পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মধুপুর (টাঙ্গাইল) উপজেলা সংবাদদাতা : টাঙ্গাইলের মধুপুরে মিরাজ (২৮) নামে এক যুবক দা দিয়ে কুপিয়ে নির্মমভাবে নিজের মাকে হত্যা করেছে। এ সময় বাধা দিতে এসে এক প্রতিবেশীও মিরাজের হাতে নির্মম হত্যার শিকার হয়েছেন। পরে এলাকাবাসী মিরাজকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন। পুলিশ মিরাজসহ বাবা মুহাম্মদ আলী ও বড় ভাই আল আমীনকে (চেঙ্গু) আটক করে থানায় নিয়ে গেছে। নিহতরা হলেন- মিনারা বেগম (৫০) ও আকবর আলী (৫২)।
গতকাল সোমবার সকাল ৭টার দিকে মধুপুর উপজেলার আউশনার ইউনিয়নের হলদিয়া গ্রামের কৈয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, সোমবার সকালে মিরাজের সাথে মায়ের কোন বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হচ্ছিল। এক পর্যায়ে মিরাজ ঘর থেকে দা এনে মা মিনারা বেগমকে (৪৮) এলোপাতাড়ি কুপাতে থাকে। এ সময় প্রতিবেশী সাবু মিয়ার ছেলে আকবর আলী বাধা দিতে আসলে মিরাজ বিক্ষুব্ধ হয়ে তার উপরও চড়াও হয়। দায়ের এলোপাতাড়ি কোপে মিনারা ও আকবর আলী উঠানে পড়ে যান। ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে আশপাশে এলাকার শত শত নারী-পুরুষ একনজর দেখতে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। অনেকেই এসে খুন হওয়া দুই বিভৎস লাশ দেখে অসুস্থ হয়ে পড়েন। মোটের বাজারের পূর্বপাড়া এলাকার মর্জিনা ও পাশের গ্রামের এক বয়স্ক লোক অজ্ঞান হয়ে পড়েন। এলাকার অনেকে মিরাজকে মাদকাসক্ত ও মানসিক প্রতিবন্ধী বলে উল্লেখ করেছেন।
এদিকে ঘটনার পর পরই এলাকাবাসী মিরাজকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে মিরাজসহ বাবা মুহাম্মদ আলী ও বড় ভাই আল-আমীনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
মধুপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) সফিকুল ইসলাম জানান, খুনিকে আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মিরাজের সাথে তার বাবা ও এক ভাইকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এলাকার লোকজন মিরাজকে পাগল ও নেশাগ্রস্ত বললেও এ বিষয়ে তদন্ত ছাড়া কিছু বলা যাচ্ছে না। সুরতহাল লিখে লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।