পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ২০১৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ কার কাছে মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলো? এমন প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে তিস্তা পানি বণ্টন চুক্তি ছাড়া অন্য কোনো চুক্তি মেনে নেয়া হবে না। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিরোধী কোনো চুক্তি মানবে না জনগণ।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১ টায় নয়াপল্টনে বিএনপির সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্যের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী কিভাবে ক্ষমতায় এসেছিলেন। কার কাছে মুচলেকা দিয়েছিলেন?
তিনি বলেন, জনগণের ধারণা আছে যে, ২০১৪ সালের নির্বাচনের সময় ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশে আসলেন। তিনি সব জায়গায় দৌড়ালেন। এরশাদ সাহেবের কাছে গেলেন। তাকে নির্বাচনের জন্য রাজি করালেন। তাহলে কি মানুষ এটাই ভাববে যে ২০১৪ সালের নির্বাচনে ভারতের ‘র’ এর ভূমিকা ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ?
বিএনপি বিএনপির এই নীতি নির্ধারক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর মতো দায়িত্বশীল ব্যক্তির এমন মন্তব্যে এ কথা পরিষ্কার করে দেয় যে, এদেশে তাহলে বিদেশিরা অবস্থান করছে। তারা বিভিন্ন ভাবে কাজ করছে এবং সরকার পরিবর্তনশীলতার সাথে সম্পৃক্ত রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ থেকে এ ধরণের উক্তি দেশ ও জাতির জন্যে কতটা মঙ্গলজনক হবে তা সহজেই অনুমেয়।
প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন ভারত প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ভারতের সাথে বিভিন্ন নদীর পানি চুক্তি ছাড়া দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব বিরোধী চুক্তি হলে জনগণ মেনে নিবে না।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আগামী মাসের ৮ তারিখে ভারতে যাবেন। আমরা আশা করছি তিনি তিস্তা পানি বণ্টন চুক্তি করবেন। তবে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিরোধী কোনো চুক্তি করলে দেশের জনগণ মানবে না।
প্রসঙ্গত, শনিবার রাজধানীতে যুব মহিলা লীগের সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০০১ সালের নির্বাচনের আগে যখন আমেরিকান কোম্পানি আমাদের গ্যাস বিক্রি করতে চাইল ভারতের কাছে। ভারতের কাছে গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিয়েছিল খালেদা জিয়া। দিয়েই তো ক্ষমতায় এসেছিলো। আমি তো দেইনি। আমি চেয়েছিলাম আমার দেশের আগে দেশের মানুষের কাজে লাগবে, ৫০ বছরের রিজার্ভ থাকবে। তারপরে আমরা ভেবে দেখব বিক্রি করব কি করব না’।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘যাদের বিরুদ্ধে এত কথা বলে, এখানে সেই ‘র’ (ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা) এর প্রতিনিধি সে তো হাওয়া ভবনে বসেই থাকতো। আমেরিকার অ্যাম্বাসির লোক হাওয়া ভবনে বসেই থাকতো।
ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ এবং যুক্তরাষ্ট্রের কাছে গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিয়ে ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় এসেছিল প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদও জানান বিএনপি মহাসচিব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।