Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সংসদে কাঁদলেন প্রধানমন্ত্রী কাঁদালেনও সবাইকে

পাকিস্তানি বাহিনীর নির্মমতার চিত্র প্রদর্শন

| প্রকাশের সময় : ১২ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : একাত্তর সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরুর আগে ২৫ মার্চ রাতে এবং যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনীর নির্মম ববর্বতার ‘সচিত্র প্রতিবেদন’ দেখানো হলো জাতীয় সংসদের অধিবেশনে।
গতকাল শনিবার অধিবেশন শুরুর পর জাসদের এমপি শিরীন আখতার পাকিস্তানি বাহিনীর নির্মমতায় নিহতদের স্মরণে ২৫ মার্চ ‘গণহত্যা দিবস’ পালনের প্রস্তাব উত্থাপন করার পরপরই একাত্তরের সেই ভয়াল চিত্র সংসদে উপস্থাপনের জন্য স্পিকারের অনুমতি চান প্রধানমন্ত্রী। অনুমতি মেলার পর সংসদ কক্ষে রাখা বড় পর্দায় একাত্তরে পাকিস্তানি বাহিনীর নির্মমতার বিভিন্ন চিত্র, ভিডিও দেখানো হয়। শরণার্থীদের দেশ ত্যাগ, গণহত্যার ছবি দেখাতে গিয়ে আবেগে আপ্লুত বঙ্গবন্ধু কন্যা বেশ কয়েকবার চোখ মুছেন। পিনপতন নীরবতায় ১৮ মিনিট ধরে এসব চিত্র দেখেন অধিবেশনে উপস্থিত এমপিরা। অব্যক্ত চাপা কান্নায় ভারী হয়ে উঠে পুরো সংসদ কক্ষ।  
এর আগে কার্যপ্রণালী-বিধির ১৪৭ বিধির আওতায় ২৫ মার্চতে ‘গণহত্যা দিবস’ হিসেবে পালনের প্রস্তাব আনেন শিরীন আখতার। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালো রাতে টিক্কা খানের নেতৃত্বে ‘অপারেশন সার্চ লাইট’ নামের সামরিক অভিযানে সংগঠিত পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হিংস্রতা ও বর্বরতা চিত্র তুলে ধরে দিনটিকে গণহত্যা দিবস ঘোষণা এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতির জন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের জন্য প্রস্তাবে তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ বাঙালির জীবনে এক ভয়াবহ দিন। সেই কালো রাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী কাপুরুষের মতো রাতের অন্ধকারে পাশবিক হিংস্রতা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে ঘুমন্ত বাঙালির উপর। সামরিক শাসক ইয়াহিয়ার নির্দেশে জেনারেল টিক্কা খানের নেতৃত্বে ‘অপারেশন সার্চ লাইট’ নামের সামরিক অভিযানে সংগঠিত হয় ইতিহাসের জঘন্যতম নির্মম গণহত্যা। তাই অন্য যে কোনো দিনের চেয়ে এই দিনটি শুধু আমাদের কাছেই নয়, বিশ্বের গণহত্যার ইতিহাসেরও এক উদাহরণযোগ্য স্মরণীয় দিন। পাকিস্তানি  সেনাবাহিনী, নিরস্ত্র বাঙালিদের উপর সশস্ত্র হামলা করে এবং দীর্ঘ ৯ মাস পাকিস্তানি সামরিক শাসকদের সহযোগিতায় জামায়াতে ইসলামী নামক দলের গঠিত রাজাকার, আল শামস, আলবদর বাহিনী যৌথভাবে ৩০ লাখ বাঙালিকে হত্যা করে এবং তিন লাখ মা বোনের সম্ভ্রম হানি করে। বিষয়টি সংসদে আলোচনা করে প্রস্তাব আকারে তা গ্রহণের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানান তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ