পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : মোবাইল ব্যাংকিংয়ে সার্ভিস চার্জের নামে অর্থ লুটপাট ভবিষ্যতে জাতিকে ভোগাবে ও প্রান্তিক অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দেবে। এ জন্য অবিলম্বে সার্ভিস চার্জ যৌক্তিক পর্যায়ে রাখার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন। গতকাল রোববার সংগঠনটির উদ্যোগে রাজধানীর তোপখানা রোডস্থ নির্মল সেন মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে ব্যাংকিংসেবা দেয়ার জন্য ২০১১ সালে মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু করা হয়। নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানের (বাংলাদেশ ব্যাংক) নির্দেশনা মাঠপর্যায়ে কার্যকর না হওয়ায় অনিয়মতান্ত্রিকভাবে লেনদেন পরিচালিত হচ্ছে। আর এর জন্য দায়ী যত্রতত্রভাবে এজেন্ট নিয়োগ, ভুয়া নিবন্ধিত সিম ব্যবহার, পর্যাপ্ত মনিটরিং না থাকা মূলত দায়ী। আর এসব অনিয়ম ও ভুলের খেসারত দিতে হচ্ছে গ্রাহকেই। থেমে থাকছে না প্রতারণা ও অবৈধভাবে রেমিটেন্স আসা। হোন্ডি ব্যবসায়ীরা বিদেশে বসে ফোন করে গ্রাহককে শর্ট কোড নম্বর প্রদান করে টাকা লেনদেন করছে। জবাবদিহিতা, অতিরিক্ত সার্ভিস চার্জ ও হয়রানি থেকে বিরত থাকতেই অবৈধভাবে হোন্ডির মাধ্যমে বিদেশ থেকে অর্থ আসছে। এর ফলে রাষ্ট্র রেমিটেন্স সংগ্রহ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গাইড লাইনে কোথাও সার্ভিস চার্জ নির্ধারণ করা নেই জানিয়ে বলা হয়, গাইড লাইনে কোথাও সার্ভিস চার্জ নির্ধারণ করে দেয়া হয়নি। গাইড লাইনে ৭-এর ৪ নম্বরে বলা আছে, সার্ভিস চার্জ নির্ধারণ করবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা ব্যাংক। বর্তমানে সার্ভিস চার্জ সকল ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠানের একই অর্থাৎ ১.৮৫ শতাংশ যা ১০০ টাকায় ১.৮৫ টাকা। আবার রিটেইলারগনের থেকেও অতিরিক্ত দুই শতাংশ থেকে আড়াই শতাংশ বেশি নিয়ে থাকে। যা দিন দিন এই সেবা মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে জনগণের ওপর আবিভর্‚ত হচ্ছে। যদিও সাধারণ দৃষ্টিতে জরুরি প্রয়োজনে এর কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু যে হারে সার্ভিস চার্জ আদায়ের নামে অর্থ লুটপাট করা হচ্ছে, তা ভবিষৎতে জাতিকে ভোগাবে ও প্রান্তিক অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দেবে। সংগঠনটি জানায় সার্ভিস চার্জ ভাগাভাগির অর্থের মধ্যে এজেন্ট ও ডিলার পায় ০.৭৬ শতাংশ, মোবাইল ফোন অপারেটর ০.০৭ শতাংশ, সরকারি রাজস্ব ০.৪২ শতাংশ, ব্যংক বা প্রতিষ্ঠান পায় ০.৬০ শতাংশ।
সংবাদ সম্মেলনে সকল স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সাধ্যের মধ্যে এই সার্ভিস চার্জ নির্ধারণ করার দাবি জানানো হয়। সেই সাথে সাম্প্রতিক সময়ে কাস্টমার কেয়ারের কোড নম্বর ১৬২৪৭ ব্যবহার করে গ্রাহকদের নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন বাটন চাপার কথা বলে হ্যাকিং করে ডিজিটাল প্রতারণার মাধ্যমে গ্রাহকদের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা লুট করে নেয়া হচ্ছে। এ সব প্রতারণা বন্ধ করে এই জালিয়াত চক্রকে গ্রেফতার ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বিকাশ ও ব্যাংকসমূহকে এসব গ্রাহকদের হ্যাকিং করা সমুদয় অর্থ গ্রাহকদের ফেরত প্রদান করার আহŸান জানায়। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাসদের কেন্দ্রীয় রাজেকুজ্জামান রতন, জাগো বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মো. বাহারানে সুলতান বাহার, দুর্নীতি প্রতিরোধ আন্দোলনের সভাপতি হারুন-অর-রশিদ খান, বাংলাদেশ অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ফোরামের সভাপতি কবির চৌধুরী তন্ময়, গণমোর্চার সভাপতি মো. মাসুম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইসরাত হাসান, প্রচার সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক, সাধারণ সদস্য আফজাল হোসেন, মো. রেজাউল করিম প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।