Inqilab Logo

সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জীবন দিয়ে হলেও উন্নয়ন

লক্ষ্মীপুরে জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রকাশের সময় : ১৫ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১২:০৫ এএম, ১৫ মার্চ, ২০১৭

লক্ষ্মীপুরে ২৭টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এর মধ্যে রামগতি ও কমলনগর মেঘনা নদীর তীর সংরক্ষণ প্রকল্প, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন, যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, উপজেলা পরিষদ ভবন (সদর), উপজেলা পরিষদ ভবন (কমলনগর), উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়াম (কমলনগর), লক্ষ্মীপুর পৌর আইডিয়াল কলেজ ভবন, মোহাম্মদীয় বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র নির্মাণ, উপজেলা প্রাণিসম্পদ দফতর ও প্রাণী হাসপাতাল (কমলনগর) উদ্বোধন করেন। এ ছাড়াও ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতাল, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড, আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস ভবন, পুলিশ অফিসার্স মেস, লক্ষ্মীপুর সদর খাদ্যগুদাম, ১৩২/১৩৩ কেবি গ্রিড উপকেন্দ্র নির্মাণ, লক্ষ্মীপুর জেলা ও আশপাশের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী।

হোসাইন আহমদ হেলাল : দেশের উন্নয়ন ও মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনে দৃঢ় সংকল্প ব্যাক্ত করে জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রয়োজনে বাবার মতো জীবন দিয়ে হলেও দেশের উন্নয়ন, দেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটাবো। এই দেশটা সবার। আসুন আমরা সবাই মিলে দেশকে গড়ে তুলি। আমার ব্যক্তিগত কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই। আমি তো সব হারিয়েছি। বাংলাদেশে এসেছি কেবল দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য কাজ করতে। আমি বাবার মতো, আমার পরিবারের মতো, আপনাদের কল্যাণে নিজের জীবন বিলিয়ে দিয়ে হলেও দেশের উন্নয়ন করব। আপনারা ভোট দিয়েছেন বলেই দেশের উন্নয়ন করতে পেরেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ উন্নত করতে চাই, দেশ উন্নত হোক এটাই আওয়ামী লীগ চায়, নৌকা মানুষের বিপদে রক্ষা করে, নৌকায় ভোট দেয়ায় বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। সারা দেশে অসংখ্য বহুমুখী উন্নয়ন হয়েছে। তিনি বলেন বাংলাদেশে সন্ত্রাসী জঙ্গিবাদের স্থান নেই হবেও না। আমরা শিক্ষা ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন এনেছি। আমাদের ছেলে-মেয়েরা কোনো জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসে জড়িত হবে এটা মেনে নেয়া যায় না। এ ব্যাপারে মসজিদের ইমাম এবং ধর্মীয় নেতা, স্কুল, কলেজ, মাদরাসার শিক্ষকদের সজাগ থাকতে হবে। যাতে ভুলক্রমে কোনো ছেলে-মেয়ে জঙ্গিবাদে না যেতে পারে। ইসলাম শান্তির ধর্ম, এ ধর্মে মানুষ হত্যা করতে বলা হয়নি। যারা জঙ্গিবাদের নামে মানুষ হত্যা করছে তারা দোজখে যাবে, শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ শান্তিপূর্ণ হবে আমরা সেটাই চাই, বিএনপি কোনো ধর্মেই বিশ্বাস করে না। তাই তারা কুরআন শরীফ পুড়িয়েছে, মসজিদে আগুন দিয়েছে। যারা এসব করে তারা আবার কিসের রাজনীতি করছে? তিনি বলেন, প্রতিটি উপজেলা ও জেলায় একটি অত্যাধুনিক মসজিদ ও ইসলামী রিসার্চ সেন্টার করে দেয়া হবে। মাদরাসা শিক্ষকদের আমরা সরকারিভাবে মর্যাদা দিয়েছি। বিএনপি-জামায়াত ৫-ই জানুয়ারি ২০১৪ সালের নির্বাচন বন্ধ করতে চেয়েছিল। জনগণের সহযোগিতায় তা পারেনি, প্রধানমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া গুলশান এয়ারকন্ডিশন রুমে বসে এবং তার এক কুলাঙ্গার ছেলে বিদেশে বসে হুকুম দিয়েছে বাসে আগুন দিতে, আগুনে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করতে; আর তাদের নেতা-কর্মীরা তাই করেছে। ২০১৪ সালে বিএনপি-জামায়াত ২৭১ জন মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। জনগণকে জিম্মি করে চরমভাবে ভোগান্তির শিকার করেছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে জনগণকে কিছু দেয়ার জন্য, আর বিএনপি ক্ষমতায় আসে সন্ত্রাস, মানুষ হত্যা আর লুট করার জন্য, তাদের হাতে এতিমখানার টাকা রক্ষা হয়নি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দীর্ঘদিন পর লক্ষ্মীপুর আসলেও উন্নয়ন কাজ আমরা যথারীতি করেছি। মার্চ মাস শুরু হয় স্বাধীনতার এবং সংগ্রামের মধ্য দিয়ে, জাতীর পিতা ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। ১৬ ডিসেম্বর তিনি বাংলার মানুষকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাত থেকে মুক্ত করেছিলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ৩০ লক্ষ শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। তাদের আত্মত্যাগে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল। দেশ-স্বাধীনের পর বঙ্গবন্ধু সাড়ে তিন বছর সময় পেয়েছিলেন দেশ পরিচালনার জন্য। যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশকে জাতির পিতা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন, নারী শিক্ষা, প্রাথমিক শিক্ষাসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে বাংলাদেশ ও দেশের মানুষ যখন সুফল পেয়েছিল ঠিক তখনই ১৫ আগস্ট নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল জাতির পিতাকে। একইভাবে আমাদের পরিবারের ১৮জন সদস্যকে হত্যা করা হয়েছিল। এরপর শুরু হয় বাংলাদেশে হত্যার রাজনীতি। তিনি বলেন, দীর্ঘ ২১ বছর বাংলাদেশের মানুষ কষ্ট করেছিল, নানাভাবে বঞ্চিত ছিল, ২১ বছর পর আবার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে নির্যাতিত, বঞ্চিত মানুষের উন্নয়নে, কল্যাণে কাজ করার সুযোগ পেয়েছে। কৃষকদের জন্য বিনা জামানতে কৃষিঋণ ব্যবস্থা চালু করেছে। তিন বার সারের মূল্য কমিয়েছিল। একটি মানুষ ভূমিহীন থাকবে না প্রশাসনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ বর্তমানে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, খাদ্য নিরাপত্তা ছাড়াও গরিব মানুষের জন্য ১০ টাকা কেজি চাল পাওয়ার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। জাতির পিতা ২৬ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণ করেছিলেন। বর্তমান আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে ৩৬ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করেছে। যথাসময়ে বিনামূল্যে বই বিতরণ করেছে। অতীতের কোনো সরকার তা করতে পারেনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, লক্ষ্মীপুরের উন্নয়নের বিএনপি কিছুই করেনি। লক্ষ্মীপুরকে নদী ভাঙার হাত থেকে রক্ষা করা হবে। প্রত্যেক উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশন চালু করা হবে। ১ কোটি ৩০ লক্ষ মায়ের মোবাইল ফোনে বৃত্তির টাকা পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সারাদেশে ডিজিটাল সেন্টার করা হয়েছে, ইন্টারনেট চালু করা হয়েছে। বিএনপি কি করেছে? শুধু অত্যাচার করেছে, বিএনপি ক্ষমতায় আসলে জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস সৃষ্টি হয়। মুক্তিযুদ্ধা ও সাংবাদিকরা তাদের হাত থেকে রক্ষা পায়নি। শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জাতীয়পাটি ভারতে কাছ থেকে একফোঁটা বালুও আনতে পারেনি। আমরা আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করে সমুদ্র জয় করেছি। আওয়ামী লীগ ভাষার মর্যাদা দিয়েছে। ২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বাস্তবায়ন করেছে। ওয়ার্ড ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা পর্যন্ত সকল রাস্তা পাকা করা হবে। তিনি বলেন, আমরা উন্নয়ন কেন করি, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করেছে। মোবাইল ফোন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপির একজন মন্ত্রী মোবাইল ফোনের ব্যবসা করতেন। তিনি চট্রগাম ও ঢাকা মোবাইল ফোনের আওতায় রেখে সারা দেশে এক সেট মোবাইল লাখ টাকায় বিক্রি করতেন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর মোবাইল ফোন সহজলভ্য করে তুলেছে। এখন ১২ কোটি মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করছেন। গ্রামীণ স্বাস্থ্য উন্নয়নে আমরা কমিউনিটি ক্লিনিক করেছি। গ্রামের মানুষ এখন বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ নিচ্ছেন। ২০০৮ ও ২০১৪ সনে যেভাবে নৌকায় ভোট দিয়েছেন। আগামীতেও সেভাবে ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে জয়যুক্ত করে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল মঙ্গলবার লক্ষ্মীপুর জেলা স্টেডিয়াম মাঠে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিশাল জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথির বক্তব্য রেখেছিলেন। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বক্তব্য রাখেন, লক্ষ্মীপুর সদর আসনের এমপি আলহাজ এ কে এম শাহাজান কামাল, লক্ষ্মীপুর আসনের এমপি জাতীয়পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মোহাম্মদ নোমান, লক্ষ্মীপুর ১-আসনের এমপি ও বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক, লায়ন এম এ আউয়াল, লক্ষ্মীপুর-৪ আসনের এমপি মো: আব্দুল্লাহ আল মামুন, লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো: শামছুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক সাবেক এমপি হারুনুর রশিদ, আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক বেগম ফরিদুন নাহার লাইলী এমপি, আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দেব নাথ এমপি, যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ, লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেয়র মো: আবু তাহের, রামগতি উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল ওয়াহেদ, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা মমিন পাটোয়ারী, জেলা যুবলীগের আহবায়ক ও সদর উপজেলার চেয়ারম্যান এ কে এম সালাহউদ্দিন টিপু, যুগ্ম আহবায়ক শেখ জামাল রিপন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি চৌধুরী মাহমুদুন্নবী সোহেল, সাধারণ সম্পাদক রাকিব হোসেন লোটাস। জনসভা পরিচালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক
ওবায়দুল কাদের  
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি এখন বাংলাদেশ নালিশ পার্টি, যে দলের একটি মিছিল করার সাহস নেই, একবার বলছে রোজার ঈদ গেলে আন্দোলন করবে, আবার বলে কুরবানির ঈদের পর দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে, এভাবেই তাদের ৮ বছর কেটে গেল। তিনি বলেন বিএনপির আন্দোলনে ‘মরা গাঙ্গে জোয়ার আসে না’। তারা অপপ্রচার আর মিথ্যাচার করে চলছে। ধানের শীষ এখন ক্ষেতের বিষ। বঙ্গবন্ধুর কন্যা জনস্বার্থ বিসর্জন দিয়ে কোনো চুক্তি করবে না। ভারতের সাথে তিস্তা চুক্তি শেখ হাসিনাই করবেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, ক্ষমতায় থাকলে বিএনপি-ভারত নীতি ক্ষমতা হারালে ভারত ভীতি। তিনি দলীয় নেতা কর্মীদের উদ্দেশ করে বলেন, দলে কোনো কলহ-কোন্দল সহ্য করা হবে না। টাকার বিনিময়ে কমিটি বিক্রি করবেন না। কেউ দল থেকে কোনো অপকর্ম করলে তার খবর আছে। নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি আরো বলেন, ভাল আচরণ করে জনগণকে খুশি করা হচ্ছে আওয়ামী লীগের কাজ। প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, লক্ষ্মীপুরে এসেছে আপনার কাছে। অপরদিকে জনগণকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, যে সম্মান ও উন্নয়ন করে তার প্রতিদান হিসেবে নৌকায় ভোট দেবেন, না হলে অকৃতজ্ঞ থাকবো। আমাকে প্রধানমন্ত্রী  নির্দেশ দিয়েছে লক্ষ্মীপুরের সকল সড়ক জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার করতে। আমি তাৎক্ষণিক নির্দেশ দিয়েছি কর্মকর্তাদের। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনসভাস্থল সংলগ্ন এলাকায় লক্ষ্মীপুর জেলার ১০ প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন এবং ১৭টি নতুন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছেÑ রামগতি ও কমলনগর মেঘনা নদীর তীর সংরক্ষণ, ৯তলা বিশিষ্ট চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন, যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, সদর উপজেলা পরিষদ ভবন, সদর উপজেলা অডিটরিয়াম, কমলনগর উপজেলা পরিষদ ভবন, কমলনগর উপজেলা অডিটরিয়াম, লক্ষ্মীপুর পৌর আইডিয়াল কলেজ ভবন, মোহাম্মদিয়া বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র, কমলনগর উপজেলা প্রাণিসম্পদ দফতর ও প্রাণী হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন, লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল ২৫০ শয্যা, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড এর প্রশাসনিক ভবন, নাবিক নিবাস, পুলিশ অফিসার্স মেস, আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস ভবন, ৫০০ মে.টন খাদ্য গুদাম, পেয়ারাপুর সেতু, চেউয়াখালী সেতু, নৌ-বন্দর, লক্ষ্মীপুর পৌর আধুনিক বিপণি বিতান, আনসার ভিডিপি ব্যাটালিয়ন, লক্ষ্মীপুর পৌর আজিম শাহ হকার্স মার্কেট, লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ একাডেমিক ভবন কাম পরীক্ষা কেন্দ্র, পুলিশ লাইন মহিলা ব্যারাক, লক্ষ্মীপুর শহর সংযোগ সড়কে পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণ, ফায়ার সার্ভিস রায়পুর, ফায়ার সার্ভিস কমলনগর।
এছাড়া লক্ষ্মীপুর রেইললাইন স্থাপন, মেডিক্যাল কলেজ নির্মাণ, চন্দ্রগঞ্জ থানাকে উপজেলা ঘোষণা, লক্ষ্মীপুরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ এবং দ্রুত লক্ষ্মীপুর অর্থনৈতিক জোন ঘোষণার দাবি লক্ষ্মীপুর চার এমপি এবং স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থাপন করলে প্রধানমন্ত্রী এসব উন্নয়ন কর্মকা- অচীরেই একনেকে পাস করার আশ্বাস দিয়েছেন।
জনসভা জনসমুদ্রে রূপ নিয়েছে
৬ মার্চ আন-অফিসিয়াল সংবাদ এসেছে প্রধানমন্ত্রী মেখ হাসিনা লক্ষ্মীপুর আসছেন। শুরু জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও জেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তুতি সভা। ৮ ও ৯ মার্চ কেন্দ্রীয় নেতারা চলে আসেন। লক্ষ্মীপুর তখন নিশ্চিত নয় প্রধানমন্ত্রী আসলে কি লক্ষ্মীপুর আসবেন? ১০ ও ১১ মার্চ কেন্দ্রীয় নেতারা বিভিন্ন উপজেলায় সমাবেশ প্রস্তুতি সভা সম্পন্ন করে জনসভা সফল করতে ওয়ার্ড থেকে ইউনিয়ন ও উপজেলা প্রস্তুতি সভা ও কমিটি গঠন করেন। এখনও নিশ্চিত হয়নি প্রধানমন্ত্রীর প্রোগ্রাম। ১২ মার্চ নিশ্চিত হলো প্রধানমন্ত্রী আসবেন। শুরু হলো ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা। জেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভা। শুরু হলো কঠোর নিরাপত্তা ব্যাবস্থা। সেনাবাহিনী, র‌্যাব, পুলিশ, আনসার, গোয়েন্দা বিভাগের কঠোর নজরদারিতে পুরো লক্ষ্মীপুর শহর। এরই মধ্যে চলছে উৎসবমুখর সাজসাজ রব। এত নিরাপত্তায় সাধারণ মানুষ কিছুটা আতঙ্কিত হলেও জনসভা স্থলে সকাল ৯টা থেকে আসতে শুরু করে খ- খ- মিছিল, বেলা ১১টার মধ্যে স্টেডিয়াম এর আশেপাশের এলাকায় কানায়-কানায় ভরে গেছে মানুষে বেলা ১২টায় পুরো শহর জুড়ে মানুষের ঢল নামে। এখন দলের ভেদাভেদ নেই। সবাই ছুটছে স্টেডিয়ামের দিকে। দুপুর- ১টার মধ্যে পুরো শহর জনসমুদ্রে রূপ নেয়। বিএনপি অধ্যুষিত লক্ষ্মীপুরে আওয়ামী লীগের জনসভায় জনসমুদ্রে রূপ নেয় এটা কেউ ভাবতেই পারেনি, কারণ এ এলাকার উন্নয়ন বঞ্চিত, নদীভাঙা বিধ্বস্ত মানুষের প্রাণের দাবি পূরণ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমন প্রত্যাশায় দল চিন্তায় না এনে এলাকার উন্নয়নে একহয়ে জনসভাকে জনসমুদ্রে রূপ দিল জেলাবাসী। এমনটিই ছিল সকলের মুখে মুখে।



 

Show all comments
  • মাহমুদ ১৫ মার্চ, ২০১৭, ৯:২৪ এএম says : 0
    উন্নয়নের সঙ্গে আমারা ভোটাধিকারও চাই
    Total Reply(0) Reply
  • Nur- Muhammad ১৫ মার্চ, ২০১৭, ৫:৫৭ পিএম says : 0
    মাননীয় প্রধানমন্রী, উন্নয়ন জনগণের পরিশ্রমের ফসল। এখন জনগণ চায়, ভোটাদিকার আর নিরাপত্তা। ভোটাধিকার ফিরে দিন। বঙ্গবন্ধুর গণতান্তিক স্বপন বাস্তবায়িত করুন। বাস্তবিকই আপনার চাওয়া পাওয়ার কিছুই নাই, তাই জনগণের আশাআক্ষাকা পূরন করুন। চির দিন জনমনে জাগ্রত থাকুন।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ