Inqilab Logo

বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৬ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

এমপি লিটন হত্যার পরিকল্পনাকারী চন্দন এখন ভারতে

ইন্টারপোলের সাহায্যে দেশে আনা হবে

| প্রকাশের সময় : ১৪ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) উপজেলা সংবাদদাতা  : গাইবান্ধা ১ সুন্দরগঞ্জ আসনের আ’লীগ দলীয় আলোচিত এমপি মঞ্জরুল ইসলাম লিটন হত্যার মূল সমন্বয়কারী চন্দন কুমার সরকার ভারতে পালিয়ে গেলেও ইন্টারপোলের সাহায্যে দেশে আনা হবে। সংসদ সদস্য হওয়ার পথ পরিষ্কার করতে এমপি লিটন হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী অর্থদাতা ও কিলারদের প্রশিক্ষণ দাতা জাপা নেতা সাবেক  সেনা কর্মকর্তা ও সাবেক এমপি ডাঃ আব্দুল কাদের খানকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে চন্দন কুমার সরকারের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে পুলিশ। চন্দন কুমার সরকার উপজেলা আ’লীগের সাবেক সহ-দপ্তর সম্পাদক ও বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের মনমথ গ্রামের সুশীল কুমারের পুত্র। কাদের খান এমপি থাকাকালে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে একের পর এক অভিযোগ দায়ের করলে স্বার্থবাদী চন্দনকে মোটা অঙ্কের টাকায় ম্যানেজ করেন কাদের খানের পিএস ও এপিএসরা। বাধ্য হয়ে তৎকালীন উপজেলা আ’লীগ সভাপতি মঞ্জরুল ইসলাম লিটন নিজেই কাদের খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে রংপুর অঞ্চলের দুর্নীতি দমন বিভাগ থেকে কাদের খানের বিরুদ্ধে ৪টি মামলা করা হয়। এতে কাদের খান ক্ষিপ্ত হন মঞ্জরুল ইসলাম লিটনের প্রতি। ২০১৪ সালের নির্বাচনে মঞ্জরুল ইসলাম লিটন এমপি নির্বাচিত হলে তার কাছ থেকে অবৈধ আর্থিক সুবিধা না পেয়ে চন্দন কুমার তারও বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ দায়ের করেন। এরই প্রেক্ষিতে এমপি লিটনের মদদপুষ্ট কতিপয় ছাত্রলীগ নেতা চন্দন কুমারের উপর হামলা চালিয়ে মারপিট করে। এঘটনায় চন্দন কুমার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এদিকে পরবর্তী এমপি হওয়ার পথ পরিষ্কার করতে এমপি লিটনকে খুনের পরিকল্পনা করে কাদের খান। পরামর্শ করেন এমপি লিটনের ঘোর বিরোধী চন্দন কুমারের সাথে। খুনের দিন এমপি লিটনের অবস্থান ও অনুকূল পরিবেশের খবর মোবাইল ফোনে খুনিদের জানায় চন্দন। চন্দনের পরামর্শ ও তথ্যমতে খুনিরা কিলিং মিশন সফল করে। কাদের খান গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই চন্দন পলাতক রয়েছে। ইতোমধ্যে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে চন্দন ভারতে পালিয়েছে। এব্যাপারে গতকাল সোমবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবু হায়দার মোঃ আশরাফুজ্জামান জানান, চন্দনকে ইন্টারপোলের সাহায্যে দেশে আনার পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। এমপি লিটন হত্যার কিলিং মিশনের সদস্য ও পরিকল্পনাকারীসহ বিভিন্নভাবে জড়িত থাকার দায়ে পুলিশ ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে। এরা হলেন সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম ছাপড়হাটী (খানপাড়া) গ্রামের মৃত নয়ান উদ্দিন খানের পুত্র সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও সাবেক এমপি আঃ কাদের খান, কিলার শ্রীপুর ইউনিয়নের উত্তর সমস গ্রামের আঃ করিমের পুত্র রাশেদুল ইসলাম ওরফে মেহেদী হাসান, ওসমান গণির পুত্র শাহীন, ভেলারায় গ্রামের তমছের আলীর পুত্র আনারুল ইসলাম রানা, কাদের খানের বাড়ির কাজের লোক ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নের উত্তর রাজিবপুর গ্রামের মোহর মন্ডলের পুত্র শামীম মন্ডল, বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের মনমথ গ্রামের যুগি চন্দ্রের পুত্র কসাই সুবল রায়, কাদের খানের এপিএস ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নের আঃ জব্বারের পুত্র শামসুজ্জোহা ও কাদের খানের গাড়ি চালক বগুড়া জেলার শাহজাহানপুর উপজেলার কামারপুর গ্রামের আব্দুর রহমানের পুত্র হান্নান। কিন্তু মূল পরিকল্পনাকারী চন্দন কুমার ভারতে থাকায় ইন্টারপোলের সাহায্যে ফিরিয়ে আনার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে পুলিশ। এব্যাপারে থানার ওসি আতিয়ার রহমান জানান, অপরাধী যেখানেই পালিয়ে থাক না কেন তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ