পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রেসিডেন্ট মো: আবদুল হামিদ শিশুদের সুন্দর ভবিষ্যৎ এবং সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহŸান জানিয়েছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৮তম জন্মদিবস ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার এক বাণীতে এ আহবান জানান।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৮তম জন্মদিবস ও জাতীয় শিশু দিবস ২০১৭ উপলক্ষে তিনি এ মহান নেতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। দিবসটি উপলক্ষে তিনি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল শিশু-কিশোরকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
তিনি বলেন, স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের রূপকার বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। ক্ষণজন্মা এই মহাপুরুষ শৈশব থেকেই ছিলেন অত্যন্ত হৃদয়বান ও মানবদরদি। কিন্তু অধিকার আদায়ে ছিলেন আপোসহীন। স্কুলজীবন থেকেই তার মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলি পরিলক্ষিত হয়। চল্লিশের দশকে এই তরুণ ছাত্রনেতা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের সংস্পর্শে এসে সক্রিয় রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন। তিনি ছিলেন বাঙালি জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা এবং বাঙালি জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা। ‘৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ’৫৪ এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ’৫৮ এর সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, ‘৬৬ এর ৬-দফা, ‘৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ‘৭০ এর নির্বাচনসহ বাঙালির মুক্তি ও অধিকার আদায়ে পরিচালিত প্রতিটি গণতান্ত্রিক ও স্বাধিকার আন্দোলনে তিনি নেতৃত্ব দেন। এজন্য তাকে বহুবার কারাবরণ করতে হয়েছে, সহ্য করতে হয়েছে অমানুষিক নির্যাতন।
প্রেসিডেন্ট বলেন, বাঙালির অধিকারের প্রশ্নে তিনি কখনো আপোস করেননি। নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। তার আহŸানে সাড়া দিয়ে দেশের আপামর জনগণ মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জন করে বহু কাক্সিক্ষত স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। তার অসামান্য অবদানের জন্য আজ দেশের মানুষের কাছে বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু এক ও অভিন্ন সত্ত¡ায় পরিণত হয়েছে। তিনি নিজগুণে ও কর্মে সমাজ, দেশ ও সমকালীন বিশ্বে চিরভাস্বর হয়ে আছেন। তিনি কেবল বাঙালির নন, বিশ্বে নিপীড়িত-শোষিত মানুষের স্বাধীনতার প্রতীক, মুক্তির দূত। তিনি বলেন, স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সবসময় সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখতেন। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে দেশের নতুন প্রজন্মকে সোনার মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। শৈশব থেকেই তাদের মধ্যে চারিত্রিক গুণাবলীর উন্মেষ ঘটাতে হবে। জ্ঞান-গরিমা, শিক্ষা-দীক্ষা, সততা, দেশপ্রেম ও নিষ্ঠাবোধ জাগ্রত করার মাধ্যমে তাদের আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তারা যাতে নিজেদের গড়ার পাশাপাশি দেশ ও মানুষকে ভালোবাসতে শেখে এবং দেশের কল্যাণে কাজ করতে পারে সেভাবেই তাদেরকে গড়ে তুলতে হবে।
আবদুল হামিদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর জš§দিনকে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালনের উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই। কারণ এ দিবসটি উদযাপনের মধ্যদিয়ে নতুন প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুর জীবন ও আদর্শ সম্পর্কে জানতে পারবে এবং দেশপ্রেমের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আগামীতে জাতি গঠনে অবদান রাখতে সক্ষম হবে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বাঙালির চিরন্তন প্রেরণার উৎস। তার কর্ম ও আদর্শ জাতির মাঝে বেঁচে থাকবে চিরকাল। তিনি জাতির পিতার ৯৮তম জন্মদিবসে তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
দেশের প্রকৃত ইতিহাস ও বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবন সম্পর্কে শিশুদের শিক্ষা দেয়ার আহবান প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের প্রকৃত ইতিহাস এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রামী জীবন সম্পর্কে শিশুদের শিক্ষা দেয়ার আহবান জানিয়েছেন। তিনি শিশুদের প্রকৃত শিক্ষায় দিক্ষিত এবং আত্মবিশ্বাসী করে গড়ে তুলতে দলমত-নির্বিশেষে সকলকে একযোগে কাজ করার আহবান জানান।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৮তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে দেয়া গতকাল বৃহস্পতিবার এক বাণীতে তিনি এ আহবান জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার প্রিয় মাতৃভূমিকে শিশুদের জন্য নিরাপদ আবাসভূমিতে পরিণত করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। তাই প্রত্যেক শিশুর মনে দেশপ্রেম জাগ্রত করে তাদের ব্যক্তিত্ব গঠন, সৃজনশীলতার বিকাশ এবং আত্মবিশ্বাসী করে গড়ে তুলতে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৮তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে তিনি বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং দেশের সকল শিশুসহ দেশবাসীর প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গোপালগঞ্জ জেলার নিভৃত টুঙ্গিপাড়ায় ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ প্রখ্যাত শেখ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার পিতার নাম শেখ লুৎফর রহমান এবং মাতার নাম বেগম সায়রা খাতুন। ছয় ভাই-বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন তৃতীয়। বাল্যকাল থেকেই বঙ্গবন্ধু ছিলেন নির্ভীক, দয়ালু এবং পরোপকারী। স্কুলে পড়ার সময়েই নেতৃত্বের গুণাবলী ফুটে উঠে তার মধ্যে। ধীরে ধীরে তিনি হয়ে উঠেন বাংলার আবাল-বৃদ্ধ-বনিতার অধিকার আদায়ের শেষ আশ্রয়স্থল।
প্রখর স্মৃতিশক্তির অধিকারী ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন এই বিশ্বনেতার সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের মূল লক্ষ্য ছিল বাঙালি জাতিকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করা এ কথা উলেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার লড়াইয়েও নেতৃত্ব দেন।
প্রধানমন্ত্রী বাণীতে উলেখ করেন, ১৯৪৮ সালে তার প্রস্তাবে ছাত্রলীগ, তমদ্দুন মজলিশ ও অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত হয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ। ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতির দাবিতে সাধারণ ধর্মঘট পালনকালে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করা হয়। ১৯৪৮ থেকে ১৯৫২ পর্যন্ত তিনি বার বার কারারুদ্ধ হন। কখনও জেলে থেকে কখনও জেলের বাইরে থেকে জাতির পিতা ভাষা আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রæয়ারির বিয়োগান্তক ঘটনার সময় বঙ্গবন্ধু অন্তরীণ অবস্থা থেকে দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
তিনি বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় পরবর্তীতে ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ’৫৮ সালের আইয়ুব খানের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, ’৬২’র শিক্ষা কমিশনবিরোধী আন্দোলন, ‘৬৬’র ছয় দফা, ‘৬৮’র আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, ‘৬৯’র গণঅভ্যুত্থান, ‘৭০’র নির্বাচন এবং একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ জাতির পিতার অবিসংবাদিত নেতৃত্বে পরিচালিত হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার ঐন্দ্রজালিক নেতৃত্ব এবং সম্মোহনী ব্যক্তিত্ব সমগ্র জাতিকে একসূত্রে গ্রথিত করেছিল। যার ফলে ‘আমরা পেয়েছি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। বিকাশ ঘটেছে বাঙালি জাতিসত্তার’।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু বাঙালি জাতিরই নয়, তিনি ছিলেন বিশ্বের সকল নিপীড়িত-শোষিত-বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায় ও মুক্তির অগ্রনায়ক। তিনি যখন স্বাধীন বাংলাদেশের পুনর্গঠন কাজে আত্মনিয়োগ করেন, তখন ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তাকে সপরিবারে হত্যা করে। এর মধ্যদিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা ও উন্নয়নকে স্তব্ধ করে দেয়া হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, ’৭৫-পরবর্তী অবৈধ সামরিক সরকারগুলো বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সংবিধানকে ক্ষত-বিক্ষত এবং স্বাধীনতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধী ও প্রতিক্রিয়াশীল শক্তিতে পুনর্বাসন করে। জনগণ ভাত ও ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়। মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করা হয়।
বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের রায় কার্যকর করার মধ্যদিয়ে বাঙালি জাতি আজ দায়মুক্ত হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, একাত্তরের মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায়ও কার্যকর করা হচ্ছে। স্বাধীনতাবিরোধী সা¤প্রদায়িক গোষ্ঠী এবং উন্নয়ন ও গণতন্ত্রবিরোধী শক্তির সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে জাতির পিতার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতে আমরা বদ্ধপরিকর।
শেখ হাসিনা বলেন, শিশুদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর মমতা ছিল অপরিসীম। তাই তার জন্মদিনকে শিশুদের জন্য উৎসর্গ করে আমরা ‘জাতীয় শিশু দিবস’ ঘোষণা করেছি। এদিনে আমি মহান আল্লাহ’র কাছে জাতির পিতার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত এবং আগামীদিনের কর্ণধার শিশু-কিশোরদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করছি।
তিনি বলেন, ‘আসুন, শিশুদের কল্যাণে আমাদের বর্তমানকে উৎসর্গ করি। সবাই মিলে জাতির পিতার অসা¤প্রদায়িক, ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তুলি। আজকের দিনে এই হোক আমাদের অঙ্গীকার।
বিভিন্ন সংগঠনের কর্মসূচী :
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় টিএসসি মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।একইস্থানে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের আয়োজনে থাকছে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। দিবস উপলক্ষে সকাল পৌনে ৯টা থেকে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি আয়োজন এবং বিনামূল্যে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা সেবা দেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)। সকাল সাড়ে ১০টায় বাংলা একাডেমির বটতলায় আয়োজন করা হয়েছে শিশু-কিশোর অনুষ্ঠান ‘বঙ্গবন্ধুর গল্প শোনো’। এরপর বিকাল ৪টায় একাডেমির নজরুল মঞ্চে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে একক বক্তৃতা দেবেন সাংবাদিক ও লেখক সৈয়দ বদরুল আহসান। সভাপতিত্ব করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।বঙ্গবন্ধুর ৯৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার বিকাল ৫টায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রাঙ্গণে ‘মহাপুরুষের অন্তর্ধান ঃ সহীহ শহীদ মুজিবনামা’ শীর্ষক পটের গানের আয়োজন করেছে জাদুঘর কর্তৃপক্ষ। লোকজ শিল্পরীতিতে পটের গান রচনা ও সুরারোপ করেছেন কবি, লেখক ও গবেষক ড. এনামুল হক। শম্ভু আচার্য এঁকেছেন পটচিত্র।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধু উৎসব’ আয়োজন করেছে বাঙালি সাংস্কৃতিক জোট। শুক্রবার সকাল ১০টায় অনুষদের বকুলতলায় উৎসব উদ্বোধনের পর প্রথম পর্বে বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ এবং বাংলাদেশ বিষয়ক শিশু চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা এবং বিকাল ৩টায় আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। ক্যানভাস আয়োজন করেছে ‘ক্যানভাস আর্ট ফেস্ট-২০১৭’। মিরপুরের পল্লবীর ৩২ নম্বর সড়কে আয়োজিত এই উৎসব শুর হবে সকাল সাড়ে ৭টায়।প্রতিষ্ঠানের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জাতীয় সংগীত ও শপথ বাক্য পাঠের মাধ্যমে অনুষ্ঠানমালার সূচনা হবে।
দলগত গান পরিবেশনের পর শুরু হবে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। এর পাশাপাশি চলতে থাকবে গান ও নাচের আসর। শোয়েব, প্রবর রিপন, সানি, কুয়াশা, কুষ্টিয়া থেকে আগত বাউলরা শোনাবেন দেশের গান। উৎসবে থাকবে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শনী। সন্ধ্যা ৬টায় উৎসবের মূল অনুষ্ঠানে থাকবে সংগীত পরিবেশনা।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে অনুষ্ঠানমালার শুরুতে থাকছে শিশু চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। সকাল ১১টায় লিয়াকত আলী লাকীর পরিকল্পনা গ্রন্থনা ও নির্দেশনায় নাটক ‘মুজিব মানে মুক্তি’র পরে পরিবেশিত হবে অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনী। বিকালের পর্বে শিশুতোষ অনুষ্ঠানের পরে প্রদর্শিত হবে শিশুতোষ চলচ্ছিত্র ‘দ্য সুজ’, ‘মাটির পাখি,’ ‘মন ফড়িং,’ ‘রক্তজবা’ ও ‘মাধো’। দিবসটি উপলক্ষে শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে স্টার সিনেপ্লেক্সে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের ত্রিমাত্রিক ভিডিওচিত্র ‘পিতা’ বিনামূল্যে প্রদর্শন করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।