Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

দক্ষিণাঞ্চলে আবারও শীতের আমেজ

বজ্রসহ মেঘ-বাদলের ঘনঘটা শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা

| প্রকাশের সময় : ১৮ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

চট্টগ্রাম ব্যুরো : পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশের (ট্রাফ) প্রভাবে পুনরায় শুরু হচ্ছে বজ্রসহ বিক্ষিপ্ত মেঘ-বাদলের ঘনঘটা। আজ (শনিবার) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পূর্বাভাসে জানা গেছে, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর বিভাগের দুয়েক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।
সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। আর পরবর্তী ৫ দিনে তাপমাত্রা সার্বিকভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে।
এদিকে গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৩৪.২ এবং সর্বনিম্ন শ্রীমঙ্গলে ১১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় ঢাকায় সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল যথাক্রমে ৩১.৬ ও ১৭, চট্টগ্রামে ২৯.৯ ও ১৮ ডিগ্রি সে.।
দক্ষিণাঞ্চলে আবারও শীতের আমেজ
বরিশাল ব্যুরো জানায়, শীতের মধ্যভাগ থেকে বসন্তের আবহের পরে ফাল্গুনের শুরুতে গ্রীষ্ম ও মধ্যভাগ থেকে বর্ষার আমেজের পরে গত তিন দিন শেষ রাতে দক্ষিণাঞ্চলজুড়ে আবার শীত অনুভূত হয়। গতকাল মেঘনা অববাহিকাসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চল ছিল মাঝারী থেকে ঘনকুয়াশার চাদরে ঢাকা। তবে এরই মধ্যে গতকাল সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টার তুলনায় সাড়ে ১.৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস বেড়ে গেছে। এমনকি গত সপ্তাহজুড়েই তাপমাত্রার পারদ ওঠানামা করছে অস্বাভাবিকভাবেই। এর ফলে রবি ফসলসহ মৌসুমী ফলের উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা প্রবল হচ্ছে। এমনকি এবার ভরা মৌসুমজুড়ে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশী থাকায় গমের উৎপাদনেও বিরূপ প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আবহাওয়া বিভাগের মতে, বঙ্গোপসাগরের সঙ্গে লঘুচাপের বর্ধিতাংশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমী লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধিসহ রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকার কথা বলা হয়েছে। দেশের মধ্য ও উত্তরভাগে বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা বলা হলেও দক্ষিণাঞ্চলসহ অন্যত্র আকাশ মেঘলা থাকতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। তবে আজ সকালের পরবর্তী ৪ দিনের শেষভাগে তাপমাত্রা বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে বরিশালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসে হ্রাস পেলেও ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে তা ১.৭ ডিগ্রী বৃদ্ধি পেয়ে গতকাল সকালে তা ১৬.৭ ডিগ্রী সেলসিয়াসে উন্নীত হয়। গতকাল দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২.২ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
গত পুরো সপ্তাহজুড়েই দক্ষিণাঞ্চলে তাপমাত্রার ওঠানামা সকলকে হতচকিয়ে দিয়েছে। গত ১১ মার্চ বরিশালে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল যথাক্রমে ৩০.২ ও ২০.৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস। ১২ মার্চ তা রেকর্ড করা হয় যথাক্রমে ২৯.৫ ও ২০.৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস। ১৩ মার্চ সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৮.৪ ও ১৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। ১৪ মার্চ তা ৩০ ডিগ্রী ও ১৫.৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস ছিল। ১৫ মার্চ ৩০.৫ ও ১৫.৫, ১৬ মার্চ ৩০.৭ ও ১৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করার পরে গতকাল সকালে বরিশালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬.৭ ডিগ্রী সেলসিয়াসে উন্নীত হয়। এমন কি বরিশাল থেকে মাত্র ৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত সংলগ্ন কলাপাড়াতে গতকাল সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৯.২ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
গত ৫ মার্চ দক্ষিণাঞ্চলে মৌসুমের প্রথম কালবৈশাখীর পরে তিন দফায় বরিশালে প্রায় ৪০ মিলিমিটার এবং ভোলাতে প্রায় ১শ’ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। প্রথমে এ বর্ষণ কৃষির জন্য যথেষ্ট আশীর্বাদ হলেও পরের দু’দফায় বর্ষণে তরমুজসহ বেশ কিছু রবি ফসলের যথেষ্ট ক্ষতি করেছে। তবে গম ও বোর ধানের সেচ ব্যবস্থার জন্য এ বৃষ্টিপাত এখনো যথেষ্ট আশীর্বাদের। গতকাল শেষ রাত থেকে সকাল প্রায় ৮টা পর্যন্ত মাঝারী থেকে ঘনকুয়াশার চাদরে মেঘনা অববাহিকাসহ দক্ষিণাঞ্চল ঢেকে থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে আকাশ পরিষ্কার হয়ে ওঠে। পরিচ্ছন্ন আকাশসহ একটি রৌদ্রকরোজ্জল দিন গতকাল দক্ষিণাঞ্চলবাশী উপভোগ করেছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ