Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভিযুক্ত খুনি সাবেক স্বামী রবিনকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ

ব্যাংক কর্মকর্তা আরিফুন নেছা খুন

| প্রকাশের সময় : ১৮ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম


স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর সেন্ট্রাল রোডে নারী ব্যাংক কর্মকর্তা আরিফুন নেছা আরিফার অভিযুক্ত খুনি তার সাবেক স্বামী ফখরুল ইসলাম রবিনকে গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এদিকে আরিফার খুনের ঘটনায় তার ভাই আব্দুল্লাহ আল আমিন বুলবুল বৃহস্পতিবার রাতে কলাবাগান থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করছেন একই থানার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সমির চন্দ্র সূত্রধর। পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, পলাতক রবিনকে ধরতে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে নেমেছে। আরিফার খুনের আগে ঘটনাস্থলের এবং নিহতের সঙ্গে থাকা যুবকের ভিডিও ফুটেজ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাস্থলের যে বাড়িতে ভাড়া থাকতেন আরিফা ওই বাসার ক্লোজ সার্কিট থেকে পুলিশ ঘটনার সময়ের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে। পুলিশ বলছে, খুনের আগে আরিফার সঙ্গে ছিলেন নিহতের সাবেক স্বামী রবিন। ওই ফুটেজ নিয়ে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য সেন্ট্রাল রোডের আইডিয়াল কলেজ এলাকার বাসা থেকে বের হওয়ার সময় যমুনা ব্যাংকের কর্মকর্তা আরিফাকে কুপিয়ে জখম করা হয়। তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আরিফা।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সমির জানান, অভিযুক্ত রবিনই যে ওই হত্যাকাÐ ঘটিয়েছে, সে বিষয়ে ওই ভিডিও দেখে তারা অনেকটাই নিশ্চিত। ভিডিওতে প্রথমে আরিফাকে বাড়ির ফটক দিয়ে বের হতে দেখা যায়। কিন্তু কিছুক্ষণ পরই এক যুবকসহ তিনি আবার ভেতরে ঢোকেন। তখন দু’জনের হাতেই ব্যাগ ছিল। বাসায় ঢোকার কয়েক মিনিট পরই রবিনকে দৌড়ে বের হতে দেখা যায়। পাঁচতলা ভবনের নিচতলায় থাকতেন আরিফা। নিচতলার সিঁড়িঘরে আরিফাকে কোপানো হয় বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা সমির।
এদিকে ময়না তদন্ত শেষে আরিফার লাশ তার গ্রামের বাড়ি জামালপুরের হাজরাবাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। গতকাল শুক্রবার সকালে তার গ্রামের বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে সবার ছোট ছিল আরিফা। ছয় মাস আগে তিনি রবিনকে ডিভোর্স দেন। আর এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে রবিন সাবেক স্ত্রীকে নির্মমভাবে হত্যা করে।
দেড় বছর ধরে আরিফা যমুনা ব্যাংকের পুরানা পল্টন শাখায় কর্মরত ছিলেন। বিবাহ বিচ্ছেদের পর আরিফা তার মা’কে নিয়ে সেন্ট্রাল রোডের ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ