Inqilab Logo

রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সরকার তাদের প্রভুদের সামাল দিতে পারছে না আগে তিস্তা চুক্তি পরে অন্য কিছু -গয়েশ্বর

| প্রকাশের সময় : ১৮ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন সফরে কী চুক্তি হচ্ছে তা স্পষ্ট নয়। তবে অন্য কোনো নতুন চুক্তির আগে তিস্তা চুক্তি সম্পাদন করা জরুরি। এটা ভারতকে স্পষ্টভাবে বাংলাদেশ সরকারকে বলতে হবে। তিনি বলেন, বিনা ভোটে নির্বাচিত সরকার যাদের করুণায় ক্ষমতায় আছে, তাদের সব আবদার রক্ষা করাই সরকারের দায়িত্ব। সে কারণে সরকার স্পষ্ট কিছু বলতে পারছে না।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে বিএনপির সাবেক মহাসচিব মরহুম খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এ স্মরণসভা ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করে স্বাধীনতা ফোরাম।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বঙ্গোপসাগরের কর্তৃত্ব নিয়ে সরকারের সঙ্গে ভারতের মনোমালিন্য হয়েছে। বাংলাদেশ সাবমেরিন কার বিরুদ্ধে ব্যবহার করবে, এমন প্রশ্ন করলে জবাব, সবার বিরুদ্ধে আবার কারো বিরুদ্ধে না। অর্থাৎ যে আক্রমণ করবে তার বিরুদ্ধে। এই সহজ কথা সরকার বলতে পারছে না। কারণ তারা প্রভুকে সামলাতে পারছে না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরকালে নাকি সে দেশের সাথে চুক্তি করবেন। কিন্তু কিসের চুক্তি? আগে তিস্তা চুক্তি করতে হবে। তারপর অন্য কিছু। এটা ভারতকে স্পষ্টভাবে বাংলাদেশ সরকারকে বলতে হবে। আগে তিস্তা পানি বণ্টন চুক্তি করতে হবে, তারপর অন্য কিছু। দুই দেশের (বাংলাদেশ-ভারত) সঙ্গে চুক্তি হলে তা হবে জাতীয় ইস্যু। আর সেসব ইস্যু জনগণকে জানাতে হয়। জাতীয় স্বার্থে কোনো আঘাত আসবে কি-না তা নিয়ে জনগণের মতামত দেয়ার অধিকার রয়েছে। আর ভারতের সাথে বাংলাদেশের কি চুক্তি হবে সেটা দেশের জনগণ জানার অধিকার রাখে। এটাও পরিষ্কার করতে হবে।
সরকারকে অনির্বাচিত মন্তব্য করে তিনি বলেন, বর্তমান সংসদ যদিও অবৈধ কিন্তু সংশ্লিষ্টরা তো সেখান থেকে বেতন-ভাতা নেন। সংসদ যদি আড্ডাখানাও হয়ে থাকে, তবে সম্ভাব্য চুক্তির বিষয়গুলো আলোচনা হওয়া উচিৎ। কারণ দেশের জনগণের সেগুলো জানার অধিকার আছে।
মরহুম দেলোয়ার হোসেনকে ভালো সংগঠক আখ্যা দিয়ে গয়েশ্বর বলেন, তার মতো ভালো সংগঠকের অভাব রয়েছে। আমরা আজও ওয়ান ইলেভেনের নির্যাতন থেকে রেহাই পায়নি। তিনি সেসময় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপিকে বলিষ্ঠ নেতৃত্বে শক্তভাবে পরিচালনা করতেন। তার প্রয়োজনীয়তা আজো তীব্র থেকে তীব্রতর। কিন্তু যারা মান্নান ভ‚ঁইয়ার মতো করবে, তারা তো বেঈমান বলে আখ্যা পাবে। সে তো সালাম পাওয়ার যোগত্যাও হারাবে।
সংগঠনের সভাপতি ও বিএনপির নির্বাহী সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমতুল্লাহর সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কেন্দ্রীয় নেতা আমিনুল ইসলাম, শাহজাহান মিয়া সম্রাট, ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, এম এ হালিম, স্বাধীনতা ফোরামের ইঞ্জিনিয়ার আজিজুল ইসলাম, ইসতিয়াক আহমেদ বাবুল, ইলিয়াস হোসেন ও ফারুকুল ইসলাম প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ