Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কোকোর শ্বশুরকে হাসপাতালে দেখতে গেলেন খালেদা জিয়া

| প্রকাশের সময় : ১৫ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১২:২০ এএম, ১৫ মার্চ, ২০১৭

স্টাফ রিপোর্টার : কিডনি জটিলতায় আক্রান্ত হয়ে গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মরহুম  আরাফাত রহমান কোকোর শ্বশুর ইঞ্জিনিয়ার এম এইচ হাসান রাজাকে গতরাতে দেখতে যান বেগম খালেদা জিয়া। গত সোমবার কোকোর শ্বশুরকে হাপাতালে ভর্তি করা হয়।
গতরাত পৌনে ৯টার দিকে বিএনপি চেয়ারপারসন হাসপাতালে আসেন। তিনি চিকিৎসকদের কাছ থেকে তার চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন।
কোকোর শাশুড়ি মুখলেমা রাজাসহ পরিবারের সদস্যদের সাথেও কথা বলেন খালেদা জিয়া।
এ সময়ে খালেদা জিয়ার বড় বোন সেলিনা হোসেন, বিএনপি নেতা অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, শামা ওবায়েদ, ফাওয়াজ হোসেন শুভ, সুলতানা আহমেদ, শায়রুল কবির খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সন্ধ্যা ৭টায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও মরহুম কোকোর শ্বশুরকে দেখতে হাসপাতালে যান এবং কিছু সময় তার শয্যা পাশে অবস্থান করেন।
খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি  মালয়েশিয়ার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেন।
কোকোর দুই মেয়ে জাহিয়া রহমান ও জাফিয়া রহমানকে নিয়ে স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি লন্ডনে আছেন।

খালেদার ১১ মামলায় শুনানি পিছিয়েছে

কোর্ট রিপোর্টার : বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বিরুদ্ধে করা রাষ্ট্রদ্রোহ ও নাশকতাসহ ১১ মামলার শুনানি পিছিয়েছে। গতকাল সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. কামরুল হোসেন মোল্লা ২৮ মার্চ মামলাগুলোর পরবর্তী নতুন তারিখ ধার্য করেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া সাংবাদিকদের জানান, খালেদা জিয়া হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এ কারণে সময়ের আবেদন করা হয়েছে। শুনানি শেষে
এ ১১ মামলার মধ্যে নাশকতার অভিযোগে ১০টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে রাজধানীর দারুস সালাম থানায় করা আটটি এবং যাত্রাবাড়ী থানার মামলা রয়েছে দুটি। এছাড়া আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য ও সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ড. মো. মমতাজ উদ্দিন আহমদ মেহেদী রাষ্ট্রদ্রোহ মামলাটি দায়ের করেছিলেন। বর্তমানে সবগুলো মামলাই ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন। এর মধ্যে যাত্রাবাড়ী থানার একটি মামলায় অভিযোগপত্র গ্রহণের দিন ধার্য ছিল মঙ্গলবার। আর বাকি ১০ মামলা অভিযোগ গঠনের শুনানির পর্যায়ে রয়েছে।
রাষ্ট্রদ্রোহ
২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের এক আলোচনা সভায় খালেদা মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিভিন্ন মন্তব্য করেন। এ ঘটনায় গত বছরের ২৫ জানুয়ারি আদালতে খালেদার বিরুদ্ধে মামলা করেন আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য ও সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ড. মো. মমতাজ উদ্দিন আহমদ মেহেদী।
দারুস সালামের ৮ মামলা
দশম সংসদ নির্বাচনের বছরপূর্তিতে ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি সমাবেশ করতে বাধা পেয়ে দলীয় কার্যালয়ে অবরুদ্ধ অবস্থায় থেকে সারা দেশে লাগাতার অবরোধ ডাকেন খালেদা জিয়া। ৯০ দিনের এই কর্মসূচিতে বহু গাড়ি পোড়ানো হয়, অগ্নিসংযোগ হয় বিভিন্ন স্থাপনায়। এ ঘটনায় দারুস সালাম থানায় দায়ের করা ৮টি মামলায় খালেদাকে হুকুমের আসামি করা হয়। গত বছর মে ও জুন মাসে খালেদাসহ বিএনপি নেতাকর্মীদের আসামি করে এসব মামলায় অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এরপর ১০ অগাস্ট ঢাকার ১ নম্বর মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করে বিশেষ ক্ষমতা আইনের আট মামলায় জামিন পান খালেদা জিয়া। সবগুলো মামলাই অভিযোগ গঠনের শুনানির পর্যায়ে রয়েছে।
যাত্রাবাড়ীর মামলা
বিএনপি-জামায়াত জোটের ডাকা লাগাতার অবরোধ-হরতালের মধ্যে ২০১৫ সালের ২৩ জানুয়ারি ঢাকার যাত্রাবাড়ীর কাঠের পুল এলাকায় গেøারি পরিবহনের একটি বাসে পেট্রোল বোমা ছোড়া হলে অগ্নিদগ্ধ ও আহত হন ৩০ জন। এর মধ্যে নূর আলম নামে এক ঠিকাদার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানার এসআই কে এম নুরুজ্জামান দুটি মামলা করেন, যাতে অবরোধ আহŸানকারী বিএনপি চেয়ারপারসনকে করা হয় হুকুমের আসামি। তদন্ত শেষে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এসআই বশির উদ্দিন গত বছরের ৬ মে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) আদালতে খালেদাসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক দুটি অভিযোগপত্র দাখিল করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ