পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টালিন সরকার : ‘রাঙিয়ে দিয়ে যাও যাও/যাও গো এবার যাবার আগে’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই গানের মতোই যেন হোলি উৎসবে রাজধানী ঢাকার স্কুল-কলেজপড়–য়া ছেলে-মেয়ে ও উঠতি বয়সী তরুণ-তরুণীদের রাঙিয়ে দেয়া হলো। ‘হোলি উৎসব সার্বজনীন’ প্রচার করে উঠতি বয়সের তরুণ-তরুণীদের এই রঙ মেখে সঙ সেজে’ ঘুরে বেড়ানো কী বার্তা দেয়? হোলি উৎসব সনাতন ধর্মাবলম্বীদের নিজস্ব ধর্মীয় উৎসব। ধর্মীয় উৎসব সার্বজনীন হয় কেমন করে? সার্বজনীন এবং সংস্কৃতির দোহাই দিয়ে মুসলিম ধর্মাবলম্বী তরুণ-তরুণীদের মগজ ধোলাই করে হোলি খেলায় মেতে উঠতে উদ্বুদ্ধ করার রহস্য কি? ধর্মীয় উৎসব আর সংস্কৃতি উৎসব কী এক জিনিস? উৎসবের নামে রাস্তাঘাটে জোর করে মানুষের মুখে রঙ মাখানো, তরুণীদের শরীরে হাত দেয়া কি নৈতিকতার সঙ্গে যায়? রঙ খেলার নামে প্রকাশ্যে কিছু তরুণ-তরুণীদের বেলেল্লাপনা ধর্মীয় অনুশাসন তো নয়ই; দেশের প্রচলিত আইন কি সমর্থন করে?
১৩ মার্চ রাতে যমুনা টিভির খবর যারা দেখেছেন তাদের কারো চোখ এড়ায়নি দৃশ্যটি। ২৮-৩০ বছর বয়সী এক মহিলা পুরান ঢাকার রাস্তায় অসহায় হয়ে কাঁদছেন, ‘আমাকে মাফ করে দেন; আমি চাকরি করি। রঙ দিলে আমি অফিসে যেতে পারব না; নতুন চাকরি পেয়েছি সময়মতো না গেলে চাকরি থাকবে না। চাকরিই আমার সংসারের অবলম্বন’। মধ্যবয়সী মহিলার আর্তচিৎকারের খবর টিভিতে দেখে দর্শকদের মন কাঁদলেও ‘রঙ মাখানো’ হোলি উৎসবকারীদের মন গলেনি। তারা মহিলার মুখে ও কাপড়ে রঙ মাখিয়ে দেন। একই সচিত্র খবরে দেখা যায় কিছু যুবতী একে অন্যকে রাঙিয়ে উচ্ছ্বাস করছেন; কিছু তরুণ-তরুণী একাকার হয়ে রঙ মাখছেন; কিছু তরুণ রঙে রাঙানো তরুণীদের কামিছ ধরে টানাটানি করছেন; ওড়না ফেলে দিচ্ছেন। রঙ মাখানোর মত্ততায় তরুণীদের বুকে হাত চালিয়ে দিচ্ছে তরুণরা। যমুনা টিভির এই খবর রাজধানী ঢাকার হোলি উৎসবের একটি খ-চিত্র উঠে এসেছে। তাহলে প্রকৃত চিত্র কত ভয়ঙ্কর হতে পারে কল্পনা করুণ? তাহলে কি উৎসবের নামে রাজপথে উঠতি বয়সী তরুণ-তরুণীদের রঙ মেখে যা ইচ্ছে তাই করো; নোংরামিতে নেই মানা? ওই খবরে কিছু তরুণ-তরুণীর বক্তব্য প্রচার করা হয়। তারা দারুণ খুশি। কেউ বলছেন, উৎসবে অংশ নিতে পেরে জীবন ধন্য, কেউ বলছেন, দারুণ খুশি, কেউ বলছেন, ছেলে-বুড়ো সবাই রঙ খেলছি এটা দারুণ মজা; আবার কেউ রাস্তায় পথচারীদের ধরে জোর করে রঙ লাগিয়ে দেয়াকে অতি বাড়াবাড়ি মন্তব্য করছেন। তবে পুরান ঢাকার এক মন্দিরের পাশে অবির খেলারত এক তরুণী অভিযোগ করলেন, রঙ খেলা উৎসবের সুযোগ নিয়ে কিছু বখাটে মেয়েদের শরীরে হাত দিয়ে অসভ্য আচরণ করছে। এক বয়ষ্ক মহিলা বললেন, রঙ খেলার উৎসবের সুযোগ নিয়ে কিছু বিকৃত রুচির বখাটে যুবক মেয়েদের সঙ্গে অসভ্যতা করছে। রঙ দেখার নামে তরুণীদের গাল টিপছে। টিভিতে প্রচারিত পুরান ঢাকার রঙ মাখানোর উৎসবের সচিত্র খবরে আরো অনেক দৃশ্য দেখানো হয়; যা দৃষ্টিকটু। দেড় যুগ আগে এক থার্টি ফাস্ট নাইটে এই ঢাকার শহরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ‘এক বাঁধনের বস্ত্রহরণের ঘটনা’ গোটা দেশে আলোড়ন সৃষ্টি করে। মধ্যরাতে ঘটে যাওয়া ওই ঘটনা নিয়ে বই পর্যন্ত প্রকাশ করা হয়। ধিকৃত বাধনের কাহিনী জানতে আওয়ামী লীগ নেতা ফেনির জয়নাল হাজারীর লেখা সেই বই হাজার হাজার কপি বিক্রি হয় বাংলা একাডেমির বইমেলায়। অথচ এখন হাজার হাজার বাঁধন রাতের আধারে নয়, দিনে দুপুরে হোলি খেলার নামে উঠতি বয়সী তরুণদের সঙ্গে বেলেল্লাপনার দৃশ্যের জন্ম দিচ্ছে!
কলেজ থেকে ফিরছিল ছেলে। বাসার গেইটে পৌঁছাতেই কলেজপড়–য়া দুই তরুণী রিকশা থেকে ঝাপ দিয়ে নেমে ‘দোস্ত যাবি কোথায়’ বলেই মুখে রঙ মেখে দেন। তরুণীদ্বয় রঙ মাখিয়ে ‘গুডবাই দোস্ত’ বলে রিকশায় উঠে চলে যায়। কিংকর্তব্যবিমূঢ় ছেলে লজ্জা-ভয়ে-অপমানে চারদিকে তাকিয়ে দেখেন বাড়ির দারোয়ান বা অন্য কেউ দেখলো কি না। কল্পনা করা যায়! হোলি উৎসব সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব। তারা সেটা পালন করুক। সংস্কৃতির আগ্রাসনে ডুবে যাওয়া আমাদের দেশের বরেণ্য ব্যাক্তিত্ব, সংস্কৃতি সেবীরা হোলির নদীতে ডুব দিক- সাঁতার কাটুক। এটা তাদের ব্যক্তি স্বাধীনতা। কিন্তু সাধারণ মানুষকে বাধ্য করা হবে কেন? দু’দিন রাজধানীর বিভিন্ন রাস্তায় দেখা গেল হোলি উৎসবের নামে রাস্তায় অফিসগামী মানুষকে রিকশা থেকে নামিয়ে জোর করে রাঙিয়ে দেয়া হচ্ছে। অফিসগামী মানুষ বিব্রতকর অবস্থায় পড়ছেন। অনেকেই বাসায় ফিরে গেছেন। আবার যাাদের সে উপায় নেই তারা মুখের রঙ তোলার ব্যর্থ চেষ্টা করে অফিসে হাজির হয়েছেন। রাস্তায় চলাচলরত মানুষের মুখে জোর করে রঙ লাগিয়ে দেয়া উৎসব? অনেকেই আপত্তি করছেন; অনুনয়-বিনয় করছেন রঙের হাত থেকে বাঁচতে। কিন্তু কে শোনে কার কথা? জোর করেই রঙ লাগানো হচ্ছে। গণতান্ত্রিক দেশে হরতাল করার অধিকার রয়েছে; হরতাল কাজে যাওয়ারও অধিকার মানুষের রয়েছে। হরতালের সময় রাস্তায় গাড়ি নামানো মানুষকে ঘরে ফিরে যেতে বাধ্য করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হলে হোলি উৎসবে জোর করে রঙ দেয়া কি অপরাধের মধ্যে পড়ে না? ধর্মীয় দিক দিয়ে হোলি খেলার অধিকার রয়েছে; আবার রঙ না মাখারও অধিকার রয়েছে। কিন্তু ৯২ ভাগ মুসলমানের দেশে জোর করে হোলি উৎসবে সামিল হতে বাধ্য করা কেন?
বিজ্ঞানের সাফল্য ও মুক্ত আকাশ সংস্কৃতি মানুষের জীবন ধারায় এনে দিয়েছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। এই পরিবর্তন সব ক্ষেত্রে সুফল বয়ে এনেছে নাকি কুফল সেটা গবেষণার বিষয়। মুক্ত আকাশ সংস্কৃতিকে আমরা কিভাবে গ্রহণ করছি বা এই সংস্কৃতিকে সঠিকভবে উপভোগ-ব্যবহার করতে পারছি কি না সেটাই প্রশ্ন। মুক্ত আকাশ সংস্কৃতির নামে আমরা কলকাতার হিন্দুত্ববাদী সংস্কৃতির সাগরে ক্রমান্বয়ে ডুবে যাচ্ছি। সংস্কৃতির আগ্রাসন দেশের মুসলিম ঐতিহ্য, সামাজিক বন্ধন, মূল্যবোধ যেন ধ্বংস করে দিচ্ছে। মুসলমানের ঘরে জন্ম নিয়ে নিজের ধর্ম পালনে আগ্রহ নেই; অথচ অন্য ধর্মের প্রতি মমত্ববোধে অস্থির! তাহলে কি আমরা আকাশ সংস্কৃতির নামে নিজস্ব কৃষ্টি ভুলে প্রগতিশীলতার নামে অপসংস্কৃতির চর্চায় ভুল সাগরে ডুবে মরছি?
নদীমার্তৃক এই বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে রয়েছে হাজার বছরের ঐতিহ্য। শত শত বছর ধরে লালিত এই সংস্কৃতি আমাদের অতীত ঐতিহ্যকে বর্তমানের কাছে তুলে ধরছে। বিশ্বের বড় বড় শহরে সেটা ধ্বনিত হচ্ছে। পদ্মা-মেঘনা-যমুনা-ব্রক্ষপুত্র-তিস্তার প্রবাহমান ধারার মতোই সংস্কতির ধারা এগিয়ে চলছে দেশ থেকে দেশান্তরে। প্রশ্ন হচ্ছে আমরা যারা দেশে রয়েছি সেই শিক্ষিত ব্যাক্তিত্বরা হাছন, লালন, জয়নুল, জারি-সারি-ভাটিয়ালী-ভাওয়াইয়া-মুর্শিদীর চর্চা করছি; নাকি ভাড়াটে সংস্কৃতি চর্চায় মরিয়া হয়ে উঠেছি? অপ্রিয় হলেও সত্য যে, দেশজ সংস্কৃতি চিরচেনা পালাগান, জারি, সারি, ভাটিয়ালি, মারফতি, হামদ-নাত, কাওয়ালি গানের বিকাশÑ প্রবাহমানতা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বিদেশি সংস্কৃতির ঢেউয়ে। তথাকথিত প্রগতিশীলতার নামে নিজস্ব কৃষ্টি মূল্যবান সংস্কৃতি আমাদের কাছেই মূল্যহীন হয়ে পড়ছে; অন্যদিকে পশ্চাত্যের রক, পপ, ডিসকো আর কাউন্ট্রি মিউজিকের মতো বিদেশি গান হয়ে উঠছে প্রাণের স্পন্দন! কোলকাতার সংস্কৃতি তো এখন হৃদ মাজারে ধারণ করে চলছি! সতানত ধর্মাবলম্বীদের ভ্যালেইটাইন ডে, ভাইফোঁটা, রাখিবন্ধন, উল্কা, রঙ খেলা, মঙ্গল প্রদীপ, অগ্নি প্রজ্জ্বলন, আবির ছেঁটানো আমাদের কাছে হয়ে উঠছে ‘আসল’ সংস্কৃতি! লালন, হাছন, জসীমউদ্দিন, আব্বাসউদ্দীন, আবদুল করিম, আবদুল আলীমের গানের বদলে ইংরেজি রক সঙ্গীতের চর্চা করে প্রগতিশীলতার সারিতে যায়গা করে নিচ্ছি।
প্রতিটি দেশের প্রতিটি জাতির রয়েছে তার নিজস্ব সভ্যতা, নিজস্ব সংস্কৃতি। আমাদেরও রয়েছে ঐতিহ্যময় সভ্যতার ইতিহাস ও সংস্কৃতি; যা পশ্চাত্য ও হিন্দুত্ববাদী সংস্কৃতির তুলনায় ঋদ্ধ-সমৃদ্ধশালী ও গৌরবের। কিন্তু এই ঐতিহ্যময় সংস্কৃতির ভবিষ্যত নিয়ে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আকাশ সংস্কৃতির আগ্রাসনে আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি ভুলে গিয়ে ভাড়াটের মতো বিদেশি সংস্কৃতি (!) চর্চার মেতে উঠেছি। আবার সংস্কৃতি আর ধর্মীয় উৎসবকে একাকার করে প্রচার করছি।
রাজধানী ঢাকা শহরের গত দু’তিন দিনের দৃশ্য হলোÑ ‘তরুণ-তরুণীরা চেহারায় রঙ মেখে সঙ সেজে’ সকাল থেকেই রাজধানী জুড়ে ঘুরছেন। স্কুল-কলেজে পড়য়া শিক্ষার্থীরাও বাদ নেই। পড়নে স্কুল ড্রেস অথচ মুখে রঙ। ছাত্রছাত্রীতে, তরুণ-তরুণীতে ঢলাঢলি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, যাত্রাবাড়ী, গুলিস্তান, এবং পুরান ঢাকার অলিগলিতে একই দৃশ্য। রঙে রঙে ছেয়ে গেছে যেন উঠতি বয়সী তরুণ-তরুণীদের মুখম-ল। রঙের এমন ছড়াছড়ি দৃশ্য গত বছরের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব হোলি উৎসবে দেখা যায়নি। প্রশ্ন হলো হঠাৎ করে এত হোলি উৎসবে ধর্ম-বর্ণের একাকার কেন? সামাজিক অবক্ষয়ের কারণে আমরা কি নিজস্ব ধর্মীয় মূল্যবোধ থেকে ক্রমান্বয়ে সরে যাচ্ছি?
দোল উৎসব। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধমীয় উৎসব। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কোথাও হোলি উৎসব আবার কোথাও এই উৎসবকে বলা হয় দোল পূর্ণিমা। চৈত্র মাসের শেষ পূর্ণিমাতে এই উৎসব পালিত হয়। হোলি উৎসবের ইতিহাস ও উৎপত্তি সম্পর্কে জানা যায় হিন্দু ধর্ম অনুসারে চারটি যুগÑ সত্যযুগ, ত্রেতাযুগ, দ্বাপরযুগ এবং কলিযুগ। বর্তমানে চলছে কলিযুগ। দ্বাপরযুগ থেকে শ্রীকৃষ্ণের দোলযাত্রা বা দোল উৎসব পালিত হয়ে আসছে। আবার ১৪৮৬ সালের এই পূর্ণিমা তিথিতেই শ্রীচৈতন্য জন্মগ্রহণ করেন বলে একে গৌর-পূর্ণিমা নামেও অভিহিত করেন বৈষ্ণব বিশ্বাসীরা। তবে এর মূল তাৎপর্য হলো রাধা-কৃষ্ণের সম্পর্কের উপাখ্যান। শ্রীকৃষ্ণ একদা বৃন্দাবনে রাধা ও তার সখীদের সঙ্গে লীলারত ছিলেন। ওই সময় হঠাৎ শ্রী রাধার রজঃশ্রাব শুরু হয় এবং পরিধেয় কাপড় রঞ্জিত হয়। হঠাৎ ওই পরিস্থিতিতে শ্রীরাধা ও শ্রীকৃষ্ণ লজ্জিত ও বিব্রত হয়ে পড়েন। রাধার লজ্জা ঢাকতে এবং বিষয়টি গোপন রেখেই শ্রীরাধা সখীদের সাথে আবীর খেলায় মেতে উঠে। শ্রীকৃষ্ণ সখীদের একে অপরকে আবীরে রাঙিয়ে দেয়। শ্রীকৃষ্ণ-রাধা ও তাদের সখীদের এই আবীর খেলার স্মরণে হিন্দু সমাজে হোলি উৎসবের প্রচলন হয়। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় এই উৎসব হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পালন নিয়ে কোনো আপত্তি ওঠেনি কোথাও। বাংলাদেশ সস্পৃতি সৌহাদ্যের দেশ। মুসলিম-হিন্দু-খ্রিষ্টান-বৌদ্ধ সব ধর্মের মানুষ হাজার হাজার বছর ধরে একসঙ্গে বসবাস করছে। ৯২ ভাগ মুসলমানের দেশে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। কিন্তু সব ধর্মের মানুষ সমান অধিকার নিয়ে নিজ নিজ ধর্ম পালন করছেন। কিন্তু সনাতন ধর্মীয় আচার-উৎসব সংস্কৃতির নামে মুসলিম সমাজের তরুণ-তরুণীদের ওপর চাপিয়ে দেয়া কেন? হিন্দুত্ববাদী ভারতে হোলি উৎসবকে মহাউৎসব বলা হয়। তারা উৎসব পালনে মহাযজ্ঞ আয়োজন করেন। সেটাই স্বাভাবিক। বাংলাদেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীরা মহাউৎসবে হোলি উৎসব পালন করেন। এটা তাদের ধর্মীয় উৎসব। কিন্তু মুসলিমদের কেন হোলি উৎসব করতে হবে? মুসলমানদের ঈদ উৎসব, রমজানে এক মাসব্যাপী সিয়াম সাধনা, ১০ মহররম শোক পালন এগুলো ধর্মীয় উৎসব। মুসলিম সম্প্রদায় এগুলো পালন করেন। সংস্কৃতি উৎসবের নামে অন্য ধর্মাবলম্বীরা কি ঈদ উদযাপন করেন? ধর্মীয় উৎসব আর সংস্কৃতি উৎসব এক নয়। তাহলে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান দোল উৎসবকে সার্বজনীনতা প্রচার করে আমরা ভুল সাগরে ডুবে মরছি?
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।