পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কর আদালত প্রাঙ্গণে বিমান হামলার একদিন পরই দেশটিতে আবারো ভয়াবহ হামলা হয়েছে। উত্তরাঞ্চলীয় আলেপ্পোতে বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত একটি গ্রামে এক মসজিদে এই বিমান হামলা হয়। এতে নিহত হয়েছে অন্তত ৪২ জন মুসল্লি। আহত হয়েছে আরো অনেকে লোক। নিহতদের অধিকাংশই স্থানীয় বেসামরিক নাগরিক। মার্কিন সামরিক বাহিনী এ হামলার কথা স্বীকার করেছে। তবে তারা মসজিদে হামলার কথা অস্বীকার করেছে। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়, সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে আল-কায়েদার গোপন বৈঠকস্থলে তারা বিমান হামলা চালায় এবং একই সময়ে একই এলাকায় একটি মসজিদেও বিমান হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ৪০ জনেরও বেশি সাধারণ নাগরিক নিহত হয়েছে বলে জানানো হয়।
যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস-এর প্রধান রামি আবদেল রহমান জানান, স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার আলেপ্পো গ্রাম আল-জিনায় এ বিমান হামলা চালানো হয়। হামলার সময় মসজিদটিতে মুসল্লিরা নামাজ আদায় করছিলেন। স্থানীয়রা জানান, এ সময় মসজিদের ভিতরে তিনশ মুসল্লি নামাজ আদায় করছিলেন। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে জানানো হয়েছে।
বিভিন্ন সূত্র জানায়, সংশ্লিষ্ট এলাকায় রুশ ও সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর বিমানগুলো নিয়মিত টহল দেয়। অন্যদিকে মার্কিন বাহিনীও আলোপ্পো এবং পার্শ্ববর্তী ইদলিবে আল-কায়েদার ঘাঁটি লক্ষ্য করে বিভিন্ন সময় বিমান হামলা চালিয়ে থাকে। মাত্র একদিন আগে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের আদালত প্রাঙ্গণে আত্মঘাতী হামলায় ৩১ জন নিহত হন। এর পরপরই আলেপ্পোতে মসজিদে হামলার ঘটনা ঘটল।
টানা ৬ বছর ধরে দেশটিতে গৃহযুদ্ধ চলছে। এ কারণে এখন পর্যন্ত ৩ লাখ ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। গৃহহারা হয়েছে আরো অন্তত ১ কোটি ১০ লাখ মানুষ। খবরে বলা হয়, রুশ ও সিরীয় বিমান থেকে ওই এলাকায় নিয়মিত হামলা চালানো হয়। জঙ্গি দমনে মার্কিন বিমান থেকেও সেখানে মাঝেমধ্যে হামলা হয়। মার্কিন সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে একই দিনে ইদলিব প্রদেশে আল-কায়দার আস্তানায় হামলা চালানোর কথা জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, আল-কায়দার বৈঠক চলাকালে ওই হামলায় অনেক আল-কায়েদা সদস্য নিহত হয়েছে বলেও দাবিও করা হয়। তবে বেসামরিক মানুষ নিহতের বিষয়ে সেখানে কিছু বলা হয়নি। রাশিয়া, তুরস্ক ও ইরানের উদ্যোগে সিরিয়াজুড়ে যুদ্ধবিরতি চললেও সেখানে হামলা অব্যাহত আছে। বিবিসি, আল-জাজিরা, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।