিত বেয়াদব ও বিদেশি এজেন্টদের অভিযোগ সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মিথ্যা। অবিলম্বে হাফেজ্জী হুজুরের নামে নগর ভবনের সামনের সড়কের নাম পুনর্বহাল করতে হবে।
গতকাল বিকালে রাজধানীর কামরাঙ্গীর চর আশরাফাবাদ নূরিয়া মাদরাসা মিলনায়তনে ইসলামী ঐতিহ্য সংরক্ষণ কমিটির আলোচনা সভায় বক্তাগণ এসব কথা বলেন। ইসলামী ঐতিহ্য সংরক্ষণ কমিটির আহŸায়ক হাফেজ মাওলানা শাহ আতাউল্লাহ ইবনে হাফেজ্জীরের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে আলোচনা করেন মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী, মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী, মাওলানা মাঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, মাওলানা আব্দুল মাজেদ আতহারী, মাওলানা মুসা বিন ইজহার, শায়খুল হাদিস, মাওলানা আজিমুদ্দীন, মাওলানা মিনহাজ উদ্দিন, খতিব চকবাজার শাহী মসজিদ, মাওলানা জাফর আহমাদ শাহতলী, মাওলানা ফায়সাল বিন আবুল কালাম, মাওলানা সাঈদুর রহমান, মাওলানা মাহবুবুর রহমান, মাওলানা আজীজুর রহমান হেলালী, মাওলানা বেলায়েত হেসেন আল ফিরুজী, মাওলানা সুলতান মুহিউদ্দিন ও মাওলানা আকরাম হুসাইন প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা শাহ আতাউল্লাহ বলেন, দেশব্যাপী ইসলাম ও মুসলমানের সকল ঐতিহ্য-সংস্কৃতি এবং গৌরবের চিহ্ন নানা বাহানায় নিশ্চিহ্ন করার যে ষড়যন্ত্র চলছে তা সম্মিলিতভাবে মোকাবেলা করতে তওহীদি জনতাকে সঙ্গে নিয়ে এ কুচক্রীগোষ্ঠীর দাঁতভাঙা জবাব দিতে হবে। ওলী-আওয়ালিয়াদের নামে স্বাধীনতাবিরোধী অপবাদ দিয়ে তাদের নাম সড়ক, স্থাপনা, মসজিদ, মাদরাসা থেকে তুলে দেয়ার পাঁয়তারা করে কেউ এদেশে টিকে থাকতে পারবে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।