Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

আওয়ামী লীগকে হারাতে জোট বেঁধেছিল ‘র’-আমেরিকা প্রধানমন্ত্রী

| প্রকাশের সময় : ১২ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০০১ সালে আওয়ামী লীগকে হারাতে জোট বেঁধেছিল ‘র’- আমেরিকা। বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদের জন্য বাইরের দেশের চক্রান্তে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে হারানো হয়েছিল। তিনি বলেন, বিএনপি এখন ভারতবিরোধী কথা বললেও আমেরিকান অ্যাম্বেসির লোক, ‘র’-এর লোকেরা তো হাওয়া ভবনে বসেই থাকত এবং সেই নির্বাচনটায় (২০০১ সালে) সম্পূর্ণভাবে আওয়ামী লীগকে হারাবে আর এখান থেকে গ্যাস নেবে।
শেখ হাসিনা ভারত ইস্যুতে বিএনপির দ্বৈত নীতির সমালোচনা করে বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে ভারতের দালালী করে। আর যখন ক্ষমতার বাইরে থাকে তখন ভারতের বিরোধিতা করে। বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া ভারতের কাছে গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল। বিএনপির মুখে ভারত বিরোধিতা মানায় না। গতকাল শনিবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিশন মিলনায়তনে যুব মহিলা লীগের সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী।
আওয়ামী লীগ প্রধান বলেন, আমি তো চেয়েছিলাম আমার দেশের সম্পদ আগে আমার দেশের মানুষের কাজে লাগবে। আমার ৫০ বছরের রিজার্ভ থাকবে। তারপর, আমরা ভেবে দেখব বিক্রি করব কি, করব না। ফলাফল কী? ওই যাদের বিরুদ্ধে এত কথা বলে, এখানে যে র’য়ের প্রতিনিধি, সে তো হাওয়া ভবনে (খালেদা জিয়ার তৎকালীন রাজনৈতিক কার্যালয়) বসেই থাকত। আমেরিকা অ্যাম্বাসির লোক, হাওয়া ভবনে বসেই থাকত। এই নির্বাচনটা ২০০১-এ সম্পূর্ণভাবে আওয়ামী লীগকে হারাবে, আর এখান থেকে গ্যাস নেবে।
এর আগেও অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে শেখ হাসিনা বিভিন্ন সময়ে বলেছেন, তিনি গ্যাস বিক্রি করতে রাজি হননি বলেই ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে পরিকল্পিতভাবে হারানো হয়েছিল। তবে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং (র) এবং বাংলাদেশে মার্কিন দূতাবাসের সরাসরি সম্পৃক্ততার অভিযোগ এই প্রথম তুললেন তিনি।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, আমি বলেছিলাম, গ্যাস পাবে না। আল্লাহ-তালাই গ্যাস দেবে না। বিক্রি তো দূরের কথা এবং তাই হয়েছে... পায়নি, দিতে পারেনি।
শেখ হাসিনা বলেন, আজকে শুনি, খুব ভারতবিরোধী কথা। আমার প্রশ্ন ২০০১ সালে নির্বাচনের আগে যখন, আমেরিকান কোম্পানি আমাদের গ্যাস বিক্রি করতে চাইল ভারতের কাছে, ভারত গ্যাস কিনবে। ভারতের কাছে গ্যাস বিক্রির মুচলেকা কে দিয়েছিলো? এই খালেদা জিয়াই তো মুচলেকা দিয়েছিল। দিয়েতো তো ক্ষমতায় এসেছিল। আমি তো দেইনি। কিন্তু, মুচলেকা তো দিয়েছিলো। তাদের মুখে এখন এতো ভারতবিরোধী কথা। ভারতবিরোধিতার কথা তাদের মানায় না।
ফারাক্কা বাঁধের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে বিএনপির কর্মসূচির কথা মনে করিয়ে দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আন্দোলন করলেন, ফারাক্কা পর্যন্ত লংমার্চ করলেন। আর ভারতে গিয়ে গঙ্গার পানির কথা বলতে ভুলে গেলেন। এটি মনে করিয়ে দিয়ে শেখ হাসিনা প্রশ্ন রাখেন, দালালিটা করে কে?
১৯৭৫ সালের পর ভারতের দালালির কারণে জিয়া ও এরশাদ সরকার এবং পরবর্তীতে খালেদা জিয়া সরকার স্থল ও সমুদ্রসীমা, গঙ্গার পানিসহ বাংলাদেশের অধিকার আদায়ের কথা নজরেই আনেনি বলে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, দালালি এমনভাবে ছিল যে, এটা উচ্চারণই করার সাহস পায়নি। তারা এত দেশপ্রেমী হলে এই কথা তোলেনি কেন?
জিয়াউর রহমানের সামরিক আইন জারি করে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার কথা মনে করিয়ে দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বসেছিল। তাদের যে নির্বাচনের ইতিহাস, তাদের হ্যাঁ-না ভোট, তাদের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন, এরপর সংসদ নির্বাচন, পরে ’৮১ (১৯৮১) সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে শুরু করে সেই ’৯৬  সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন, মাগুরা উপ-নির্বাচন, বিভিন্ন উপ-নির্বাচনের তথ্য যদি আমরা দেখি; এদেশে কবে, কখন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন তারা করেছে বা করতে পেরেছে। তাদের ইতিহাসে তো তা নাই। তাদের ইতিহাসেই আছে ভোট কারচুপি, অতিরিক্ত ব্যালট পেপার ছাপানো, ব্যালট বাক্স ভরে ফেলা, অথবা সন্ত্রাস সৃষ্টি করে ভোটের রেজাল্ট ছিনিয়ে নেয়া।
বিএনপি নেতাদের রাজপথে নামার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তারা নাকি ভয়ে রাস্তায় নামতেই পারে না। তো, এতই যদি ভয় থাকে, তাহলে রাজনীতি কেন? অবশ্য এটা তাদের অভ্যাস।
যুব মহিলা লীগের নেতা-কর্মীদের নির্যাতনের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে আমরা ক্ষমতায় আছি। কই, বিএনপির ওই রকম নেতা-কর্মী বা মহিলাদের ওপর নির্যাতন করি না। করলে তো করতে পারি, করতে পারতাম। কিন্তু আমরা তা করি না।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ৯৩ দিন তার গুলশান কার্যালয়ের অবস্থানের বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি নেত্রী অফিসে বসে হুকুম দিল অত্যাচার করো, মানুষ মারো, আগুনে মানুষ পোড়াও। প্যাকেট প্যাকেট বিরিয়ানি-ভালোমন্দ খেয়েছেন। আর বাস ট্রাক, লঞ্চ, রেল- এমন কোন জায়গা বাদ ছিলো না যেখানে তারা আগুন দেয়া বাদ রেখেছে বা মানুষকে পুড়িয়ে মারেনি। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনীর ২৪ জনকে হত্যা করেছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্র পুড়িয়ে দিয়ে এর ইঞ্জিনিয়ারকে আগুনে ফেলে দিয়ে হত্যা করেছে। সবকিছু করো, যাতে সরকার উৎখাত হয়। উনি প্রতিজ্ঞা করে বসে ছিলেন, এই সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত উনি ঘরে ফিরে যাবেন না। আমি যদি ওনাকে জিজ্ঞাসা করি, উনি ঘরে ছিলেন, না রাস্তায় ছিলেন? উনি কী জবাব দেবেন?
বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা অত্যাচার করে সরকার উৎখাত করতে চেয়েছিল। কিন্তু জনগণ সাড়া দেয়নি। জনগণই তাদের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ ঠেকায়। তখন এটা বন্ধ হয়।
বিএনপি ক্ষমতাকে ভোগের বস্তু মনে করে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তারা যখনই ক্ষমতায় এসেছে, তখনই অর্থসম্পদের মালিক হয়েছে। মুষ্টিমেয় কিছু লোককে অর্থসম্পদের মালিক করেছে। তাদের জোরে ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করেছে। এটা ছাড়া তারা আর কিছুই করেনি।
যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের উদ্বোধনী পর্বে  বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বক্তৃতা করেন আওয়ামী লীগের নারী ও শিশুবিষয়ক সম্পাদক বেগম ফজিলাতুন নেছা ইন্দিরা, সাধারণ সম্পাদকের রিপোর্ট পেশ করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক অপু উকিল। এর আগে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বাধন করেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং যুব মহিলা লীগ নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এ সময় সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৬৪ হাজার শরণার্থী আমাদের ভারতে ছিল পার্বত্য চট্টগ্রামের। আমি সরকারে এসে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি করে সেসব শরণার্থীদের ফিরিয়ে এনেছি। বলা হয়েছিল, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি হলে ফেনী থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম পর্যন্ত সব নাকি ভারত হয়ে যাবে। পার্বত্য শান্তি চুক্তিতেও তারা বাধা দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা ভারতের কাছ থেকে কিছুই আদায় করতে পারেনি তারাই আবার ভারতবিরোধী কথা বলছে। আমি একটা কথাই বলবো, এ সমস্ত খেলা তারা অনেক খেলেছে। তাদের কোন দেশপ্রেম নেই। ক্ষমতাটা তাদের কাছে ভোগের বস্তু। কারণ, তারা যে যখনই ক্ষমতায় এসেছে, অর্থ-সম্পদের মালিক হয়েছে। কিছু মুষ্টিমেয় লোককেও অর্থ-সম্পদের মালিক করেছে এবং তাদের জোরে ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করেছে।
জিয়া থেকে শুরু করে সবাই এটাই করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী জিয়ার সম্পদ সম্পর্কে মিডিয়ায় অপপ্রচার প্রসঙ্গে বলেন, প্যারিস থেকে স্যুট আসতো (জিয়ার), জুতা আসতো। আর কোথা থেকে কোথা থেকে নানাকিছু আসতো। আর মরে যাবার পর প্রচার হলো কি- জিয়া কিছুই রেখে যায়নি। কেবল ভাঙ্গা স্যুটকেস আর ছেঁড়া গেঞ্জি ছাড়া।
তিনি বলেন, জিয়া মারা যাবার পর ৪০ দিন দিন-রাত বিটিভিতে এগুলো প্রচার করা হলো। দামী বেড কভারের ওপর ভাঙ্গা স্যুটকেস ও ছেঁড়া গেঞ্জি। বাকী আর বলতে চাই না- যা যা ছিল। হাওয়া ভবন, গাজীপুরের খোয়াব ভবন। মায়ের ভাগ ফালুর কাছে, পুত্রের ভাগ মামুনের কাছে। এভাবে শুধু দুর্নীতিই করে গেছে দেশের কোন উন্নয়ন করেনি।
‘ঠাঁই ঠাঁই নাই ছোট এ তরী, আমারই সোনার ধানে গিয়েছে ভরি’- কবিতার এই পংক্তি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বৈরী আবহাওয়াকে উপেক্ষা করে সমগ্র বাংলাদেশ থেকে থেকে সম্মেলন স্থলে আগতদের শুভেচ্ছা জানান। এ সময় চোখের দেখা দেখতে না পেলেও সকলের উপস্থিতি তিনি অন্তর দিয়ে উপলদ্ধি করছেন বলেও কৃষিবিদ ইসস্টিটিউট মিলনায়তনের ভেতরে ও বাইরে থাকা যুব মহিলা লীগের সকল নেতা-কর্মীদের প্রসঙ্গ তিনি উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এমন একটা সময়ে এই যুব মহিলা লীগ আমি গঠন করেছিলাম সেই ২০০২ সালের ৬ জুলাই। তখন এর প্রথম আহ্বায়ক কমিটি আমি করে দেই। ছাত্র রাজনীতি থেকে যে সকল মেয়েরা বেড়িয়ে আসছে তাদের সংগঠিত করে তাদের নিয়ে একটি সংগঠন গড়ে তোলাই এর উদ্দেশ্য ছিল। কারণ, নারীর ক্ষমতায়নে সর্বক্ষেত্রে যাতে আমাদের মেয়েরা নেতৃত্ব দিতে পারে নেই নেতৃত্ব গড়ে তোলার লক্ষ্যেই এই সংগঠন এবং ২০০৪ সালের ১৬ মার্চ প্রথম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। আগামীতে নিয়মিতভাবে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে’ বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় আমাদের মুক্তিযুদ্ধে নারীদের বিশেষ অবদানের সঙ্গে স্মরণ করে বলেন, আমাদের মায়েরা তাদের স্বামী-সন্তানদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে তাদের যুদ্ধে পাঠিয়েছে, নিজেরা যুদ্ধ করেছে আবার মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য রসদও সরবরাহ করেছে।
তিনি বলেন, নদী সাঁতরে পাক-হানাদারদের তথ্য মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে দিয়ে এসেছে। যাদের পাকিস্তানী হানাদাররা ধরতে পেরেছে তাদের গাড়ির সঙ্গে বেঁধে টেনে-হেঁচড়ে নির্মম-নির্যাতন করে হত্যাও করেছে। গায়ের কাপড়ও তারা গায়ে রাখতে পারেনি, এমনও নজির রয়েছে।
২০০১ সালে এই যুব মহিলা লীগ গঠনের প্রেক্ষাপট স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখন কেউ রাস্তায় নামতে পারছে না, বিএনপি-জামায়াতের পুলিশি নির্যাতন আর ক্যাডারদের সশস্ত্র তান্ডব চলছে, সদ্য প্রসূত নারী, অন্তঃসত্ত¡া নারী, শিশু, বৃদ্ধ কাউকে তারা রেহাই দেয়নি। বাবা-মা নৌকায় ভোট দেয়ার অপরাধে ৬ বছরের রজুফাকে গ্যাং রেপ করেছে। মা-মেয়েকে একসঙ্গে ধর্ষণ করেছে। খুলনার রূমা ছাত্রদলের কর্মীদের হাত থেকে ইজ্জত বাঁচাতে গিয়ে আত্মহত্যা করে, ২৫ হাজার হাজার নেতা-কর্মী গোপালগঞ্জে আশ্রয় গ্রহণ করে। ঠিক তখনই যুব মহিলা লীগের নেতা-কর্মীরা রাস্তায় নেমে এর প্রতিবাদ করেছে।
তিনি বলেন, তত্ত¡াবধায়ক সরকারের সময়েও তার মুক্তির জন্য সিগনেচার ক্যাম্পেইন যুব মহিলা লীগই প্রথম শুরু করে এবং পরে মহানগর আওয়ামী লীগের সহায়তায় এবং উদ্যোগে ২৫ লাখ সিগনেচার সংগ্রহ করা হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, যখনই ক্ষমতায় এসেছি দেশের মানুষের উন্নতির চেষ্টা করেছি। যার সুফল দেশের মানুষ পেয়েছে। তাদের দিলে ছিলো পেয়ারে পাকিস্তান’- উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার উদ্দেশে বলেন, তাইতো পাকিস্তানের সামরিক অফিসার জানজুয়া মারা গেলে সবার আগে দুঃখ প্রকাশ করেন খালেদা জিয়া।
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি এ সময় যুব মহিলা লীগের সংগঠনকে আরো শক্তিশালী করার আহ্বান জানিয়ে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, মানুষের কাছে তুলে ধরতে হবে- কেন আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনতে হবে। উন্নয়নের ধারবাহিকতা বজায় রাখতে হবে। আরো কি আমরা করতে পারি সে বিষয়ে চিন্তা করতে হবে। মানুষকে বলতে হবে।
শেখ হাসিনা এ সময় তার রূপকল্প-২০২১ এবং ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।



 

Show all comments
  • Anik ১২ মার্চ, ২০১৭, ২:৫৫ এএম says : 1
    aro koto kisu je sunte hobe !
    Total Reply(0) Reply
  • not interested ১২ মার্চ, ২০১৭, ৭:১৭ এএম says : 5
    nirmom holeo satti
    Total Reply(0) Reply
  • Nannu chowhan ১২ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ পিএম says : 1
    If parents use to tell lie of course the children will do the same,also if leaders of the country also make false story of course the whole nation will do the same....Yah rabbul Alamin you save us from this situation..amee
    Total Reply(0) Reply
  • Nur- Muhammad ১২ মার্চ, ২০১৭, ১২:১০ পিএম says : 0
    মাননীয় প্রধান মন্রী, নিরপেক্ষ নির্বাচনে জনগণের হাতে ক্ষমতা থাকে, কোন শক্তি বা পরাশক্তি জনতার ব্যালটের কাছে আসতে পারে না। ১৯৯১, ১৯৯৬ এবং ২০০১ সালে আমাদের দেশে নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে। জনগণ এই নির্বাচন নিয়ে আনন্দ উল্লাস করছে। ব্যাপক সারা দিয়েছে। তাই এই ৩ টি নির্বাচন নিয়ে সমালোচনা করা উচিৎ নয়। এই নির্বাচন গুলির বিরুদ্ধে কথা বলা, জনগণের বিপক্ষে যাওয়ারই সামিল। শুধু জিয়া কেন, আগের রাজনীতিবিদরা জনগণের জন্য কাজ করছে, ক্ষমতা আর অর্থের জন্য নয়। বঙ্গবন্ধু, ভাষানী ও জিয়ার মৃত্যুর পর, আমরা তা ই পেলাম। তাদের অর্থের লোভ ছিল বলে, কেহ কথা বললে, জনগণ ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করবে। জিয়ার স্যুট, জুতা প্যারিস থেকে আসতো কি না জানি না। আজ আপনার বক্তবে জানলাম। কোন তথ্য থেকে বলছেন জনগণকে জানান।
    Total Reply(0) Reply
  • Nargis ১২ মার্চ, ২০১৭, ২:০৬ পিএম says : 0
    Do not talk big, if you have any courage, give fair election under caretaker or neutral govt and let the people to cast their vote for their own chosen candidate. Why did you change the constitution for your own interest ? Do not think people of this country stupid, every step of your govt they are keeping in their mind.
    Total Reply(0) Reply
  • Nur- Muhammad ১২ মার্চ, ২০১৭, ২:২১ পিএম says : 1
    হাঁ জনগণের ভোটাধিকার না থাকলে, বিদেশী মুড়লরা আসবে। ঝগড়া লাগায়ে নিজ স্বার্থ উদ্ধারে কাজ করবে। ৫ ই জানুয়ারীর নির্বাচনে তা ই হলো। এই নির্বাচন দেশ বিদেশ (ভারত ছাড়া) সবায় "না" বললো। ভারত নিজ স্বার্থে এই নির্বাচনকে সমর্থন করলো।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ