পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : রাজধানীতে নিত্যপ্রয়োজনীয় সবজির দাম প্রতিনিয়তই বেড়ে চলেছে। দাম বাড়ার নির্দিষ্ট কোনো কারণ জানাতে না পারলেও বরাবরের মতো অযুহাত দেখিয়ে যাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। রাজধানীর সবজি ব্যবসায়ীরা বলছেন, মৌসুম পরিবর্তনের কারণেই প্রায় সব সবজির দাম আরেক দফা বেড়েছে। বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, শীত মৌসুমের শুরুর দিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় কাঁচা পণ্যের দাম কিছুটা বেড়েছিল। তখন বলা হয়েছিল, শীতের নতুন সবজি; তাই দাম বাড়ছে। এরপর শীতের মাঝামাঝিতে প্রায় সব ধরনের শীতকালীন সবজির দাম বাড়ানো হয়েছিল। সে সময়ে পরিবহন ব্যয় এবং যোগান স্বল্পতার কথা বলেছিলেন ব্যবসায়ীরা। আর শীতের শেষ দিকে আবার দাম বাড়ানো হয়েছিল। সে সময়ে বলা হয়েছে, শীত মৌসুম শেষের দিকে হওয়ায় সব সবজির যোগান কিছুটা কমেছে; তাই বেড়েছে দাম।
শীতের শুরু, মাঝামাঝি এবং শেষ দিকে বিভিন্ন অজুহাতে তিন দফায় সবজির দাম বাড়ানো হলেও পরবর্তীতে সে দাম আর কমানো হয়নি। গত সপ্তাহেও বাড়তি দামেই বিক্রি হয়েছে প্রায় সব ধরনের সবজি। এরপর সপ্তাহের ব্যবধানে গতকাল শুক্রবারের বাজারে সবজির দাম আবারও বাড়ানো হয়েছে।
শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, হাতিরপুল বাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, সব ধরনের সবজির দাম ৫ টাকা থেকে ১০ টাকা হারে বেড়েছে। এছাড়া কেজি প্রতি কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে ২০ টাকা। গত সপ্তাহে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হওয়া কাঁচা মরিচ আজকের বাজারে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
সপ্তাহের ব্যবধানে কেজি প্রতি ১০ টাকা হারে বেড়ে টমেটো ৫০ টাকা; সাদা বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা; কালো বেগুন ৫০ টাকা; শিম ৫৫-৬০ টাকা; শশা ৪৫-৫০ টাকা; গাজর ৫০ টাকা; পেঁয়াজের কালি ২০ টাকা; চাল কুমড়া ১৫ টাকা; কচুর লতি ৬০ টাকা; পটল ৭০ টাকা; ঢেঁড়স ৬০ টাকা; ঝিঙ্গা ৬০ টাকা; চিচিঙ্গা ৬০ টাকা; করলা ৬০ টাকা; কাকরোল ৬০ টাকা; কচুরমুখি ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া আলু ১৮ টাকা এবং পেঁপে ১৫ টাকা থেকে ২৫ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। প্রতিটি ফুলকপি ৫০ টাকা; বাঁধাকপি ৩০ টাকা এবং লেবু হালি প্রতি ১৫-২৫ টাকা; আটি প্রতি পালং শাক ১৫ টাকা, লালশাক ১৫ টাকা, পুঁইশাক ২০ টাকা এবং লাউশাক ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
পলাশী বাজারের সবজি ব্যবসায়ী রাকিব বলেন, গ্যাসের দাম বাড়ার পর থেকে দেশে সব দ্রব্যের দামই বেড়েছে। সে অনুযায়ী, সবজির দামও বাড়ছে। সবজির দাম বাড়ার কারণ হিসেবে মৌসুম পরিবর্তনে কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি।
এদিকে মুদি পণ্যের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি লিটার ভোজ্য তেল ১০০ থেকে ১১০ টাকা দরে এবং ৫ লিটারের বোতল ব্র্যান্ড ভেদে ৫০০ থেকে ৫১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কেজি প্রতি দেশি মসুর ডাল ১২৫ টাকা; ভারতীয় মসুর ডাল ১১৫ টাকা; মুগ ডাল (দেশি) ১২০ টাকা; ভারতীয় মুগ ডাল ১১০ টাকা; মাসকলাই ১৩৫ টাকা এবং ছোলা ৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
মানভেদে দেশি পেঁয়াজ কেজি প্রতি ৩০ টাকা; ভারতীয় পেঁয়াজ ২৫ টাকা; দেশি রসুন ৯০ টাকা; ভারতীয় রসুন ১৯০ টাকা এবং চীনা রসুন ১৮০ টাকা; দেশি আদা ১৩০ টাকা; চীনের আদা ৭০ টাকা; ক্যারালা ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
সব ধরনের সবজির দাম বাড়লেও অনেকটা স্থিতিশীল রয়েছে চালের বাজার। প্রতি কেজি স্বর্ণা চাল ৪০ টাকা; পারিজা চাল ৪০-৪১ টাকা; মিনিকেট ভালো ৫০-৫৩ টাকা; মিনিকেট নরমাল ৪৮ টাকা; বিআর আটাশ চাল ৪২-৪৪ টাকা; নাজিরশাইল চাল ৪২-৪৮ টাকা; বাসমতি চাল ৫৬ টাকা; কাটারিভোগ চাল ৭৪-৭৬ টাকা; হাস্কি নাজির চাল ৪০ টাকা এবং পোলাও চাল ১০০ (পুরাতন), নতুন ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আকার ভেদে প্রতি কেজি রুই মাছ ২৫০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা; সরপুঁটি ৩৫০ টাকা থেকে ৪৫০ টাকা; কাতলা ৩৫০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা; তেলাপিয়া ১৪০ টাকা ১৮০ টাকা; সিলভার কার্প ১৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকা; চাষের কৈ ২০০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পাঙ্গাস প্রতি কেজি ১৩০ থেকে ১৮০ টাকা; টেংরা ৬০০ টাকা; মাগুর ৬০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা; প্রকার ভেদে চিংড়ি ৪০ প্রতি টাকা থেকে ৮০০ টাকায়; ইলিশ কেজি প্রতি (মাঝারি) ১২০০ টাকা এবং দেড় কেজি ওজনের প্রতিটি ইলিশ ১৮০০ টাক থেকে ২০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ টাকায়। এছাড়া প্রতি কেজি লেয়ার মুরগি ১৮৫ টাকা; দেশি মুরগি প্রতি কেজি ৪০০ টাকা; পাকিস্থানি লাল মুরগি কেজি প্রতি ২৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস প্রতি কেজি ৫০০ টাকা; খাসির মাংস প্রতি কেজি ৭৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।