Inqilab Logo

বুধবার ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নৌ-বন্দরসহ বহুমুখী উন্নয়ন বাস্তবায়নে দ্বার উম্মোচন হওয়ার সম্ভাবনা

বিশ বছর পর প্রধানমন্ত্রী লক্ষীপুর আসছেন

| প্রকাশের সময় : ১২ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

হোসাইন আহমদ হেলাল : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লক্ষীপুরে আসছেন আগামী ১৪ মার্চ। তাও ২০ বছর পর। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জেলা শহরে প্রথম আসছেন এমন সংবাদ জেলা শহরসহ জেলার সর্বত্র প্রচারিত হলে শুধু আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠন নয় গোটা লক্ষীপুরবাসী আনন্দিত। উৎসবমূখর পুরো জেলা। কারণ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রথম লক্ষীপুর জেলা শহরে আসছেন জেলাবাসীর কয়েকটি প্রাণের দাবি বাস্তবায়নে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের উদ্বোধন ও ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করবেন। বিএনপি অধ্যুসিত এলাকায় চার দলীয় জোট সরকার যে সব উন্নয়ন কর্মকাÐ করতে পারেনি আওয়ামী লীগ সরকার এবার তা বাস্তবায়ন করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে যাচ্ছে। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর আগমনে শুধু আওয়ামী লীগ নয় পূরো জেলাবাসী খুশী। জেলাবাসীর দীর্ঘকালের প্রাণের দাবিগুলো বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার বাস্তবায়ন করবেন এমনটি স্বপ্নের ছিলো আজ তা বাস্তবে রূপ নিচ্ছে। এক সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লক্ষীপুরকে অ-লক্ষী বলে কবে দূর হবে হবে অ-লক্ষী এমনটি প্রশ্ন ছুঁড়েছেন লক্ষীপুর আওয়ামী লীগ নেতাদের। এবার প্রধানমন্ত্রীর আগমন ও উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়নে এবং সৎ যোগ্য প্রার্থী দিতে পারলে হয়তো আগামীতে অ-লক্ষী দূর হবার দরজা খুলে যাবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লক্ষীপুর সফর সফলভাবে বাস্তবায়ন করার জন্য কেন্দ্রীয় নেতারাও গত এক সপ্তাহ যাবত বিভিন্ন উপজেলায় প্রস্তুতি সভা এবং গ্রাম, ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। গত ৬ মার্চ লক্ষীপুর জেলা আওয়ামী লীগ কর্তৃক আয়োজিত প্রস্তুতি সভায় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক ছাত্র নেতা এ কে এম এনামুল হক শামীম, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক সাবেক এমপি হারুনুর রশীদ, প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব সাইফুজ্জামান শিখর, প্রধানন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী মো. জাহাঙ্গীর আলম, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের একগুচ্ছো কেন্দ্রীয় নেতাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় স্থানীয় এমপি এ কে এম শাহ্জাহান কামাল, লক্ষীপুর-৪ আসনের এমপি আবদুল্যা আল মামুন, লক্ষীপুর জেলা পরিষদের চেযারম্যান মো. শামছুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট শফিক মাহমুদ পিন্টু, লক্ষীপুর পৌরসভা মেয়র আবু তাহের, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন, জেলা যুবলীগের আহŸায়ক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এ কে এম সালাহ্ উদ্দিন টিপু, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি বেলায়েত হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি চৌধুরী মাহমুদুন্নবী সোহেল, সাধারণ সম্পাদক রাকিব হোসেন লোটাস উপস্থিত ছিলেন।
সভায় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, নির্বাচনের আগাম প্রচার নয়, জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত দলীয় একটি জনসভায় সরকারের সফলতা অর্জন ও রাজনৈতিক বক্তব্য এবং জেলার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের উদ্বোধন ও ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী। গত ৯ মার্চ জেলা আওয়ামী লীগের অস্থায়ী কার্যালয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন জেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হয়ে প্রধানমন্ত্রীর আগমন সফল করতে সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেন। অ্যাডভোকেট নূর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন বলেন,  শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, বিদ্যুৎ, প্রযুক্তি, ক্রীড়া, যোগাযোগসহ দেশের সকল ক্ষেত্রে সমভাবে উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়িত হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে সাংগঠনিক সফরে এসে ৯তলা বিশিষ্ঠ লক্ষীপুর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভবন, পৌর আধুুনিক সুপার মার্কেট, অত্যাধুনিক নৌ-বন্দর, মেডিকেল কলেজ, চার লেন সড়ক, লক্ষীপুর সদর হাসপাতালকে ২৫০ বেড, যুব উন্নয়ন কমপ্লেক্স, নবগঠিত চন্দ্রগঞ্জ থানা/ উপজেলা উদ্বোধন করবেন।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও লক্ষীপুর জেলাবাসীর পক্ষে স্থানীয় এমপি’গণ দাবি জানাবেন, লক্ষীপুরে পূর্বের স্থানে এবং প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক জোন আনুষ্ঠানিক ঘোষণা, লক্ষীপুরে রেল লাইন স্থাপন দ্রæত বাস্তবায়ন দাবি, রামগতি ও কমলনগর নদী ভাঙনরোধে জরুরি পদক্ষেপ নেয়ার দাবি, নদী ভাঙা মানুষকে পূর্ণবাসন জন্য খাস জমি বন্দোবস্ত দেয়ার দাবি, লক্ষীপুর-ভোলা-বরিশাল মহাসড়ক দ্রুত উন্নয়ন ঘোষণার ও দাবি জানাবে।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা সফলে ব্যাপক জনসংযোগ করছেন কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ গত ১০ মার্চ রামগতি ও কমলনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তুতি সভায় কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইনসহ কেন্দ্রীয় যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্থানীয় জেলা নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
গতকাল ১১ মার্চ সেচ্ছাসেবকলীগ কর্তৃক আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর আগমন সফল করতে সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করা হয়।
অপরদিকে জেলা প্রশাসন গত ৬মার্চ জরুরি সভা আহবান করে প্রধানমন্ত্রীর আগমন কর্মসূচি সফল করতে নানা প্রদক্ষেপ নিয়েছেন। গতকাল শনিবার বিকেলে জেলা প্রশাসন লক্ষীপুর বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন, প্রেসক্লাব, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভা করেছেন।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঐদিন বিকেল ৩ টায় লক্ষীপুর জেলা স্টেডিয়াম মাঠে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় সরকারের সফলতা অর্জন ও আগামী দিনের পরিকল্পনা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখবেন।





 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ