পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা, চট্টগ্রাম ব্যুরো : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যস্ত সফরে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে আসছেন আজ (রোববার)। চট্টগ্রামে নৌবাহিনীর ঈশা খাঁ ঘাঁটিতে ‘নবযাত্রা’ ও ‘জয়যাত্রা’ নামে দু’টি সাবমেরিন আজ কমিশনিং করবেন প্রধানমন্ত্রী। এর মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনী বিশ্বের অনেক দেশের মতোই আধুনিক ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে রূপান্তরিত হচ্ছে। তাছাড়া আজ প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রাম ওয়াসার একটি মেগা নতুন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। ‘শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার’ নামে চট্টগ্রাম ওয়াসার পানি সরবরাহ প্রকল্পটি এ যাবৎ সর্ববৃহৎ প্রকল্প, যা চট্টগ্রাম নগরবাসীর পানির সঙ্কট নিরসনে অনেকটা সহায়ক হবে।
প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকাল ১১টা ১০ মিনিটে হেলিকপ্টারযোগে ঈশা খাঁ ঘাঁটিতে এসে পৌঁছাবেন। ঈশা খাঁ ঘাঁটিতে দু’টি সাবমেরিনের কমিশনিং অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী।
জানা গেছে বিকেল সাড়ে ৩টায় প্রধানমন্ত্রী পতেঙ্গায় বোট ক্লাবে চট্টগ্রাম ওয়াসার উদ্যোগে ‘শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন। পরে প্রধানমন্ত্রী বোট ক্লাব থেকে ফের ঈশা খাঁ ঘাঁটিতে এসে হেলিকপ্টারযোগে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবেন। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মন্ত্রী-এমপি ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত থাকবেন।
এদিকে চট্টগ্রাম মহানগরী থেকে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার দূরে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পোমরায় কর্ণফুলী নদীর তীরে সাড়ে ৩৫ একর জমির উপর ‘শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার’ গড়ে উঠেছে। গত ১৯ জানুয়ারি পানি শোধনাগারটি ‘শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার’ নামকরণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এর আগে গত বছরের ১ নভেম্বর থেকে নতুন প্রকল্পের পানি পরীক্ষামূলকভাবে নগরবাসীর মাঝে সরবরাহ শুরু করেছে চট্টগ্রাম ওয়াসা।
জাপানী দাতা আন্তর্জাতিক সংস্থা জাইকা’র অর্থ সহায়তায় ১ হাজার ৮৪৮ কোটি ৫২ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার’ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এ প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ায় এখন দৈনিক ১৪ কোটি লিটার বেশি পানি পাওয়া যাচ্ছে। এ যাবৎ চট্টগ্রাম ওয়াসার পানি উৎপাদনের ক্ষমতা ছিল সর্বোচ্চ ১৮ কোটি লিটার। এই প্রকল্পের পানি যোগ হওয়ায় এখন পানি উৎপাদনের ক্ষমতা সর্বোচ্চ ৩২ কোটি লিটারে গিয়ে পৌঁছেছে। যার সুফল সরাসরি পাচ্ছে চট্টগ্রাম নগরবাসী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।