পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : বিশ্বের প্রাযুক্তিক অগ্রগতি নিয়ে নিজের হতাশা আর সংশয়ের কথা জানিয়েছেন স্বনামধন্য পদার্থবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিন্স। তিনি বলছেন, প্রযুক্তির আজকের অগ্রগতি একটি পরমাণু অথবা জীবাণু যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি করেছে যা পৃথিবীর ধ্বংস ডেকে আনতে সক্ষম। তবে নিজেকে আশাবাদী দাবি করে হকিন্স বলেন, মানব সমাজ এই চ্যালেঞ্চ উতরে যেতে সক্ষম হবে।
টাইম ম্যাগাজিনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘সভ্যতার সূচনালগ্ন থেকে মানুষ যখনই জীবনযাপনকে সহজ করার চেষ্টা করেছে, তখনই আগ্রাসনের সম্ভাবনা প্রবল হয়েছে।’
ডারউউনের বিবর্তনবাদের ‘সারভাইবাল অব ফিটেস্ট’ ধারণার প্রতি অনুগত হকিন্স বলেন, প্রযুক্তির অগ্রগতি আজ এমন একটা পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে যে, একটা পরমাণু যুদ্ধ, কিংবা একটা জীবাণু যুদ্ধে এই সভ্যতা ধ্বংস হয়ে যেতে পারে’।
সেই জন্মলগ্ন থেকেই জীববিজ্ঞানী চার্লস ডারউইনের বিবর্তনবাদের ধারণা ব্যবহৃত হয়েছে আধিপত্যের হাতিয়ার হয়েছে। তার জীববিজ্ঞানের তত্ত¡ সামাজিক ডারউইনবাদে রূপান্তরিত হয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মান ফ্যাসিবাদী হিটলারকে লাখ লাখ মানুষকে গ্যাস চেম্বারে পুড়িয়ে মারার মন্ত্রণা দিয়েছে। ডারউইনের মতো করেই হকিন্স মনে করেন, অপেক্ষাকৃত ক্ষমতাশালী প্রজাতির দ্বারা দুর্বল প্রজাতির ধ্বংস হয়ে যাওয়াটাই বিবর্তনের মূল সূত্র। তিনিও পৃথিবীকে যোগ্যতরের স্থান বিবেচনা করেন।
হকিন্স আশঙ্কা প্রকাশ করেন, ‘এমন হতে পারে যে, গোটা বিশ্বকে একটা শক্তি নিজ সরকারব্যবস্থার অধীনে নিয়ে আসার বন্দোবস্ত করতে পারে। একটা বৈশ্বিক স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হতে পারে’। তা সত্তে¡ও আশাবাদী হকিন্স মনে করেন, মানুষ এইসব চ্যালেঞ্জ উৎরে যাবে। টাইম ম্যাগাজিনকে হকিন্স বলেন, ‘আমি মনে করি, মানবসমাজ এইসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে পারবে।’ তিনি বিশ্বাস করেন, ‘সংবাদমাধ্যমে নিয়মিত প্রকাশিত বৈশ্বিক উষ্ণতা, বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া কিংবা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উত্থানের পরও মানবজাতি সমুন্নত থাকবে।’ তবে ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার আগেই সমস্যা সমাধানে আমাদের জোর তৎপরতা দরকার’ বলে মনে করেন তিনি। আর তার জন্য তিনি মানুষের সহজাত আধিপত্যশীল বৈশিষ্ট্যকে যুক্তি আর বিচারবোধ দিয়ে প্রতিহত করার কথা বলেন।
উল্লেখ্য, ডারউইন যে মানুষসহ সমস্ত প্রজাতিকে সহজাতভাবে আধিপত্যশীল মনে করেন, তার সেই বিবর্তনসূত্র প্রশ্নাতীত নয়। ডারউইনবাদই পৃথিবীর একমাত্র বিবর্তনসূত্র নয়। বিশ্ববাসীকে বিকল্প জীববিজ্ঞানের দিশা দিয়েছেন রুশ জীববিজ্ঞানী পিটার ক্রপোটকিন। তিনি ডারউইনের বিবর্তনবাদের বিপরীতে ‘মিউচুয়াল এইড’ নামের বিকল্প বিবর্তনসূত্র হাজির করেন। ডারউইন যেখানে যোগ্যতার বিচারে প্রজাতিসমূহের টিকে থাকার কথা বলেন, ক্রপোটকিন সেখানে বলেন পারস্পরিকতার মধ্য দিয়ে বাঁচার কথা। প্রজাতিসমূহের অভ্যন্তরে থাকা সেই পারস্পরিকতার বিভিন্ন উদাহরণ-তথ্য-প্রমাণ হাজির করেন ক্রপোটকিন। সূত্র: দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।