ইভিএম-এ ভোট কেন?
আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম-এ ১৫০ আসনে ভোট গ্রহণের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। কাকতালীয় কিনা জানি না, ১৫০ সংখ্যাটা আমাদের এর আগে চিনিয়েছিলেন রকিবুল
মোহাম্মদ আবু নোমান : একশ্রেণীর ব্লগার আর কিছু না পেয়ে, ঘুরে ফিরে কয়েকটি বিষয় নিয়ে লম্ফঝম্ফ করে। যেমন একাধিক বিয়ে, কম বয়সে বিয়ে, হিজাব, পর্দা, কুরবানি ইত্যাদি। ইসলাম বালেগ হবার পরই কেবলমাত্র (বিশেষ ক্ষেত্রে কম বয়সে হলেও) বিয়ের অনুমোদন দিয়েছে, বাধ্য করেনি। এসব বিষয় যদি সরাসরি হারাম করে দেয়া হতো তবে মারাত্মক বিশৃঙ্খলার আশংকা থাকতো। আল্লাহতায়ালা ভবিষ্যৎ সম্পর্কে পুরোপুরি ওয়াকিবহাল। সে কারণে তিনি জানেন, কি থাকা উচিত আর কি থাকা অনুচিত। অথচ এসব বিষয়ে বলা ও ব্যাখ্যাসহ সময়োপযোগী অকাট্য প্রমাণ দেয়ার পরও লাভ হয় না। অন্য ধর্মের অসংখ্য সীমাহীন অসামঞ্জস্য থাকলেও তাদের চোখে পড়ে না।
ইসলামবিদ্বেষী ব্লগাররা, যারা জীবনে ইসলামি শিক্ষাকেন্দ্রের বারান্দায়ও হাঁটেনি, এখন ইসলামি কৃষ্টি, কালচার নিয়ে বিদ্যাসাগর বনে রীতিমতো বাহাসে লিপ্ত হয়েছে। ওদের বøগে কুরআন হাদিসের অসংখ্য উদ্ধৃতির কপিপেস্ট রয়েছে। দেখলে মনে হবে, মহাজ্ঞানী কোন ইসলামিক স্কলারের ব্লগ। ওদের সমগোত্রের চামচিকা মার্কা ব্লগাররা এসব পড়ে মন্তব্য করছে, ‘বস, আপনারতো অনেক স্টাডি আছে, ইসলাম নিয়ে অনেক কিছু জানালেন’। এসব ব্লগার সত্যের সাথে মিথ্যার মিশ্রণ, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অপব্যাখ্যা অথবা ভিন্ন দুই আয়াতকে এক আয়াতে নিয়ে আসাসহ পূর্ণ আয়াত ও হাদিসের অর্ধাংশ বা কিয়দাংশ উল্লেখ করে থাকে। ব্লগে ওদের সমগোত্রীয় ও আবিষ্কৃত অচেনা এমন কিছু জার্নাল বা গবেষকের লিঙ্ক দেয় যাদের নাম খুব কম মানুষই জানে।
তাদের বোঝা উচিত, ঘরে বসে গুগলে আর ইন্টারনেট ঘেটেই যদি দ্বীনের পূর্ণাঙ্গ বুঝ পাওয়া যেত, তাহলে আল্লাহপাক রাসূলগণকে দুনিয়াতে পাঠাতেন না। সব মানুষকে জন্মের সময় একটা ইউআরএল হাতে ধরিয়ে দিতেন। টাইটেল থাকত, ‘হাউ টু লিভ ইন দুনিয়া’। দুনিয়াবী জ্ঞানও যদি সব নিজে পড়ে আর ইন্টারনেট দিয়ে আসত, তাইলে পৃথিবীর সকল স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যেত। সবাই ঘরে বসেই সব শিখে ডক্টরেট ডিগ্রি নিজের নামের আগে বসিয়ে নিত। পাঠক চিন্তা করুন, ভার্সিটি বা মাদ্রাসার সর্বোচ্চ শ্রেণীর একটি ক্লাস মিস হলে সেই ক্লাসের পাঠ সংগ্রহ করা আর ভাল ছাত্রদের কাছ থেকে সেটা বুঝে নেয়া কত পরিশ্রমের ব্যাপার। তাই দ্বীন শিখতে হলে আলেমদের কাছে গিয়া শিখতে হবে।
সম্প্রতি নারীদের মতো পুরুষরাও ১৮ বছরের আগেই বিয়ে করার সুযোগ পাবেন, এ বিধান রেখে ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ বিল-২০১৭’ পাস হয়েছে। ‘বিশেষ প্রেক্ষাপটে’ আদালতের নির্দেশে এবং বাবা-মার সম্মতি অনুযায়ী বিধিসম্মতভাবে বিবাহ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হলে তা এ আইনের অধীনে অপরাধ বলে গণ্য হবে না। ইসলামবিদ্বেষী নারীবাদী ও কথিত ব্লগাররা এই বিলের বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে। তারা মুসলমানদের বিবাহের প্রথাকে কটাক্ষ ও বিভিন্ন সমালোচনায় মুখর হয়ে রয়েছে। আসলে এটা ধর্মবিদ্বেষী একটি সূ² ষড়যন্ত্র। এর মধ্য দিয়ে তারা ইসলামী জীবন ব্যবস্থায় বিয়ের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতে তরুণ-তরুণীদের বাধা ও নিরুৎসাহিত করতে চায়। ব্যাপারটা অনেকটা এরকম যে, শুধু বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা করা।
নারী অধিকার আদায়ে সোচ্চার বিভিন্ন দল যেমন, মহিলা আইনজীবী সমিতি, আইন ও সালিশ কেন্দ্র, উইমেন ফর উইমেন, কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম, শিশু অধিকার ফোরাম, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ ইত্যাদি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সম্পর্ক স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী মহান জাতীয় সংসদে বলেছেন, ‘তারা দুইটা এনজিও করে পয়সা কামায়’। তারা সমাবেশ করছে এই সেøাগান ধরে- ‘আঠারোর আগে বিয়ে নয়, কুড়ির আগে সন্তান নয়’। তাদের যুক্তি, ঋতুবতী কিন্তু কম বয়স্ক কোন মেয়ের বিবাহ হলে তার এসটিডি হবে, শিশু ও মায়ের মৃত্যু হবে, হ্যান ক্ষয় যাবে, ত্যান ক্ষয় যাবে ইত্যাদি। অথচ পরিসংখ্যানে যেসব দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা যত অনুন্নত, তাদের শিশু ও মাতৃমৃত্যু হার সমানুপাতিকভাবে বেশি। বিবাহ কোন ইস্যু নয়।
যুক্তরাষ্ট্রের সকল অঙ্গরাজ্যে বিয়ের সাধারণ বয়স ১৮ বছর। তবে বাবা-মায়ের সম্মতিক্রমে বিয়ের বয়স আলাস্কা, নিউইয়র্ক, নর্থক্যারোলিনাতে ১৪। হাওয়াই, ইন্ডিয়ানা, কানসাস, ম্যারিল্যান্ড, ইউটাহতে ১৫। আলাবামা, জর্জিয়া, ইলিনয়, আইওয়া, মিনেসোটা, মন্টানা, ভারমন্ট, ভার্জিনিয়া, উইস্কনসিনে ১৬। নিউহ্যাম্পশায়ারে ১৩। এছাড়াও অভিভাবকের অনুমতিতে এরিজোনা, ক্যালিফোর্নিয়া, কলোরাডো ও পশ্চিম ভার্জিনিয়াসহ ২৭টি রাজ্যে বিয়ের কোন সর্বনিম্ন বয়সই নেই। ২০০০ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ১,৬০,০০০ বিয়ে সম্পন্ন হয় যাদের বয়স ১২ থেকে ১৬ বছর। আমাদের নারীবাদীরা বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন নিয়ে আপগ্রেড পরিসংখ্যান ছেড়ে আউট অব জার্নাল এন্ড স্টাডি টাইপের কথা চিন্তা করে তাহলে তাদের সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন রয়ে যায়। নারী অধিকার নিয়ে যারা গলা ফাটায় তাদের প্রিয় মডেল ও আদর্শ ইউরোপের উন্নত দেশগুলোর যখন এই পরিসংখ্যান তখন সেখানকার অধিকাংশ মেয়েই ১০ থেকে ১২ বছরের মধ্যেই কুমারিত্ব হারায়, অনেকে গর্ভপাতও করে, তখন কোন শারীরিক রিস্ক বা সমস্যা হয় না। সেখানে চাইলেই তার যৌনতার স্বাধীনতা আছে, ইচ্ছে থাকলে ধর্ষণ হবে না, লোকে তাকে পেডোফিলিও বলবে না।
নারীবাদীরা খুব সহজে আমাদের কিশোর-কিশোরীদের মাথায় ঢুকিয়ে দিচ্ছে, বাল্য বিয়ে খারাপ। অথচ ১৫, ১৬ বছরের ছেলেমেয়ে প্রেমে জড়াচ্ছে। চরিত্র যায় যাক, বিয়ে করা যাবে না। যে যত পারো পতিতাদের কাছে যাও, বান্ধবী খুঁজে নাও, তাও বিয়ের নাম তুলো না। ইসলামে নারী ও পুরুষের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনের জন্য বিয়েই একমাত্র বৈধ উপায়, একমাত্র বিধিবদ্ধ ব্যবস্থা। বিয়ে ছাড়া অন্য কোনভাবে নারী-পুরুষের মিলন ও সম্পর্ক স্থাপন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কম বয়সে বিয়ের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করার চেয়ে, কম বয়সে প্রেম, যৌন সম্পর্ক ও কুমারী মা হওয়ার বিরুদ্ধে আন্দোলন, লেখালেখি করলে ফল বেশী ভালো হবে। পিতা-মাতা তখনই বাধ্য হয়, যখন ছেলেমেয়েরা অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। কম বয়সে বিয়ে দেয় এমন একটা পরিবারকে খুব কাছ থেকে জানার চেষ্টা করলে বুঝা যাবে কেন কম বয়সে বিয়ে দেয়।
পশ্চিমা উন্নত বিশ্বে বাল্যবিবাহ নিয়ে খুব একটা হৈ চৈ দেখা যায় না। কারণ সেখানে পারিবারিক বন্ধন শিথিল। শারীরিক সক্ষমতা, ক্যারিয়ার এসব নানা দিক ভেবে প্রায় সবদেশেই ১৮ এর কাছাকাছি রাখা হয়েছে। অনেক উন্নত দেশে এটাকে ১৬তেও রাখা হয়েছে। এর নীচে ,তারা মনে করে, বিয়ে করাটা ঠিক না যদিও তাদের এজ অব কনসেন্ট ১৪তেই দিয়ে দেয়া হয়। দেখতে শুনতে ভালো, মেধাবী মেয়েদের জন্য অযোগ্য ছেলেরাও বিয়ের প্রস্তাব ও পছন্দ করে বসে। মাস্তান ছেলেদের দ্বারা মেয়েদের ইভটিজিং ও উত্ত্যক্ত হওয়ার খবর ব্যাপক। এসব থেকে আত্মহত্যার মতো ঘটনাও হয়ে যায়। মেয়েদের নিরাপত্তার চিন্তা করে সচেতন বাবা-মা সুপাত্রে বিবাহ দেওয়াই একমাত্র নিরাপদ এক্সিট ওয়ে বিবেচনা করে থাকে। বর্তমান বিশ্বে সমাজের পরিকাঠামো যে গতিতে পরিবর্তিত হচ্ছে, উপরি কাঠামোর পরিবর্তনও সে গতিতে হওয়া আবশ্যক। বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে ১৯২৯ সালে আইন প্রণয়ন করা হয়। ৮৮ বছর আগে প্রণীত আইনটি যেমন এখনকার যুগোপযোগী নয়, তেমনি এর কার্যকারিতা নেই বললেই চলে। সে নিরিখেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের পক্ষে যে মত ও যুক্তি উপস্থাপন করেছেন যা অত্যন্ত সহয়োপযোগী ও বিজ্ঞচিত। ১৬ বছরের আগে বিবাহ নিয়ে আরেক অজুহাত হলো, একসময় মনে করা হতো, অতিরিক্ত জনসংখ্যা দেশের জন্য মরণব্যাধী। এখন দেখা যাচ্ছে, শ্রমিক রপ্তানী, জনশক্তির উন্নয়নের মতো পদক্ষেপের সুফল। বলা হয়ে থাকে, ‘তারুণ্যে বিনিয়োগ, আগামীর উন্নয়ন’। তাই জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তর করতে পারলেই দেশের সার্বিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। আধুনিক অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, অন্যান্য সম্পদের মতো মানুষও সম্পদ।
ইসলাম ও ধর্মবিদ্বেষীরা ব্লগে কুরআন হাদিসের অপব্যাখ্যা করে থাকে। অথচ আলেম ও ইসলামী স্কলারদের কথা ওদের ভাল লাগে না। পূর্ববর্তী ওলামা, ইমামগণের জীবনী পড়লে দেখা যায় ফিকহি মাসয়ালা জানার জন্য তারা কতদিন ওস্তাদের দরজায় বসে থাকতেন ! কোন আলেম বলেন না যে, বাল্যবিবাহ করতেই হবে। আমাদের দেশে যারা বাল্যবিবাহ করে, তারা কেউ ইসলামের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে করে না। গ্রামগঞ্জের অশিক্ষিত লোকজন এসব করে। এরা ইসলাম কতটুকু জানে বা বোঝে?
অধিকাংশ শীত প্রধান উন্নত দেশগুলোতে ১৩-১৫ বছর (অ্যাপ্রক্সিমেট) বয়সের আগে মেয়েদের মাসিক হয় না। সেখানে ১০-১২ বছরের কথা ভাবাই যায় না। আর ১০ বছরের আগে মাসিক হওয়া অস্বাভাবিক এবং সেটা যে বিভিন্ন রকম শারীরিক অসুস্থতার কারণেই হয়। সব কথার শেষ কথা হল কমবয়সী এবং দ্রুত মাসিক হওয়া ছোট এবং কমবয়সী মেয়েদের বিয়ে কখনোই যৌক্তিক নয় এবং ক্ষতিকর সেটা আজ সার্বজনীন প্রমাণিত। মেডিক্যাল সাইন্সে প্রেগনেন্ট হবার জন্য কোন লোয়ার লিমিট নেই। কিন্তু ৩০ থেকে ৩৫ বছর অতিক্রান্ত হবার পরে যদি কোন মেয়ে প্রেগনেন্ট হন তাহলে তা হাই রিস্ক। মেডিকেলের এক সিনিয়র শিক্ষিকা এই লেখককে বলেন, আমরা আমাদের ছাত্রীদের উপদেশ দিয়ে থাকি বিয়ে করে ফেলার জন্য এবং বাচ্চা নেবার জন্য।
সংবিধান ও আইনের দৃষ্টিতে প্রত্যেক সাবালক নাগরিকের বিয়ের পূর্ণ অধিকার রয়েছে। ইতোপূর্বে বিয়ের জন্য বিয়ের সাবালকত্ব্য ধরা হয় পুরুষের জন্য নিম্নে ২১ বছর, আর নারীর জন্য নিম্নে ১৮ বছর। এর কম বয়সে মানব সন্তানকে ‘শিশু’ বলে অভিহিত ও বিয়ে করাকে ‘বাল্যবিবাহ’ হিসেবে অভিহিত করা হয়। অথচ দেশের এমন অনেক ১৪, ১৫ বছরের মেয়েকে আদালতে দাঁড়িয়ে বলতে দেখা গেছে, ‘মাননীয় আদালত, আমি বড় হয়েছি, আমি আমার জীবন সম্পর্কে জানি ও বুঝি, আমি আমার বাবা-মায়ের কাছে যাবো না, আমি আমার স্বামীর সাথেই যাবো’। যে বালেগ হবে, রিপুর চাহিদা যদি তার মধ্যে সৃষ্টি হয়, তবে সে বিয়ে এবং সন্তান ধারণের উপযুক্ত। ব্যাপারটাতো আর এমন নয় যে, মেয়ের বয়স ১৫ ক্রস হয়েছে, তাই বিয়ে দিয়ে দাও। ইসলাম এই রকম কিছু বলেনি। তবে হাদীসে বাবা-মাকে ১৭ বছর বয়সে বিয়ে দেবার জন্য উৎসাহিত করা হয়েছে।
আর প্রেগনেন্সি একটা এক্সত্রিম ফিজিওলজিকাল কন্ডিশন, যা সকল বয়সের মেয়েদের জন্যই আনসেইফ ও জীবনের ঝুঁকি। এর অনেকটা সেইফটি নির্ভর করে শরীরের, উচ্চতা ও সুস্থতার উপরে, বয়সের নয়। একটা ১৪-১৫ বছরের মেয়ের শরীরের গঠন উপযুক্ততা ও পূর্ণতার সাথে উচ্চতা যদি সাড়ে ৪ বা ৫ ফুট হয় তাহলে তার তুলনায় ২৫ বছরের মেয়ে যার উচ্চতা ৪ ফুট বা তার চেয়ে কম তার প্রেগনেন্সি অনেক বেশী রিস্কি। কোনো বাবা তার মেয়েকে অপরিণত বয়সে বিয়ে দিয়ে কেন বিপদে পড়বেন? আধা আধি বা নিজের মন মত তো ইসলাম পালন করা যাবে না। ইসলাম যদি মানতে হয়, মেয়ের বিয়ে দিতে হলে অবশ্যই মেয়ে এবং মেয়ের বাবার রাজি থাকতে হবে।
একটা গণতান্ত্রিক সমাজে আইন প্রণয়নের উদ্দেশ্য হবে জনসাধারণের গণতান্ত্রিক অধিকার ও সকল মানুষের সমমর্যাদা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে। ব্যক্তিস্বাধীনতা, নারীর সমঅধিকার, সমমর্যাদার দাবি হঠাৎ করে আসেনি। তার জন্য শত শত বছর লড়তে হয়েছে। নারীর প্রতি সম্মান, শ্রদ্ধা, আর্থিক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠা, গর্ভধারিণী মায়ের অধিকার, কন্যা-জায়া-জননীর মর্যাদা ও মুক্তির দিশারী ইসলাম ধর্ম। মানবজীবনের এমন কোনো ক্ষেত্র নেই; যেখানে নারীদের মর্যাদার ব্যাপারে ইসলামের ন্যায়ানুগ ও বিবেচনাপ্রসূত নির্দেশনা অনুপস্থিত।
[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।