পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সড়ক রাস্তাঘাটের উন্নয়নে ধীরগতিতে জনদুর্ভোগ
রফিকুল ইসলাম সেলিম : চট্টগ্রামে রাস্তাঘাটের চরম দুর্দশা চলছে দীর্ঘদিন। যেন চট্টগ্রামের মা-বাপ নেই! বন্দরনগরী চট্টগ্রামের রাস্তাঘাটের দুরবস্থা নিজের চোখে দেখে গত পরশু (রোববার) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি অনুষ্ঠানে তীব্র অসন্তোষ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এ নিয়ে চট্টগ্রামে কর্তাব্যক্তি ও সংশ্লিষ্টরাসহ সর্বত্র তোলপাড় শুরু হয়েছে। সঙ্গতকারণেই প্রধানমন্ত্রীর এই ক্ষোভ-অসন্তোষের প্রতি সমর্থন-সহমত ব্যক্ত করে গতকাল চট্টগ্রামবাসী অনেককেই এখানে-সেখানে বলতে শোনা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের মনের দুঃখের কথাটিই বলে গেছেন। শুধু তাই নয়, কেন এই দুরবস্থা প্রধানমন্ত্রী সরাসরি জানতে চেয়েছেন। তাই দিনের পর দিন রাস্তাঘাটের অবর্ণনীয় দুর্দশা আর জনদুর্ভোগের জন্য কে বা কারা দায়ী তাদের শনাক্ত করতে মাঠে নেমে পড়েছে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা। কাজের গতি বাড়িয়ে দিয়েছে ঠিকাদার। ভুক্তভোগীরা বলছেন, অপরিকল্পিত উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ আর বাস্তবায়নে ধীরগতিতে সৃষ্ট দুর্ভোগে জনমনে যে ক্ষোভ অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে তারই প্রতিফলন ঘটেছে। নগরবাসীর দুর্ভোগ কমাতে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনকে আরো বেশি সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সাবেক দুই মেয়র।
প্রধানমন্ত্রী রোববার নিজেই ভাঙাচোরা ও গর্তে ভরা সড়ক, সেতু পার হতে গিয়ে দুর্ভোগ পোহান। সড়কটি হলো চট্টগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দর সড়ক। নয় কোটি টাকার তিনটি ছোট ব্রিজ। নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা গত বছরের ডিসেম্বরে। অথচ এখনও ৩০ ভাগ কাজও করা হয়নি। নতুন সেতু নির্মাণের জন্য পুরাতন সেতু ভেঙে তুলে নেয়া হয়েছে। বিকল্প পথে চলছে যানবাহন, কয়েক দিনের বৃষ্টিতে সড়কের অবস্থা আরো নাজুক হয়ে পড়েছে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত যানজটে আটকা পড়ে অচল থাকছে সড়কটি। চট্টগ্রাম মহানগরীর ভিআইপি সড়ক হিসেবে পরিচিত বিমানবন্দর সড়কটিতে নিত্য দুর্ভোগ চলছে গত দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে। সড়কের এ বেহাল দশা খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নজরও এড়ায়নি। তিনি ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে কার গাফিলতির কারণে এ জনদুর্ভোগ তা বের করার নির্দেশও দেন। রোববার সকালে হেলিকপ্টারে চট্টগ্রাম আসেন প্রধানমন্ত্রী। বিমানবন্দর থেকে ওই সড়ক হয়ে তিনি আসেন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ঈশা খা ঘাঁটিতে। বিকেলে সেখান থেকে সড়কপথে পতেঙ্গার বোট ক্লাবে ওয়াসার শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার প্রকল্প উদ্বোধন করতে যান তিনি। আসা-যাওয়ার পথে সড়কের যে দশা দেখেছেন তার তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর ওই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়াকে ওই সড়কে দুর্ভোগে নাকাল মানুষের মনের কথা বলেছেন ভুক্তভোগীরা। তারা বলেছেন, শুধু বিমানবন্দর সড়ক নয়, মহানগরীর প্রায় প্রতিটি সড়কের অবস্থা এমন বেহাল। ফ্লাইওভার নির্মাণের কারণে নগরীর প্রধান সড়কের মুরাদপুর থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত অংশে মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। ওই এলাকায় যানজট স্থায়ী রূপ নিয়েছে। এর প্রভাবে নগরীর বিশাল এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ আগ্রাবাদ এক্সেস রোড, পোর্ট কানেকটিং রোড, চট্টগ্রাম নগরীর প্রধান লাইফলাইন সিডিএ এভিনিউ বিমানবন্দর থেকে আগ্রাবাদ-লালখান বাজার-জিইসি-২ নম্বর গেট-মুরাদপুর-বহদ্দারহাট-সিএন্ডবি চান্দগাঁও-কাপ্তাই রাস্তার মাথা হয়ে কালুরঘাটসহ বেশিরভাগ সড়ক খানাখন্দ, ফাটলে একাকার হয়ে যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী অবস্থায় রয়েছে দীর্ঘদিন। যথাসময়ে সংস্কার না হওয়া এবং অপরিকল্পিত খোঁড়াখুঁড়ির কারণে এ বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
কোনো উন্নয়ন কাজই নির্ধারিত সময়ে শেষ হচ্ছে না। এতে করে মানুষের দুর্ভোগ আরো বাড়ছে। নিয়মিত সড়ক সংস্কার করা হয় না। সড়ক ও ফুটপাথ বেদখল হয়ে যাওয়ায় নিত্য যানজট হচ্ছে। নগরীর খাল, নালা, নর্দমার অবস্থা এখন বেহাল। সংস্কারের অভাবে খাল-নালা ভরাট হয়ে গেছে। গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে খাল-নালা থেকে উপচেপড়া ময়লা আর্বজনায় সয়লাব হয়ে গেছে বেশিরভাগ এলাকা। বৃষ্টি শেষ হয়েছে তবে রাস্তায় রাস্তায় পড়ে আছে ময়লা আবর্জনার স্ত‚প। মহানগরীর প্রাণকেন্দ্রে এলে হয়তো প্রধানমন্ত্রীর নজরে পড়ত এসব আবর্জনার ভাগাড়।
বিমানবন্দর সড়কের অবস্থা দেখে দুঃখ পাওয়ার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই রাস্তার এত দুরবস্থা কেন? দুইটি ব্রিজ, বড় বড় গর্ত খুঁড়ে রাখা হয়েছে। সেই ব্রিজের কাজ শেষ হচ্ছে না কেন? মেয়র সাহেবকে জিজ্ঞাসা করলাম, কেন এটা হলো না? এটি তো এলজিইডি, মানে সিটি কর্পোরেশনের করার কথা। জাইকা সহযোগিতা করছে। জাইকা তো কোনো কাজে এত দেরি করে না। দুই বছর আগেও ব্রিজগুলো একই অবস্থায় দেখেছিলাম।
ক্ষুব্ধ প্রধানমন্ত্রী বলেন, কাকে কাজ দেবো, কে কাজ পাবে, কে পেল না, কে কমিশনের ভাগ কত দেবে, এসব দুই নম্বরি আমার সঙ্গে চলবে না। অপকর্ম করলে কাউকে ছাড়ব না। আমি এখানে কোনোভাবেই পয়সা কামাতে আসিনি, ব্যবসা করতে আসিনি। আমি এখানে জনগণের সেবা করতে এসেছি, দেশের উন্নয়ন করতে এসেছি। এ সময় বিপুল করতালি দেন অনুষ্ঠানে আগত অতিথিরা। সিটি মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন এ সময় মঞ্চে বসা ছিলেন।
দুই বছর আগে এই সড়কে এ চিত্র দেখেছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তখন আমি আমার সামরিক সচিব জয়নাল আবেদিনকে বলেছিলাম, তুমি তো চট্টগ্রামের লোক, রাস্তাঘাটের এ দুরবস্থা কেন, খবর নাও। সে খবর নিয়ে বলেছিল, দ্রæত ঠিক হয়ে যাবে। তখন ছিল ২০১৫ সাল, ২০১৭ সালে এসেও দেখি রাস্তাঘাটের অবস্থা আগের মতোই। কেন হয়নি, এটা আমি মেয়র সাহেবকে জিজ্ঞাসা করলাম। এই দেরিটা কেন হচ্ছে, সেটা অবশ্যই খুঁজে বের করতে হবে। আমরা চাই না, চট্টগ্রামের মতো এত গুরুত্বপূর্ণ জায়গার রাস্তাঘাটের এত দুরবস্থা থাকুক। কাজ যদি করতে না পারে তাহলে ব্রিজ খুলে রেখে দেয়া হবে কেন? কোনো কন্ট্রাক্টর নিশ্চয়ই করছে কাজটা। তাকে জিজ্ঞেস করা হচ্ছে না কেন? সমস্যা থাকলে সমাধান হবে না কেন? এই সমস্যার সমাধান করার জন্য আর বিলম্বের জন্য আমাকে যদি কোনো ব্যবস্থা নিতে হয়, আমি নেব।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এক বছরের মধ্যে কাজ শেষ করার লক্ষ্য নিয়ে সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয় বিগত ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে। বেঁধে দেয়া সময় শেষ হয়েছে তিন মাস আগে, অথচ এখন পর্যন্ত কাজ হয়েছে মাত্র ৩০ ভাগ। নির্মাণকাজ শেষ করার নতুন সময় নির্ধারণ করা হয়েছে চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত। তবে যে গতিতে কাজ চলছে তাতে বাকি কাজ কবে শেষ করা যাবে তাও নিশ্চিত নয়। শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মহানগরীতে আসা-যাওয়ার এ সড়কটি ভিআইপি সড়ক হিসেবে পরিচিত। বিমানযাত্রীদের আসা-যাওয়াসহ কর্ণফুলীর ওপারে আনোয়ারাসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিশাল জনগোষ্ঠীর যাতায়াত এ সড়ক হয়ে। সড়কের পাশে রয়েছে বিমানবাহিনীর ঘাঁটি জহুরুল হক, বিএএফ শাহীন কলেজ, চিটাগাং ড্রাই ডক, ইস্টার্ন রিফাইনারি, বোট ক্লাব, কোস্টগার্ডের স্টেশন, দেশের একমাত্র টিএসপি সার কারখানা, রাষ্ট্রায়ত্ত জ্বালানি তেল কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনার ডিপো ছাড়াও বেশ কয়েকটি শিল্প কারখানা।
কর্ণফুলী নদী পার হয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার শ্রমিক এ সড়ক হয়ে নগরীর উত্তর পতেঙ্গার কর্ণফুলী ইপিজেড ও চট্টগ্রাম ইপিজেডের বিভিন্ন কারখানায় কাজ করতে আসে। ওই সড়কের পাশে থাকা জ্বালানি তেলের ডিপো থেকে তেল নিতে প্রতিদিন বৃহত্তর চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকা থেকে তেলবাহী ট্যাঙ্ক লরি আসা-যাওয়া করছে ওই সড়কে। সড়কের পাশে রয়েছে রেললাইন। সড়কে ক্রসিং থাকায় জ্বালানি তেলবাহী রেলের ওয়াগন চলাচলের কারণেও দিনে কয়েক দফা সড়কটি বন্ধ করতে হয়।
এখন এই তিন সেতুর নির্মাণকাজের কারণে সড়কে নিত্য যানজট হচ্ছে। পুরাতন সেতু ভেঙে নতুন সেতুর কাজ চলছে। সেতুর পাশে বিকল্প সেতু দিয়ে একমুখী যানবাহন চলাচল করছে। একদিকে যানবাহন থামিয়ে অন্যদিকের যানবাহন পার করা হচ্ছে। এতে করে সড়কে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত যানজট হচ্ছে। জানা যায়, টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পরও যথাসময়ে ঠিকাদারকে কাজ বুঝিয়ে দেয়া হয়নি। ঠিকাদার যথাযথ কাজ করছে কি না তা তদারকিতেও গাফিলতি ছিল। আর এ কারণে মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও দু’টি সেতুর নির্মাণকাজ এখনও শুরুই করা হয়নি। মহানগরীর বেশিরভাগ উন্নয়ন প্রকল্পে চলছে ধীরগতি। এতে করে মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই।
এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী ইনকিলাবকে বলেন, উন্নয়ন নগরবাসীর জন্য। আর সে উন্নয়ন যদি নগরবাসীর দুর্ভোগের কারণ হয় তা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক। তিনি বলেন, মেয়রের দায়িত্ব এসব উন্নয়ন কর্মকান্ড তদারক করা। যথাযথ তদারকি হলে এভাবে জনদুর্ভোগ হতো না। সিটি কর্পোরেশন পরিচালনার দীর্ঘ অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের যে সামর্থ্য আছে উন্নয়ন কর্মকান্ডে তার পুরোটাই কাজে লাগাতে হয়। দায়িত্ব দিয়ে বসে থাকলে চলবে না। ঠিকাদার যথাসময়ে যথাযথ কাজ করছে কি না তা দেখার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে হবে। উন্নয়ন হতে হবে পরিকল্পিত। নগরবাসীর দুর্ভোগের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী যথাযথ অনুধাবন করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণের নেত্রী হিসেবে তিনি এ বিষয়ে জনগণের মনের কথাই বলেছেন। চট্টগ্রামের অনেক সম্ভাবনা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দূরদর্শিতার অভাবে এসব সম্ভাবনা কাজে লাগানো যাচ্ছে না।
অপর সাবেক মেয়র এম মনজুর আলম মনে করেন, উন্নয়ন কর্মকান্ডে ধীরগতিসহ নগরবাসীর দুর্ভোগ লাঘবে বর্তমান মেয়রকে আরও একটু সচেতন হওয়া দরকার। যথাসময়ে উন্নয়নকাজ শুরু করে যথাসময়ে শেষ করা কঠিন হলেও নগরবাসীর দুর্ভোগ কমাতে তা করা উচিত। এক্ষেত্রে কাউকে কোনোভাবেই ছাড় দেয়ার সুযোগ নেই। মহানগরীর একজন বাসিন্দা হিসেবে তিনি নিজেও পরিচ্ছন্ন এবং জঞ্জাট ও দুর্ভোগমুক্ত মহানগরী চান উল্লেখ করে সাবেক এ মেয়র বলেন, এক্ষেত্রে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা: শাহাদাত হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে স্পষ্ট হয়েছে তার দলের নেতারা উন্নয়ন কর্মকান্ডে ঘুষ, বখশিশ ও কমিশন খাচ্ছেন। মহিউদ্দিন চৌধুরী বিরোধী দলের মেয়র হওয়ার পরও তার সময়ে চট্টগ্রামে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্য প্রমাণ করে বিএনপি দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে চট্টগ্রাম তথা দেশের উন্নয়নে কাজ করেছে। প্রধানমন্ত্রী নিজেই চট্টগ্রামের উন্নয়নের দায়িত্ব নিয়েছেন ঘোষণা দেয়ার পরও চট্টগ্রামের এ বেহাল অবস্থা হলে তার দায় প্রধানমন্ত্রী এড়াতে পারেন না। চট্টগ্রাম অবহেলার শিকার উল্লেখ করে ডা: শাহাদাত হোসেন বলেন, এখানে এখনও গ্যাস-বিদ্যুতের সঙ্কট রয়েছে। গ্যাস সঙ্কটের কারণে গত কয়েক বছরে তিনশ’ কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে, অনেক বিনিয়োগ অন্য দেশে চলে গেছে। উন্নয়নের নামে অপরিকল্পিত প্রকল্প গ্রহণ করে আওয়ামী লীগের লোকজন একদিকে অর্থ লুটপাট করছে অন্যদিকে এসব উন্নয়ন কর্মকান্ড জনদুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।