পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সাতক্ষীরা জেলা সংবাদদাতা : ঢাকা ইডেন কলেজের ছাত্রী শরীফা বেগম পুতুল (২২)-কে গলা কেটে হত্যা মামলায় ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মাহমুদুল আলম শিকদারকে (৩৩) সাতক্ষীরা বাসট্যান্ড থেকে গ্রেফতার করেছে খুলনা র্যাব-৬ এর একটি দল। সোমবার মধ্যরাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেফতারকৃত মাহমুদুল আলম শিকদার বাগেরহাট জেলার মোল্লার হাট থানার উদয়পুর দৈবকান্দি গ্রামের মৃত শামসুল আলম শিকদারের ছেলে। তাকে খুলনা র্যাব হেড কোয়ার্টারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে খুলনা র্যাব-৬ এর লবণচরা ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট এ এম এম জাহিদুল কবীর, (এল) বিএন দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, ঢাকা ইডেন কলেজের ইতিহাস বিভাগের ৩য় বর্ষের (সম্মান) মেধাবী ছাত্রী ছিলেন শরীফা বেগম পুতুল। ২০১৩ সালের ১০ মে মাহমুদুল আলম শিকদারের সাথে পুতুলের বিয়ে হয়। হাতের মেহেদির রঙ না শুকাতেই তিন দিনের মধ্যে ১৩ মে মধ্যরাতে অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে পুতুলকে নৃশংসভাবে গলা কেটে হত্যা করে স্বামী। বিষয়টি দেশব্যাপী চাঞ্চল্য ও আলোড়ন সৃষ্টি করে। মোল্লার হাটের জনসাধারণ ও ইডেন কলেজের ছাত্রীরা সে সময় মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ করে হত্যাকারী স্বামীর ফাঁসির দাবি জানান। এ ঘটনায় মোল্লার হাট থানায় ২০১৩ সালের ১৪ মে ৩০২ ধারায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত কলেজছাত্রী পুতুলের পিতা। এই মামলায় জামিনে থাকা অবস্থায় পলাতক ছিলেন আসামি। তার অনুপস্থিতিতে ২০১৬ সালের ১২ মে বাগেরহাটের জেলা ও দায়রা জজ আদালত আসামি মাহমুদুল আলমকে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত করেন। এরপর থেকে আসামি মাহমুদুল আলম শিকদারকে ধরার জন্য র্যাব নিরলসভাবে চেষ্টা করতে থাকে। অবশেষে সাতক্ষীরা থেকে সে গ্রেফতার হলো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।