Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

২০১৮ সালে নতুন পে-স্কেলের ইনক্রিমেন্ট

| প্রকাশের সময় : ১৩ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম


অর্থনৈতিক রিপোর্টার : আগামী নির্বাচনের আগেই ২০১৮ সাল থেকে অষ্টম পে-স্কেল অনুযায়ী মূল্যস্ফীতির ওপর নির্ভর করে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন সমন্বয় করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
গতকাল সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে এ সংক্রান্ত এক বৈঠক শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল উপস্থিত ছিলেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, নতুন নিয়ম অনুযায়ী মূল্যস্ফীতির ওপর নির্ভর করবে, বিষয়টি নিয়ে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন সমন্বয় করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে ২০১৮ সাল থেকে এটি চালু হবে। আর ২০১৭ সালের বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট ৫ শতাংশ চলমান থাকবে। স্থায়ী পে-কমিশন আর থাকবে না।
তিনি বলেন, কোনো বছর বেতন বাড়বে, আবার কোনো বছর বাড়বে না। কারণ মূল্যস্ফীতি ৫ শতাংশের কম হলে বেতন বাড়বে না। কেবল যে বছর মূল্যস্ফীতি ৫ শতাংশে বেশি হবে সে বছরই বেতন সমন্বয় হবে। এ সংক্রান্ত একটি কমিটি করা হচ্ছে, কমিটি তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন তৈরি করবে।
এর আগে ২০১৫ সালের ৭ সেপ্টেম্বর সর্বোচ্চ ৭৮ হাজার এবং সর্বনিম্ন ৮ হাজার ২৫০ টাকা মূল ধরে সরকারি কর্মকতা-কর্মচারীদের জন্য অষ্টম বেতন কাঠামো অনুমোদন করে সরকার, যাতে বেতন বাড়ে গ্রেড-ভেদে ৯১ থেকে ১০১ শতাংশ।
ওই কাঠামোতে বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা পদে যোগ দেয়া একজন চাকরিজীবীর মূল বেতন হয় মাসে প্রায় ২২ হাজার টাকা, যা আগের কাঠামোতে ১১ হাজার টাকা ছিল। এর সঙ্গে যুক্ত হয় এলাকা অনুযায়ী বাড়িভাড়া এবং গ্রেড অনুযায়ী চিকিৎসা ও অন্যান্য ভাতা।
২১ লাখ সরকারি চাকরিজীবী এই হারে মূল বেতন পাচ্ছেন ২০১৫ সালের ১ জুলাই থেকে। আর ২০১৬ সালের ১ জুলাই থেকে ভাতা কার্যকর হয়েছে।
অষ্টম বেতন কাঠামোতে সর্বোচ্চ স্কেলের মূল বেতন ৭৮ হাজার টাকা প্রস্তাব করা হলেও মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের মূল বেতন ৮৬ হাজার টাকা এবং জ্যেষ্ঠ সচিবদের ক্ষেত্রে ৮২ হাজার টাকা। সপ্তম বেতন কাঠামোতে তাদের মূল বেতন ছিল যথাক্রমে ৪৫ হাজার ও ৪২ হাজার টাকা।
সরকারি বেতন কাঠামো অনুযায়ী, এই গ্রেডের কর্মকর্তাদের মূল বেতন নির্ধারিত, অর্থাৎ প্রতি বছর তাদের বেতন আর বাড়ে না বা ‘ইনক্রিমেন্ট’ যোগ হয় না। তবে তারাও নিয়ম অনুযায়ী বাসা ভাড়াসহ অন্যান্য ভাতা পান।
এর আগে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বাড়িয়ে সপ্তম  বেতন কাঠামো ঘোষণা করা হয়েছিল ২০০৯ সালের ১ জুলাই।  সে অনুযায়ী এতদিন সরকারি চাকরিজীবীরা সর্বনিম্ন ৪ হাজার ১০০ টাকা ও সর্বোচ্চ ৪০ হাজার টাকা ‘বেসিক’ ধরে বেতন পেতেন।



 

Show all comments
  • মোঃ তৌফিকুল ইসলাম ৫ এপ্রিল, ২০১৮, ৯:২৩ এএম says : 0
    নতুন পে স্কেল দেওয়ার কোন দরকার নেই,যদি পারে ভোগ্য পন্য ও জ্বালানি তেলের দাম ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখার চেষ্টা করুক। যদিও তা কোনদিন সম্ভম নয়। একদিকে বেতন বাড়াবে অন্য দিকে ট্যাক্স, করসহ প্রত্যেকটা পন্যের দাম বেড়ে যাবে । পারলে সরকার বেতন বৈষম্য দূর করুক,, প্রশাসনসহ বিভিন্ন সেকটরে যেমন একজন এস আই যদি দ্বিতৃয় শ্রেণীর হয় তাহলে কলেজের একজন ইউডিএ দ্বিতৃয় শ্রেণীর হলে সমস্যা কি, কারণ এদের সবার যোগ্যতাই তো এক।নতুন পে-স্কেলে উল্লেখ রয়েছে যে,সবাই গ্রেড ভিত্তিক পরিচিত হবেন এবং প্রজাতন্ত্রের সবাই কর্মচারী কিন্তু এসব প্রজ্ঞাপন, প্রজ্ঞপনই থাকে বাস্তবে, যেই লাই সেই কদু।আগে পূর্বের পে স্কেলে যেসব শর্ত রয়েছে তা বাস্তবে কার্যকরা দরকার। আমার প্রশ্ন সবাই যদি কর্মচারী হয় তবে এখনো সবাই কেন কর্মকর্তা লেখে...............
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ