Inqilab Logo

রোববার ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ কার্তিক ১৪৩১, ৩০ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় স্বার্থ সমুন্নত রেখে ভারতের সাথে যেকোনো চুক্তি হতে পারে -ওবায়দুল কাদের

| প্রকাশের সময় : ১৭ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : জাতীয় স্বার্থ সমুন্নত রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে যেকোনো চুক্তি হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আমেরিকা এবং রাশিয়ার সঙ্গে অনেক দেশের সামরিক চুক্তি আছে। গণতান্ত্রিক দেশগুলোর সঙ্গে চুক্তি আছে। এটা নিয়ে গেল রে, গেল ইন্ডিয়া হয়ে গেল-এমন অপপ্রচার এবং ভারত ভীতি থেকে সবাইকে দূরে থাকতে হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁও সড়ক ভবন চত্বরে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
১৪তম জাতীয় সম্মেলন ও ১৯তম কাউন্সিল অধিবেশন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সড়ক ও জনপথ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার সমিতি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এপ্রিলে মাথা উঁচু করে বীরের বেশে ভারত যাবেন। সেখানে দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে সার্বভৌমত্ব সমুন্নত রেখে যে চুক্তি জনগণের জন্য প্রয়োজন সেটাই করবেন। এটা তো একতরফা বিষয় নয়, উভয়পক্ষের সম্মতি লাগে।
তিনি বলেন, তথ্য প্রবাহের বিস্ফোরণে কোনো কিছুই গোপন থাকে না। গোপন করার তো আমাদের দরকার নেই। জনগণের কাছে কোনো তথ্য গোপন রাখা আমরা সমীচীন মনে করি না। সামরিক  হোক, অসামরিক হোক। যেকোনো চুক্তি জাতীয় স্বার্থ সার্বভৌমত্ব সমুন্নত রেখে করতে আপত্তি কোথায়?
মন্ত্রী বলেন, ভারত আমাদের জন্য সংবেদনশীল। ভারত ইস্যু এলেই আমাদের দেশের একটা মহল গেল রে গেল বলে চিৎকার শুরু করে দেয়। সব ভারত হয়ে গেল। আমাদের দেশে অহেতুক ভারতভীতি কাজ করে। যার বাস্তবের সঙ্গে কোনো সঙ্গতি নেই।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনার স্বাধীনচেতা নেতৃত্বের কারণে ৪১ বছর পর ছিটমহল বিনিময় হয়েছে। এতে বাংলাদেশের কোনো ক্ষতি হয়নি। দেশের মানচিত্রে ১০ হাজার একর যুক্ত হয়েছে। যাতে জাতীয় স্বার্থ বিসর্জন হয়নি।
ভারতকে দুঃসময়ের বন্ধু উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, তাদের সঙ্গে আমাদের সমতার ভিত্তিতে বন্ধুত্ব হবে। এতে কেউ বড়, কেউ ছোট নয়। যারা একদিন উঁচু গলায় বলেছিল, বঙ্গবন্ধু ভারতের সঙ্গে গোলামির চুক্তি করেছে। যদি গোলামির চুক্তি করতেন, তাহলে ’৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু সপরিবারে হত্যার পর আমরাই ক্ষমতায় থাকতাম। ভারত ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোকে দায়িত্বশীল ভ‚মিকা পালনের আহŸান জানান তিনি।
উপস্থিত ইঞ্জিনিয়ারদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, বর্ষা মৌসুম এলেই রাস্তায় সমস্যা দেখা দেয়, ওভার লোডেডের কারণেও অনেক সময় সমস্যা দেখা দেয়। বর্ষা এলেই সারা দেশের রাস্তাগুলো খারাপ অবস্থা দেখা দেয়। অনেক রাস্তা ফান্ডের অভাবে মেরামত করতে পারি না। বাজেট যেটুকু আসে তাতে যতটুকু প্রয়োজন তা প্রাপ্তির তুলনায় কম। যে কারণের বর্ষার আগেই অনেক রাস্তার কাজ শেষ করতে পারি না। ইঞ্জিনিয়ারদের অনুরোধ করব, আমাদের সম্পদের সীমাবদ্ধতা আছে, তারপরও প্রতিবছরই বাজেট বাড়ছে।
বিভিন্ন প্রকল্প কাজের বাস্তবায়ন বিলম্ব হওয়ার দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আপনাদের কাজের বিল কিছুদিন বিলম্বিত হতে পারে। আমি আপনাদের বলব, বিল দেরি হলেও কাজটা যাতে কোনোভাবে বিলম্বিত করবেন না। তাহলে হলে বহু মানুষের দুর্ভোগ হয়। রাস্তাগুলোর কাজ মেরামত করে ফেলবেন। কাজের মানটাও বজায় রাখবেন। বর্ষার আগেই আপনারা রাস্তাগুলো সচল রাখবেন। এ দেশের গরিব মানুষের ট্যাক্সের টাকায় আমাদের বেতন হয়, রাস্তা তৈরি করি।
সংশ্লিষ্ট ইঞ্জিনিয়ারদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্দেশ নিয়ে যাচ্ছি আপনার সারা দেশের দখল হওয়া রাস্তাগুলো উদ্ধার করবেন। এ ছাড়া এলাকার উন্নয়নকাজ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করবেন। এখানে কোনো মন্ত্রী, এমপি, স্থানীয় নেতাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে কাজ করবেন না। এটা সহ্য করব না। জনগণের কাছে যে কাজ বেশি গুরুত্ব সেটাই আগে করবেন।
রাস্তা ভাঙা, ব্রিজ ভাঙার কারণে কোনো দুর্ঘটনা ঘটেছে এই অভিযোগ যাতে আমি না পাই; এমনটা উল্লেখ করেন ওবায়দুল কাদের
সংগঠনের সভাপতি মো. আব্দুন নুমানের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ এবং সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব এম এ এন ছিদ্দিক, ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে সভাপতি এ কে এম এ হামিদ, সড়ক ও জনপথ ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মুস্তাসির হাফিজ প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ