পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ কেবলমাত্র জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতেই নিরাপদ। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছেন বলেই স্বাধীনতা বিরোধীদের বিচার হচ্ছে। দেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে। অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব টিকে আছে। ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে। আর যখন স্বাধীনতা বিরোধীরা ক্ষমতায় আসে তখন দেশ পিছিয়ে যায়। স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়ে।
গতকাল শুক্রবার বিকালে লক্ষ¥ীপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক প্রস্তুতি সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আগামী ১৪ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর সফর উপলক্ষে এই প্রস্তুতি সভা করা হয়।
এনামুল হক শামীম বলেন, জাতির পিতা দেশকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। কাজেই তার কন্যা শেখ হাসিনা দরদ নিয়ে দেশ পরিচালনা করেন। অন্যরা ক্ষমতায় আসলে লুটপাট করে। আগামীতেও শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনতে হবে। এ জন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট খুনি মোশতাক ও জিয়া গং জাতির জনককে হত্যা করে দেশকে পেছনের দিকে নিয়ে যায়। এরপর দীর্ঘ ২১ বছর আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আসতে দেয়া হয়নি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি বিধ্বস্ত দেশকে অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। আর স্বাধীনতা বিরোধীরা অস্ত্রের মুখে ক্ষমতায় এসে দেশকে পেছনে নিয়ে যায়। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর মানুষ প্রথম উপলব্ধি করে ক্ষমতা মানে দেশের সেবা করা। এরপর ২০০১ সালের নির্বাচনে আমাদেরকে ক্ষমতায় আসতে দেয়া হয়নি। আবার উন্নয়ন বন্ধ করে দেয় বিএনপি-জামায়াত সরকার। সব দিক থেকে দেশ পিছিয়ে যায়। এরপর ওয়ান-ইলেভেনের সরকার। তারাও কোন কাজ করেনি।
শামীম বলেন, ২০০৮ সালে নির্বাচনে ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ দেশের উন্নয়নে কাজ শুরু করে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। সবদিক থেকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হলে আগামী একাদশ নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আবার ক্ষমতায় আনতে হবে।
শামীম বলেন, বৃহত্তর নোয়াখালীর কন্যা দুই মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী থাকলেও এ এলাকার উন্নয়নে কাজ করেননি। অথচ জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার বৃহত্তর নোয়াখালীতে উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে দিয়েছেন। লক্ষ¥ীপুরে নৌ-বন্দর হয়েছে।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি বেলায়েত হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাওছার, সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দেবনাথ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক, সাধারণ সম্পাদক নুরুউদ্দিন নয়ন প্রমুখ। জেলার প্রস্তুতি সভা শেষে রামগতি, কোমলনগর উপজেলায় প্রস্তুতি সভায় যোগ দেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।