পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
খুলনা ব্যুরো : খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামরুজ্জামান জামালের গাড়ী বহরে গুলিবর্ষণ করেছে স্থানীয় প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। গতকাল শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে খুলনা থেকে তেরখাদা হয়ে গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের মাজারে যাওয়ার পথে এঘটনা ঘটে। তাঁর অভিযোগ তেরখাদা উপজেলা চেয়ারম্যান সরফুদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চুর ভাই রুকু বিশ্বাস ও সমীর বিশ্বাসের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা ৩০/৩২টি ফাঁকা গুলিবর্ষণ করেছে। এতে জেলা আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক শেখ শহিদুল ইসলামসহ ৪ জন আহত হয়েছেন বলে জানান তিনি। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান সরফুদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চু। কামরুজ্জামান জামাল-ই এলাকায় সন্ত্রাসীদের নিয়ে এলাকার লোকজনের ওপর চড়াও হয়েছিল বলে অভিযোগ তার।
জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জামাল বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজন নেতার নেতৃত্বে তেরখাদা উপজেলা যুবলীগের নেতাকর্মীরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধাঞ্জলি, ফাতেহাপাঠ ও বিশেষ দোয়া-মোনাজাতে যাচ্ছিলাম। শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তেরখাদা উপজেলার সাচিয়াদাহ বাজার এলাকা গাছের গুঁড়ি ফেলে সড়ক বন্ধ করে রাখে। গাড়ী থেকে নেমে দেখছিলাম-কি অবস্থা! তাৎক্ষণিকভাবে মুহুর্মুহু গুলিবর্ষণ করতে থাকে সন্ত্রাসীরা। উপজেলা চেয়ারম্যান বাচ্চু বিশ্বাসের ভাই রুকু বিশ্বাস ও সমীর বিশ্বাসের নেতৃত্বে গুলিবর্ষণ করেছে তারা। এসময় তারা “তেরখাদায় সুজা (এমপি) ভাইজান ছাড়া কারো রাজনীতি চলবে না” সেøাগান দেয় বলে দাবি করেন তিনি। তাদের অতর্কিত হামলায় জেলা আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক শেখ শহিদুল ইসলাম ও তার ভাই মোঃ ওবায়দুল ইসলামসহ ৪/৫ জন আহত হয়েছেন বলে তিনি জানান। পরে তার বহরে থাকা দেড় সহস্রাধিক নেতাকর্মী গাড়ী থেকে নেমে ধাওয়া দিলে হামলাকারীরা পিছু হটে চলে যায়। একপর্যায়ে পরিস্থিতি শান্ত হলে সেখান থেকে টুঙ্গিপাড়ায় যান তারা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, হামলাকারীরা সকলেই জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান সরফুদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চু’র লোকজন। রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে সড়ক অবরোধ করে পাশেই আশ্রয় নিচ্ছিলেন দেড় শতাধিক স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এসময় অন্তত ৩০/৩২টি ফাঁকা গুলিবর্ষণের শব্দ শোনা গেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
তেরখাদা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শফিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা বুলবুল মোল্যা ভাইয়ের কয়েকজন ছোট ওদের সাথে যাচ্ছিল। সে জন্য বুলবুল ভাই তার ছোট ভাইদের বাঁধা দিয়েছিল। এসময় গাড়ী থেকে বহরের লোকজন নেমে একটু ইট-পাটকেল ছুড়াছুড়ি করেছে; কোন গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেনি। থানায় কেউ লিখিত অভিযোগও করেননি।
জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক ও তেরখাদা উপজেলা চেয়ারম্যান সরফুদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চু (মুঠোফোনে) বলেন, “আমি ভারতের প্রবেশ করেছি। আমি শুনেছি- জামালের লোকজন সন্ত্রাসী নিয়ে ওখানে গিয়েছে। এলাকার লোকজনের ওপরে লাঠিসোঁটা নিয়ে চড়াও হয়েছে। এলাকাবাসী সেটাই প্রতিহত করেছে। এলাকার লোকজন তো সেটা মেনে নেবে না। গুলির কোন বিষয় ওখানে নেই। জামাল-ই সিনক্রেট করছে, সন্ত্রাসীদের একত্রিত করে। দল বাদ দিয়ে তেরখাদায় গিয়ে তার এসবের করার তো কোন দরকার নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।