পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেছেন, ‘পশ্চিমা সংস্কৃতির প্রভাবে অভিজাত পরিবারের সন্তানরা জঙ্গিবাদের দিকে ঝুঁকছে।’
গতকাল রোববার ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ১৪ দেশের পুলিশপ্রধান ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে আয়োজিত এক সম্মেলনে প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে তিনি এ কথা বলেন। ইন্টারপোল ও বাংলাদেশ পুলিশ যৌথভাবে এ সম্মেলনের আয়োজন করে।
সম্মেলনে মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশের অতি দরিদ্র মানুষের বেশিরভাগই সমাজের মূলধারায় মিশতে পারে না। অন্যদিকে অভিজাত পরিবারের সন্তানরা পশ্চিমা সংস্কৃতি অনুকরণ করে। ফলে তারাও সমাজের সঙ্গে মিশতে পারে না। জঙ্গিরা এই দুই শ্রেণির মানুষকে সহজে বিচ্ছিন্নতাবাদের দিকে নিতে পারছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘এক দেশের সঙ্গে অন্য দেশের আন্তঃযোগাযোগের মাধ্যমে বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের চেষ্টা অব্যাহত আছে। বাংলাদেশ সরকার জঙ্গি দমনে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।’ মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশে স্বাধীনতার পর উগ্রপন্থী ও বামপন্থীদের উত্থান হয়। বর্তমানে বিপথগামী কিছু ধর্মীয় উগ্রপন্থী সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করছে।’
সম্মেলনে বøগার হত্যা, গুলশানের হলি আর্টিজানে হামলা ও পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ থেকে জঙ্গি নির্মূলে কাউন্টার টেরোরিজমের বিভিন্ন কর্মকাÐ তুলে ধরেন মনিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশ ও সিটিটিসি জঙ্গি দমনে একসঙ্গে কাজ করছে। জঙ্গিবাদ নির্মূলে আমরা সদা তৎপর।’
এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য হলোÑ চিফ অব পুলিশ কনফারেন্স অব সাউথ এশিয়া অ্যান্ড নেইবারিং কান্ট্রিজ অন রিজিওনাল কো-অপারেশন ইন কার্ভিং ভায়োলেন্ট এক্সট্রিমিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।