পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : ২০৪০ নাগাদ দেশের মূল জ্বালানি হিসেবে আমদানিকৃত এলএনজি, এলপিজি ও কয়লাকে প্রাধান্য দিয়ে জ্বালানি মহাপরিকল্পনা ২০১৬ প্রকাশ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ‘তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি’র সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। তিনি বলেন, যা ভুল তথ্য ও স্ববিরোধিতায় ভরা, জাতীয় স্বার্থবিরোধী। অচিরেই জাতীয় কমিটি-এর বিকল্প মহাপরিকল্পনা উপস্থাপন করবে।
গতকাল (শনিবার) মুক্তিভবনের প্রগতি সম্মেলন কক্ষে ভূ-তত্ত¡বিদ, অর্থনীতিবিদ ও প্রকৌশলীদের সমন্বয়ে ‘বাংলাদেশের গ্যাসসম্পদ, জাতীয় সক্ষমতা ও জ্বালানি খাতে সরকারি নীতি’ শীর্ষক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় কমিটির আহŸায়ক প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোশাহিদা সুলতানা।
অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ তার বক্তব্যে বলেন, দেশের গ্যাসখাত জাতীয় মালিকানায় বিকাশ করলে সুন্দরবিনাশী প্রকল্প, দেশধ্বংসী রূপপুর প্রকল্প, এলএনজি কোনও কিছুই দরকার হবে না। সরকারের নীতিমালা জনগণ বা দেশের স্বার্থ চিন্তা করে নয়, বরং কতিপয় দেশি-বিদেশি ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর স্বার্থ পরিকল্পনাকে গ্রহণযোগ্য করার জন্য দাঁড় করানো হচ্ছে।
সভাপতির বক্তব্যে প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, চুরি আর লুটপাটকে বৈধতা দেয়ার জন্য গ্যাসের দাম বাড়ানো হচ্ছে, মহাপরিকল্পনা করা হচ্ছে। দেশের স্বার্থবিরোধী কোনও কিছুই গ্রহণযোগ্য নয়।
সভায় অযৌক্তিভাবে গ্যাসের দামবৃদ্ধি ও রফতানিমুখী গ্যাস চুক্তির আয়োজন বন্ধ করে সুন্দরবন বিনাশী রামপাল প্রকল্প বাতিলসহ জাতীয় কমিটির ৭ দফা বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়।
বিশিষ্ট ভূ-তত্ত¡বিদ অধ্যাপক বদরুল ইমাম বলেন, গ্যাস সংকট আছে, তবে সরকার যেভাবে একে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে দেখাচ্ছে সেরকম নয়। গ্যাস বিষয়ক যেকোনও পরিকল্পনাই হওয়া উচিত বাপেক্সকে কেন্দ্র করে। একে শক্তিশালী করে আন্তর্জাতিক মানের তেল, গ্যাস অনুসন্ধানকারী কোম্পানিতে রূপান্তর করা আমাদের রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব। সে দায়িত্ব পালন না করে ৯০-এর দশক থেকে বাপেক্সকে দুর্বল করার সরকারি প্রক্রিয়া শুরু হয়।
মতবিনিময় সভায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডক্টর বদরুল ইমাম, ডক্টর এমএম আকাশ, গবেষক নুর মোহাম্মদ, মাহা মির্জা, মাহবুব সুমন, সাংবাদিক আরিফুজ্জামান তুহিন প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন বজলুর রশিদ ফিরোজ, মোশারফ হোসেন নান্নু, জোনায়েদ সাকি, ফখরুদ্দীন কবির আতিক, শহীদুল ইসলাম সবুজ, সুবল সরকার ও মাসুদ খান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।