পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম আদালত কর্তৃক একটি মীমাংসিত বিষয়। অথচ সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীতে ২ (ক) অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম অন্তর্ভুক্ত করার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত বছরের আগস্টে এর বিরুদ্ধে রীট দায়ের করেছিল জাতীয় হিন্দু মহাজোটের উপদেষ্টা, মৌলবাদী উগ্র হিন্দু সমরেন্দ্র নাথ গোস্বামী। পরে একই বছরের ৭ সেপ্টেম্বর রিট আবেদনটি খারিজ করে দেন বিচারপতি মো. এমদাদুল হক ও বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ। আবারো সে সমরেন্দ্র নাথই রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলে তার রীট খারিজের রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপীল করেছে। যার শুনানী হবে আগামীকাল ১৯ মার্চ। রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের বিরুদ্ধে আপীল করা সরকারের বিরুদ্ধে উগ্র হিন্দুদের গভীর ষড়যন্ত্র। এর মাধ্যমে তারা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের উস্কানী দিয়ে সরকারকে বেকায়দায় ফেলে প্রধানমন্ত্রী ও তার সরকারের ভাবমর্যাদা ক্ষুণœ করতে চায়। বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের কার্যকরী সভাপতি হাফেজ মাওলানা মুহম্মদ আব্দুস সাত্তার, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্জ কাজী মাওলানা মুহম্মদ আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, সমরেন্দ্র নাথের দায়ের করা রীটের রায়ে বলা হয়েছে সংসদ দেশের বাস্তবতার নিরিখে সংবিধান সংশোধন করতে পারে। বাংলাদেশের বাস্তবতার প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বৈধ বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়। রায়ে আরও বলা হয়, দেশের বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে ধর্ম নিরপেক্ষতার পরিধি বাড়ানোর আইনত ও সাংবিধানিক এখতিয়ার সংসদের। সংসদ সেটাই করেছে। বর্তমান বাস্তবতা বিবেচনায় ধর্ম নিরপেক্ষতার আদর্শ দেখার অধিকার জাতীয় সংসদের। জাতীয় সংসদ সেটাই করেছে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়। এর পরেও সেটা না মেনে আবারও আপীল করেছে।
উল্লেখ্য, সমরেন্দ্র নাথের গোস্বামীর রীটের পূর্বে গতবছর ২৮ মার্চ সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলামকে অন্তর্ভুক্তির বিধানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৯৮৮ সালের অপর একটি রীট খারিজ করে দিয়েছিলো হাইকোর্টের আরেকটি বেঞ্চ। বিচারপতি নাঈমা হায়দারের নেতৃত্বে গঠিত হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ এই খারিজ আদেশ দিয়েছিল। রায়ে বিচারকগণ বলেন, ‘এ বিষয়ে আর শুনানির কোনো প্রয়োজন নেই। যারা রীট আবেদন করেছেন, তাদের আবেদনটি গ্রহণযোগ্য নয়।’
উল্লেখ্য, পঞ্চদশ সংশোধনীতে ২ (ক) অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের পাশাপাশি হিন্দুসহ অন্যান্য ধর্মকেও রাষ্ট্রধর্মের স্বীকৃতি দিলেও মৌলবাদী হিন্দু সমরেন্দ্র নাথরা তা মানতে রাজি নয়। তার মানে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে বাদ দেয়াই তাদের এজেন্ডা। এর মাধ্যমে তাদের ইসলাম বিরোধী চরম স¤প্রদায়িক বিদ্বেষ ফুটে উঠেছে।
বিবৃতিতে তারা বলেন, ৪৭-এ দেশ ভাগ হয়েছিল মুসলমান ও হিন্দু ধর্মের ভিত্তিতে। ফলে মুসলমানদের জন্য পাকিস্তান বর্তমান বাংলাদেশ ও হিন্দুদের জন্য ভারতকে পৃথক বাসভূমি করা হয়। তাই কোন মৌলবাদী হিন্দু যদি বাংলাদেশে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম এবং মুসলমানদের ধর্মীয় সংস্কৃতি মানতে না পারে তাহলে তারা ভারতে চলে যাক। কারণ, এদেশ মুসলমানদের। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম নিয়ে কোন সা¤প্রদায়িক উস্কানী এদেশে বরদাশত করা হবে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।