পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : ভারতের বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল দেশটির নির্বাচনে ব্যবহৃত ইলেকট্রনিক ভোটযন্ত্র বা ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। প্রায় দুই দশক আগে ভারতের নির্বাচনে প্রথম ইভিএম ব্যবহার করা হলেও এখন কয়েকটি রাজনৈতিক দল অভিযোগ করছে ইভিএম-এ ভোট জালিয়াতির সুযোগ রয়েছে। সদ্য সমাপ্ত উত্তর প্রদেশের ভোটে ইভিএম-এ ব্যাপক কারচুপি করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন বহুজন সমাজ পার্টির প্রধান মায়াবতী। তারপর দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং দিল্লির কংগ্রেস নেতা অজয় মাকেনও অভিযোগ করেছেন যে, ইভিএম-এ কারচুপি করা সম্ভব।
দিল্লিতে আগামী মাসে অনুষ্ঠিতব্য পৌর নির্বাচনে ইভিএম-এর বদলে কাগজের ব্যালট পেপার ব্যবহার করার দাবি তুলছেন কেজরিওয়াল এবং মাকেন। কিন্তু ভারতের নির্বাচন কমিশন আগের মতো আবারও জানিয়েছে, ভোটযন্ত্রে কারচুপি করা সম্ভব নয়। আর দেশের সব ভোটে ইভিএম ব্যবহার বাধ্যতামূলক।
উত্তর প্রদেশে যেদিন ভোট গণনা চলছিল, সেদিনই সংবাদ সম্মেলনে মায়াবতী অভিযোগ তুলেছিলেন, ইভিএম যন্ত্রগুলোতে বড় ধরনের কারচুপি করা হয়েছে, যার ফলে শুধু বিজেপির দিকেই ভোট চলে গেছে। এমনকি অন্য দলকে ভোট দিলেও সেগুলো বিজেপির দিকে চলে গেছে বলে তাদের অভিযোগ। তারপরই কেজরিওয়াল এবং কংগ্রেস নেতা মাকেন ইভিএম-এ কারচুপির প্রসঙ্গ তোলেন।
বিজেপি অবশ্য বলছে, তারা যদি ইভিএম-এ কারচুপি করেই থাকবে তাহলে দিল্লি এবং বিহার বিধানসভা নির্বাচনে গত বছর তারা পরাজিত হলো কেন? কারচুপি করে সেগুলোতেও তারা জিততে পারত, যুক্তি দিচ্ছে বিজেপি। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এর আগে ইভিএম-এ কারচুপি সংক্রান্ত যেসব মামলা হয়েছিল, সেগুলোতে কেউ যন্ত্রে কারচুপির প্রমাণ দিতে পারেননি।
ভারতের ইভিএম বিশেষজ্ঞ, পরলোকগত পি ভি ইন্দিরেসান কয়েক বছর আগে বিবিসি বাংলাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, ‘যন্ত্রের প্রধান সুবিধা হলো এই ব্যবস্থায় জাল ভোট বা ছাপা ভোট দেয়া যায় না। আগে একই ব্যক্তি পরপর অনেকগুলো ব্যালট পেপারে ছাপ মেরে বাক্সে ফেলে দিতে পারতেন। যন্ত্রে সেই সুযোগ নেই। প্রত্যেকটি ভোটের মধ্যে আট সেকেন্ডের ব্যবধান থাকতে হবে। যেসব অভিযোগ আসে, সেগুলো নিতান্তই যান্ত্রিক ত্রæটি’।
তবে দক্ষিণ ভারতের এক প্রকৌশলী একটি ইভিএম যন্ত্র জোগাড় করে হাতে কলমে করে দেখিয়েছিলেন কিভাবে তাতে কারচুপি করা যায়। কিন্তু নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তারা বলছেন, একটি যন্ত্র কোনোভাবে জোগাড় করে তাতে কারচুপি করা সম্ভব হলেও ভোটের ফলাফল বদলে দেয়ার জন্য বহু সংখ্যক ইভিএম-এ কারচুপি করতে হবে। আর সেই প্রক্রিয়ায় যতজন নির্বাচনী কর্মকর্তা বা নিরাপত্তারক্ষীকে অংশ নিতে হবে, সেটা গোপনে করা সম্ভব নয়। সূত্র : বিবিসি বাংলা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।